বঙ্কিম প্রশ্ন, পাৰল। চলে, তবে বহুবিবাহের অশাস্ত্রীয়তা প্রমাণ করিতে প্ৰয়াস পাওয়া, নিম্প্রয়োজনে পরিশ্রম করা আর একটি কথা এই যে, এ দেশে অদ্ধেক হিন্দ, অদ্ধেক মাসলমান। যদি বহবিবাহ নিবারণ জন্য আইন হওয়া উচিত হয়, তবে হিন্দ মসলমান উভয় সম্পবন্ধেই সে আইন হওয়া উচিত। হিন্দরে পক্ষে বহুবিবাহ মন্দ, মসলমানের পক্ষে ভাল, এমত নহে। কিন্তু বহবিবাহ হিন্দীশাস্ত্রবিরদ্ধে বলিয়া, মসলমানের পক্ষেও তাহা কি প্রকারে দন্ডবিধি দ্বারা নিষিদ্ধ হইবে ? রাজব্যবস্থাবিধাতৃগণ কি প্রকারে বলিবেন যে, “বহবিবাহ হিন্দীশাস্ত্রবিরাদ্ধ, অতএব যে মসলমান বহবিবাহ করবে, তাহাকে সাত বৎসরের জন্য কারারদ্ধ হইতে হইবে।” যদি তাহা না বলেন, তবে অবশ্য বলিতে হইবে যে, "আমরা বড় প্রজাহিতৈষী ব্যবস্থাপক বটে; প্রজার হিতাৰ্থ আমরা বহবিবাহ কুপ্রথা উঠাইব; কিন্তু আমরা অদ্ধেক প্রজাদিগের মাত্র হিত করিব। হিন্দীদিগের শাস্ত্র ভাল, তাঁহাদের ব্যাকরণের গণে এক স্থানে ‘ক্রমশো বরা” ও “ক্রেমশোেহবরা” উভয় পাঠ চলিতে পারে, সতরাং তাহাদিগেরই হিত করিব। আমাদিগের অবশিস্ট প্রজা তাহাদিগের ভাগ্যদোষে মসলমান, তাহাদিগের শাস্ত্রপ্রণেতৃগণ সচতুর নহে, আরবী কায়দা হেলে দোলে না, বিশেষ মসলমানের মধ্যে শ্ৰীযক্ত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ন্যায় কেহ পন্ডিত নাই, অতএব বাকি অদ্ধেক প্ৰজাগণের হিত করিবার আবশ্যকতা নাই।” আমাদিগের ক্ষদ্র বদ্ধিতে বোধ হয় যে, ব্যবস্থাপক সমাজ এই দ্বিবিধ উক্তির মধ্যে কোন উক্তিই ন্যায়সঙ্গত বিবেচনা করবেন না। অতএব আমাদিগের সামান্য বিবেচনায় ধৰ্ম্মশাস্ত্রের দোহাই দিয়া কোন দিকে কোন ফল নাই। তবে ইহা অবশ্য স্বীকাৰ্য্য যে, যদি ধৰ্ম্মশাস্ত্রে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বিশ্বাস ও ভক্তি থাকে, এবং যদি বহবিবাহ সেই শাস্ত্রবিরািন্ধ বলিয়া তাঁহার বিশ্বাস থাকে, তবে তিনি আত্মপক্ষসমর্থনে অধিকারী বটে, এবং তাঁহার পস্তক, একজন সদনষ্ঠাতার সদনষ্ঠানে প্রবত্তির প্রমাণস্বরপ সকলের নিকট আদরণীয়। আর যদি বিদ্যাসাগর মহাশয়ের শাস্ত্রে বিশ্বাস ও ভক্তি না থাকে, তবে সেই শাস্ত্রের দোহাই দেওয়া কপটতা মাত্ৰ। যিনি বলিবেন যে, সদনষ্ঠানের অনরোধে এইরূপ কপটতা প্রশংসনীয়, আমরা তাঁহাকে বলিব যে, সদনষ্ঠানের উদ্দেশ্যেই হউক বা অসদনষ্ঠানের উদ্দেশ্যেই হউক, যিনি কপটাচার করেন, তাঁহাকে কপটাচারী ভিন্ন আর কিছই বলিব না। আপনার ক্ষধানিবারণাথে যে চুরি করে, সেও যেমন চোর, পরকে বিতরণার্থ যে চুরি করে, সেও তেমনি চোর। বরং দাতা চোরের অপেক্ষা ক্ষধাতুর চোর মাজজনীয়; কেন না, সে কাতরতাবশতঃ, এবং অলঙ্ঘ্য প্রয়োজনের বশীভুত হইয়া চুরি করিয়াছে। তেমনি যে ব্যক্তি আত্মরক্ষাৰ্থ কপটতা করে, তাহার অপেক্ষা যে নিম্পপ্রয়োজনে কপটতা করে, সেই অধিকতর নিন্দনীয়। যিনি এই পাপপাশ, মিথ্যাপরায়ণ মনষ্যজাতিকে এমত শিক্ষা দেন যে, সদানন্ঠানের জন্য প্রতারণা এবং কপটাচারও অবলম্পােবনীয়, তাঁহাকে আমরা মনষ্যজাতির পরম শত্র বিবেচনা করি। তিনি কুশিক্ষার পরম গর। আমরা এ কথা বিদ্যাসাগর সম্পবন্ধে বলিতেছি না। আমরা এমত বলিতেছি না যে, বিদ্যাসাগর মহাশয় ধৰ্ম্মশাস্ত্রে স্বয়ং বিশ্বাসবিহীন বা ভক্তিশান্য। তিনি ধৰ্ম্মশাস্ত্রের প্রতি গদগদচিত্ত হইয়া তৎপ্রচারে প্রবত্ত হইয়াছেন। আমরা ইহাও বলিতেছি যে, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ন্যায়। উদার চরিত্রে কপটাচরণ কখনই সপেশ করিতে পারে না-তিনি সর্বয়ং ধৰ্ম্মমশাস্ত্রে অবিচলিত ভক্তিবিশিষ্ট সন্দেহ নাই। কেবল আমাদিগের কপালদোষে বহবিবাহ নিবারণের BB DDS BB DD DB DDBDS BB DBDB BD DBB BDDDB DBDB DDD S যে কয়েকটি কথা বলা আমাদিগের উদ্দেশ্য, তাহা সংক্ষেপে পনিরক্ত করিতেছি। ১। বহুবিবাহ অতি কুপ্ৰথা; যিনি তাহার বিরোধী, তিনিই আমাদিগের কৃতজ্ঞতার 可酉可1 ২। বহবিবাহ এ দেশে স্বতঃই নিবারিত হইয়া আসিতেছে; অলপ দিনে একেবারে লিপ্ত ইঞ্জিনা, অন্য বিশেষ আড়ম্বর আবশ্যক বােধ হয় না। সংশিক্ষার ফলে উহা অবশ্য vg ৩ । এ কথা যদিও সত্য বলিয়া সম্বীকার না করা যায়, তবে ইহার অশাস্ত্রীয়তা প্রমাণ করিয়া কোন ফললাভের আকাঙ্ক্ষা করা যাইতে পারে না। 9
