পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবিধ প্ৰবন্ধ-বাঙ্গালীর উৎপত্তি DDDSBDD DD BDS BBB BB BBB BDBDBD DDD S BB BDD DD DBB প্রয়োজন, এ মতে ভাষা না থাকিলে ভাষার সন্টি হইতে পারে না। সতরাং এ মতও অবৈজ্ঞানিক ও অগ্রাহ্য। তৃতীয় মত এই যে, ভাষা অন্যােকতিমািলক। এই মতই এখন প্রচলিত। প্রাকৃতিক বস্তুসকল শব্দ করে। নদী কল কল করে, মেঘ গর গর করে, সিংহ হােঙ্কার করে, সাপ ফেসি ফোঁস করে। আমরাও যে সকল কাজ করি, তাহারও শব্দ আছে। বাঙ্গালী “সপত সপ’ করিয়া খায়, “গপ গপ’ করিয়া গেলে: “হন হন” করিয়া চলিয়া যায়, “দীপ দাপ” করিয়া লাফায়। এইরুপ নৈসগিক শব্দান কৃতিই ভাষায় প্রথম সত্ৰ। গাছের ডাল প্রভৃতি ভাঙ্গার শব্দ হইতে “মা”; মন্দগমনের সময়ে ঘর্ষণজনিত শব্দ হইতে “স্ত্ৰ”; নিশ্বাসের শব্দ হইতে “অস”। সত্য বটে, অনেক সামগ্ৰী আছে যে, তাহার কোন শব্দ নাই; কিন্তু সে সকল স্থানে মনষ্যের শব্দানকেরণBBD DB BDBD DBDS BBB BB DDS DDD BD DDDBDS DDD SBBDB DBBBDBDS করিতেছে।” পরিস্কার ঘরের শব্দ নাই, কিন্তু আমরা বলি যে, “ঘরটি ঝরঝর করিতেছে”। ಕನ್ನು? s" “অস” প্রভৃতি যেন এইরূপে পাওয়া গেল, কিন্তু VICS ि टाद बास्ट হইল কৈ ? শােধ “মা”। বলিলে কি প্রকারে “মারিলাম” “মারিল” “মারিবা” “মারিয়াছি।” “মারামারি” “মরণ” “মার”-এত প্রকার কথা ব্যক্ত হয় ? অতএব প্রয়োজন মতে মা ধাতুর সঙ্গে অন্য প্রকার শব্দের যোগ আবশ্যক হইল। সেই সংযোগের কাজকে ভাষার গঠন বলা যাইতে পারে। সেই সংযোগের কাজ সব্বত্র একরপ হয় নাই; এজন্য ভাষার গঠন ভিন্ন ভিন্ন প্রকার আছে । কি প্রকারে সেই সকল গঠন বিত্তমান অবস্থায় পরিণত হইল, তাহার আলোচনায় আমাদিগের প্রয়োজন নাই। এখন পথিবীর ভাষাসকলের যে প্রকারের গঠন দেখা যায়, তাহাই সংক্ষেপে বিবত করা যাইতেছে। একজাতীয় ভাষায়, ধাতুর সঙ্গে যোগমাত্রের দ্বারা বাক্যের গঠন হয়; কোন ধাতুর কোন প্রকার রূপান্তর হয় না। এ সকল ভাষায় বিভক্তি নাই, ইহাদিগকে “সংযোগের অসাপেক্ষ।” (Isolating) ভাষা বলা যায়। চৈনিক, শ্যামদেশীয়, আনাম দেশীয় বা ব্ৰহ্মদেশীয় ভাষা এইরপ। দ্বিতীয় শ্রেণীর ভাষাতেও বিভক্তি নাই, কিন্তু উপসগ প্রত্যায়াদি ধাতু দ্বারা রপোন্তর হয়। ইহার ধাতুতে ধাতুতে বা ধাতু ও সৰবৰ্তনামে একপ্রকার সংযোগ হয়। এই সকল ভাষাকে সংযোগসাপেক্ষ (compounding) ভাষা বলে। দক্ষিণের তামিল প্রভৃতি ভাষা, তাতার ভাষা, আমেরিকার আদিমজাতীয় ভাষা। এই জাতীয়। তৃতীয় শ্রেণীর ভাষাতেই প্রকৃষ্টিরূপে বিভক্তি আছে, সংযোগকালে ধাতুর ও সব্বনামের রপান্তর ঘটে। ইহাদিগকে বিভক্তিসম্পন্ন ভাষা (inflecting) বলে। পথিবীর যত শ্রেষ্ঠ ভাষা, সকলই এই শ্রেণীর অন্তৰ্গত।* আরবী, ইহদী, গ্রীক, লাটিন, ইংরেজী, ফরাশি, সংস্কৃত, বাঙ্গালা, হিন্দী, ফারসী প্রভৃতি এই শ্রেণীর অন্তর্গত । দেখা গিয়াছে যে, এই তৃতীয় শ্রেণীর ভাষাগলি ধাতু এবং বিভক্তিচিহ্ন লইয়া গঠিত। ধাতুর পর বিভক্তি ও প্রত্যয়বিশেষের আদেশে শব্দ ও ক্রিয়া নিম্পন্ন হয়। তাহা ছাড়া ভাষায় আর যাহা আছে, তাহাকে সাধারণতঃ সম্ভবনাম বলা যাইতে পারে। সব্বনামগলি যে অবস্থান্দ্ৰন্ট ধাতু, ইহাও বিবেচনা করিবার কারণ আছে। কিন্তু তাহা হোক, বা না হোক, ধাতু, বিভক্তিচিহ্ন ও সব্বনাম লইয়া ভাষা। যদি কোন দাইটি ভাষায় দেখা যায় যে, ভাষার মালীভূত ধাতু, বিভক্তি ও সব্বনাম একই, কেবল দেশকালভেদে কিছ রূপান্তর প্রাপ্ত হইয়াছে, তবে অবশ্য অনমান করিতে হইবে যে, ঐ দাইটি ভাষা উভয়েই একটি আদিম ভাষা হইতে উৎপন্ন। ভাষাবিজ্ঞানের অতি বিস্ময়কর আবিক্রিয়া এই, তৃতীয় শ্রেণীর ভাষাগলির মধ্যে অনেকগালি প্রাচীন ও আধনিক ভাষাতেই ভাষার মলগত ধাতু, বিভক্তিচিহ্ন ও সব্বনাম এক। অতএব সেই সকল ভাষা যে একটি প্রাচীন মলভাষা হইতে উৎপন্ন, ইহা সিদ্ধ হইয়াছে। সেই সকল ভাষাগলি ፴ቐ

  • এই শ্রেণীবিভাগ অগস্ত শ্লেচর নামক জন্মান লেখককৃত। মক্ষম্যােলর প্রভৃতি ভাষার যেরূপ শ্রেণীভাগ করেন, তাহা আর এক প্রকার। তাঁহারা তৃতীয় শ্রেণীকে দাইটি স্বতন্ত্র শ্রেণীতে পরিণত করেন-শেমীয় ও আৰ্য্য। কিন্তু শেমীয় ও আৰ্য যখন উভয়েই তৃতীয় শ্রেণীর লক্ষণাক্রোন্ত, তখন BDDDBB BB Guu DDD D BDS DBu uDDuuDSuBDB

986