পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

!* sی۔“ جیسے ته ব্যাঘাচাৰ্য্য বহল্লাঙ্গল " " " + ... --সুখ ** 4. t **“Ya *y*喀° প্রথম প্ৰবন্ধ একদা সন্দরবন-মধ্যে ব্যাঘদিগের মহাসভা সমবেত হইয়াছিল। নিবিড় বনমধ্যে প্রশস্ত ভূমিখন্ডে ভীমাকৃতি বহতর ব্যাঘ্র লাঙ্গলে ভর করিয়া, দংষ্ট্ৰীপ্ৰভায় অরণ্যপ্রদেশ আলোকময় করিয়া, সারি সারি উপবেশন করিয়াছিল। সকলে একমত হইয়া আমিতোদর নামে এক অতি প্রাচীন ব্যাঘ্রকে সভাপতি করিলেন। আমিতোদর মহাশয় লাঙ্গলাসন গ্রহণপব্বক সভার কার্য্য আরম্ভ করিলেন। তিনি সভ্যাদিগকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন :- “অদ্য আমাদিগের কি শােভ দিন! অদ্য আমরা যত অরণ্যবাসী মাংসাভিলাষী সকল পরস্পরের মঙ্গল সাধনাথ এই অরণ্যমধ্যে একত্রিত হইয়াছি। আহা! কুৎসাকারী, খালসবভাব অন্যান্য পশবেগে রটনা করিয়া থাকে যে, আমরা বড় অসামাজিক, একা এক বনেই বাস করিতে ভালবাসি, আমাদের মধ্যে ঐক্য নাই। কিন্তু অদ্য আমরা সমস্ত সসভ্য ব্যাঘ্ৰমণডলী একত্রিত হইয়া সেই অমলেক নিন্দাবাদের নিরাস করিতে প্রবত্ত হইয়াছি! এক্ষণে সভ্যতার যেরপ দিন দিন শ্ৰীবদ্ধি হইতেছে, তাহাতে আমার সম্পণে আশা আছে যে, শীঘ্রই ব্যান্ত্রেরা সভ্যজাতির অগ্রগণ্য হইয়া উঠিবে। এক্ষণে বিধাতার নিকট প্রার্থনা করি যে, আপনারা দিন দিন এইরূপ জাতিহিতৈষিতা প্রকাশপর্বক পরম সখে নানাবিধ পশহনন করিতে থাকুন।” (সভামধ্যে লাঙ্গল চটচটারব।) এক্ষণে হে ভ্ৰাতৃবন্দ! আমরা যে প্রয়োজন সম্পাদনাথ সমবেত হইয়াছি, তাহা সংক্ষেপে বিবত করি। আপনারা সকলেই অবগত আছেন যে, এই সন্দরবনের ব্যান্ত্রিসমাজে বিদ্যার চচ্চা ক্ৰমে লোপ পাইতেছে। আমাদিগের বিশেষ অভিলাষ হইয়াছে, আমরা বিদ্বান হইব। কেন না, আজিকালি সকলেই বিদ্বান হইতেছে। আমরাওrহইব। বিদ্যার আলোচনার জন্য এই ব্যােন্ত্রসমাজ সংস্থাপিত হইয়াছে। এক্ষণে আমার বক্তব্য এই যে, আপনারা ইহার অন্যামোদন করবেন।” সভাপতির এই বক্তৃতা সমাপ্ত হইলে, সাির্ভক্ষুগণ হাউমাউ শব্দে এই প্রস্তাবের অননুমোদন করিলেন। তখন যথারীতি কয়েকটি প্রস্তাব পঠিত এবং অনমোদিত হইয়া সভ্যগণ কর্তৃক গ্ৰহীত হইল। প্রস্তাবের সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘ বস্তৃতা হইল। সে সকল ব্যাকরণশদ্ধ এবং অলঙ্কা বটে, তাহাতে শব্দবিন্যাসের ছটা বড় ভয়ঙ্কর; বস্তৃতার চোটে সন্দেরবন কাঁপিয়া-গোল। পরে সভার অন্যান্য কাৰ্য্য হইলে, সভাপতি বলিলেন, “আপনারা জানেন যে, এই সন্দরবনে বহল্লাঙ্গল নামে এক অতি পণ্ডিত ব্যাঘ্র বাস করেন। অদ্য তিনি আমাদিগের অন্যারোধে মনষ্যচরিত্র সম্পবন্ধে একটি প্রবন্ধ পাঠ করিতে স্বীকার করিয়াছেন।” মনষ্যের নাম শানিয়া কোন কোন নবীন সভ্য ক্ষধা বোধ করিলেন। কিন্তু তৎকালে পরিক ডিনরের সচেনা না দেখিয়া নীরব হইয়া রহিলেন। ব্যাঘাচাৰ্য্য বহল্লাঙ্গল মহাশয় সভাপতি কর্তৃক আহত হইয়া গলজনপৰিবাক গাত্ৰোখান করিলেন। এবং পথিকের ভীতিবিধায়ক স্বরে নিম্নলিখিত প্ৰবন্ধটি পাঠ করিলেন;- “সভাপতি মহাশয়! বাঘিনীগণ এবং ভদ্র ব্যাঘ্রগণ! মনষ্যে একপ্রকার দ্বিপদ জন্তু। তাহারা পক্ষবিশিষ্ট নহে, সতরাং তাহাদিগকে পাখী বলা যায় না। বরং চতুষ্পপদগণের সঙ্গে তাহাদিগের সাদশ্যে আছে। চতুষ্পপদগণের যে যে অঙ্গ, ষে যে অস্থি আছে, মনষ্যেরও সেইরােপ আছে। অতএব মনষ্যদিগকে এক প্রকার চতুষ্পপদ বলা যায়। প্রভেদ এই যে, চতুষ্পপদের যেরূপ গঠনের পারিপাট্য, মনষ্যের তাব্দশ্য নাই। কেবল ঈদশ প্রভেদের জন্য আমাদিগের কত্তব্য নহে যে, स्थाभब्रा भनशएक दिशन बलिज्ञा घमा कब्र।

  • ミー>