পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बिबक्ष श्रबश्का-बाष्क्राव्ौद्ध ऐ६°ख পরাজিত ও রোমকরাজ্যভুক্ত হইলে পর রোমীয় সভ্যতা গ্রহণ করে। এবং সেই সঙ্গে সঙ্গে রোমীয় ভাষা অর্থাৎ লাটিন ভাষা গ্রহণ করে। যখন পশ্চিম রোমকসাম্রাজ্য ধবংসপ্রাপ্ত হয়, তখন গলাদিগের মধ্যে লাটিন ভাষাই প্রচলিত ছিল, পরে তাহারই অপভ্রংশে বত্তমান ফরাসি ভাষা দাঁড়াইয়াছে। আইবিরিয়াতেও (স্পেন ও পটগল) ঐরাপ ঘটিয়াছিল। আমেরিকার কাফরি দাসদিগের বংশ প্রভুদিগের ভাষা অবলম্বন করিয়াছে, জাতীয় ভাষার পরিবত্তে ইংরেজি বা ফরাসি ব্যবহার করিয়া থাকে।।* অতএব ভাষা আৰ্য্যভাষা হইলেই আয্যবংশীয় বলা যাইতে পারে না-অন্য প্রমাণ অবশ্যক। সকলেই জানে যে, আয্যেরা ককেশীয়বংশীয়। ককেশীয় বংশের মধ্যে আয্য ভিন্ন অন্য বংশও আছে, কিন্তু ককেশীয় বংশের অন্তগত নহে, এমন আৰ্যজাতি নাই। ককেশীয়দিগের লক্ষণ-গৌরবণ, দীঘ শরীর, মস্তক সংগঠন, হনদ্বয় অনান্নত। মোঙ্গল বংশ ককেশীয়দিগের হইতে পথিক ! মোঙ্গলীয়েরা খৰ্ব্বব্যাকার, মস্তকের গঠন চতুলে কাণ, হনদ্বয় অত্যুন্নত। যদি কোন জাতিকে এমন পাওয়া যায় যে, তাহাদিগের শারীরিক গঠন মোঙ্গলীয়, তবে সে জাতিকে কখন আৰ্য বলা যাইবে না। যদি দেখিতে পাই, সে জাতীয়ের ভাষা আৰ্যভাষা, তাহা হইলে এইরাপ বিবেচনা করিতে হইবে যে, তাহারা আদৌ অনায্যজাতি, আয্যদিগের সহিত কোন প্রকার সম্মবন্ধবিশিষ্ট হইয়া আৰ্য্যদিগের ভাষা গ্ৰহণ করিয়াছে। আবার যদি দেখি যে, সেই অনায্যজাতি কেবল আৰ্যভাষা নহে, আৰ্য্যধৰ্ম্ম পৰ্যন্ত গ্রহণ করিয়া আৰ্যসমাজভুক্ত হইয়াছে—তখন বঝিতে হইবে যে, এক জাতি অপর জাতিকে বিজিত করিয়া একত্র বাস করায় একের সঙ্গে অন্য মিশিয়া গিয়াছে। যদি আবার দেখি যে, এই বিমিশ্র জাতিদ্বয়ের মধ্যে আৰ্য উন্নত-অনায্য অবনত, তবে বিবেচনা করিতে হইবে যে, আয্যেরা জয়কারী, অনায্যেরাই বিজিত হইয়া আৰ্যসমাজের নিম্পন্ন স্তরে প্রবেশ করিয়াছে। ইহাতে এই এক আপত্তি হইতে পারে যে, হিন্দধৰ্ম্মম অহিন্দরে পক্ষে গ্রহণীয় নহে। যে কেহ ইহা করিলে খীস্টীয়, কি ইসলাম ধৰ্ম্মম গ্রহণ করিয়া খনীআটীয়ান বা মসলমান হইতে পারেন। কিন্তু যে হিন্দকুলে জন্মগ্রহণ করে নাই-সে। হিন্দধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়া হিন্দী হইয়া হিন্দসমাজে মিশিতে পারে না। অতএব যে অনায্য আদৌ হিন্দকুলজাত নহে, সে কখনও হিন্দী হইয়া হিন্দসমাজে মিশিয়াছে, এ কথা কেহ বিশ্বাস করিবে না। এই আপত্তি ব্যক্তিবিশেষের পক্ষে বলবৎ বটে। কিন্তু এক একটি বহৎ জাতির পক্ষে ইহা খাটিতে পারে না। বিশেষতঃ বন্য অনাৰ্য্য জাতিদিগের পক্ষে খাটিতে পারে না। মসলমান বা খীস্টীয়ান কখনও হিন্দ হইতে পারে না; কেন না, যে সকল আচার হিন্দীত্ব ধবংসকারক, তাহারা পরষানক্রমে সেই সকল আচার করিয়া পরষানক্রমে পতিত। কিন্তু এ প্রদেশের বন্য অনাৰ্য্য জাতিদিগের মধ্যে হিন্দীত্ববিনাশক এমন কোন আচার ব্যবহার নাই যে, তাহা হিন্দীদিগের অতি নিকৃষ্ট জাতিদিগের মধ্যে—হাড়ি ডোম মচি কাওরা প্রভৃতির মধ্যে পাওয়া যায় না। মনে কর, যেখানে হিন্দ প্রবল, এমন কোন প্রদেশের সন্নিকটে অথবা হিন্দীদিগের অধীনে কোন অসভ্য অনাৰ্য্য জাতি বাস করে। এমন স্থলে ইহা অবশ্যই ঘটিবে যে, আয্যেরা সমাজের বড়, অনায্যেরা সমাজের ছোট থাকিবে। মনষ্যের সর্বভাব এই যে, যে বড়, ছোট তাহার

  • ভারতবর্ষেও এই আৰ্য অনায্য জাতিদিগের মধ্যে আজিকার দিনেই আমাদিগের প্রত্যক্ষগোচরে এইরুপ ভাষাপরিবত্তন ঘটিতেছে। এখনও অনেক স্থলে অনায্যেরা দিনে দিনে আপন মাতৃভাষা পরিত্যাগ করিয়া আৰ্যভাষা গ্রহণ করিতেছে। কণোিল ডালটন বলেন যে, তিনি ১৮৬৮ সালে

বাসভূমি যশপাের রাজ্যে গমন করিয়াছিলেন। তাঁহার তলাবমতে বহসংখ্যক অসভ্য কোড়বা আসিয়া তাঁহাকে ঘিরিয়া দাঁড়াইল, কিন্তু তাহাদিগের মধ্যে কেহই কোড়বা ভাষার এক বৰ্ণও বলিতে পারিল না। তাহারা বলিল, তাহারা ডিহি কোড়বা-অৰ্থাৎ পাকবত্য প্রদেশ পরিত্যাগ পািব্বক সমতল প্রদেশে বাস করিয়া চাষ আবাদ করিতেছে। দেশ ও সমাজ পরিত্যাগের সঙ্গে ভাষাও ত্যাগ করিয়াছে। উদাহরণের স্বরপ কর্ণেল ডালটন আরও বলেন যে, চুটীয়া নাগপাের প্রদেশে ওঁরাওদিগের যে সকল গ্রাম আছে, তাহার মধ্যে অনেক অনেক গ্রামের ওঁরাওয়েরা জাতীয় ভাষা বলিতে পারে না, হিন্দ, বা মড্যুদিগের vesSR zen zegt Ethnology of Bengal, p. 115. 卒 ミーミ○ ○○○