পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बिबर्थ अवक-बाछाक्षौद्ध छे६अखि পঞ্চম বৰ্ণ নাই।।*। টীকাকার কুল্পকে ভট্ট তাহাতে লেখেন যে, সঙ্কীর্ণ জাতিগণ অশ্বতরবৎ মাতা বা পিতার জাতি হইতে ভিন্ন; তাহারা জাত্যন্তর বলিয়া তাহাদিগের বণত্ত্বি নাই। এইরাপ অসবৰ্ণ পরিণয়াদিতে কাহারা জন্মিত, তাহা দেখা যাউক । “ব্রোহ্মণাৎ বৈশ্যকন্যায়ামম্বন্ঠো নাম জায়তে। নিষাদঃ শদ্রেকন্যায়াং যঃ পারিশব উচ্যতে৷” মন, ১oম অধ্যায়, ৮ শ্লোক। অর্থাৎ বৈশ্যকন্যার গভে ব্রাহ্মণ হইতে অম্বন্ঠের জন্ম, আর শব্দ্রকন্যার গভে ব্রাহ্মণ হইতে নিষাদ বা পােরশবের জন্ম। পানশচ “শদ্রোদায়োগবঃ ক্ষত্তা চণ্ডডালশচাধমো নাণাং। বৈশ্যরাজন্যবিপ্রাস জায়ন্তে বৰ্ণসঙ্করাঃ ৷” মন, ১oম অ, ১২। অর্থাৎ বৈশ্যার গভে শব্দ্র হইতে আয়োগব, ক্ষত্ৰিয়ার গভে শব্দ্র হইতে ক্ষত্তা, আর ব্রাহ্মণকন্যার গভে শদ্রে হইতে চাওডালের জন্ম। যে সকল ব্রাহ্মণাদি দ্বিজ অৱত হইয়া পতিত হয়, মন, তাহাদিগকে ব্রাত্য বলিয়াছেন। এবং ব্রাহ্মণ ব্রাত্য, ক্ষত্ৰিয় ব্রাত্য এবং বৈশ্য ব্রাত্য হইতে নীচজাতির উৎপত্তির কথা লিখিয়াছেন। মহাভারতে অনশাসন পন্ধেব ব্রাত্যাদিগকে ক্ষত্ৰিয়ার গভে শব্দ্র হইতে জাত বলিয়া বাণিত আছে । এই সকল সঙ্করবণ, ব্রাহ্মণ, ক্ষত্ৰিয়, বৈশ্যমধ্যে স্থান পায় নাই, ইহা একরােপ নিশ্চিত। এবং ইহারা যে শব্দ্রদিগের মধ্যে স্থান পাইয়াছিল, তাহাও সম্পন্ট দেখা গিয়াছে। আয়োগবি বা ব্রাত্য এক্ষণে বাঙ্গালায় নাই; কখন ছিল কি না সন্দেহ; কেন না, ক্ষত্ৰিয় বৈশ্য বাঙ্গালায় কখন আইসে নাই। কিন্তু চণ্ডডালেরা বাঙ্গালায় অতিশয় বহল; বাঙ্গালী শদ্রের তাহা একটি প্রধান ভাগ। চম্পডালেরা অন্ততঃ মাতৃকুলে আৰ্য্যবংশীয়। বাঙ্গালায় শব্দ্রজাতি অনেকেরই সঙ্করবর্ণ; সঙ্করবর্ণ হইলেই যে তাহদের শরীরে আর্য্যশোণিত, হয়। পিতৃকুল, নয় মাতৃকুল হইতে আগত হইয়া বাহিত হইবে, তদ্বিষয়ে সংশয় নাই। বাঙ্গালায় অম্বষ্ঠা আছে, তাহারা যে উভয় কুলে বিশদ্ধ আৰ্য, তাহার প্রমাণ উপরে দেওয়া গিয়াছে। কেন না, ব্ৰাহ্মণ ও বৈশ্য উভয়েই বিশদ্ধ আৰ্য্য। তৃতীয়, আমরা শেষ তিন পরিচ্ছেদে যাহা বলিলাম, তাহা হইতে উপলব্ধি হইতেছে যে, বাঙ্গালায় শািন্দ্রমধ্যে কতকগলি বিশদ্ধ আৰ্য্যবংশীয় এবং কতকগলি আয্যে অনায্যে মিশ্ৰিত, পিতৃমাতৃকুলের মধ্যে এক কুলে আৰ্য, আর কুলে অনাৰ্য্য। চতুর্থতঃ, কতকগলি শদ্রেজাতি প্রাচীন কাল হইতে আৰ্য্যজাতিমধ্যে গণ্য, কিন্তু আধনিক বাঙ্গালায় তাহারা শব্দ্র বলিয়া পরিচিত; যথা বণিক। বণিকেরা বৈশ্য; তাহার প্রমাণ প্রাচীন সংস্কৃত গ্রন্থে পৰ্য্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়। বোধ হয়, কেহই তাহাদিগের বৈশ্যত্ব অস্বীকার করিবেন না। বাঙ্গালায় শব্দ্রমধ্যে যে বৈশ্য আছে, তাহার। ইহাই এক অখন্ডনীয় প্রমাণ। সপ্তম পরিচ্ছেদ-স্থল কথা$ পািনরক্তি করিতেছি। ভাষাবিজ্ঞানের সাহায্যে ইহা স্থিরীকৃত হইয়াছে যে, ভারতীয় এবং ইউরোপীয় প্রধান

  • “ব্ৰাহ্মণঃ ক্ষত্রিয়ো বৈশ্যপত্রয়ো বৰ্ণা দ্বিজাতিয়ঃ। 5फूथ* @दङाङिछ्रु भद्रा नाठि फू **gभः ॥”

Sr., Sony Weyrs, 8 + “পঞ্চমঃ পনবর্ণো নান্তি। সঙ্কীণীজাতীনাং অশ্বতরবৎ মাতাপিতৃজাতি।ব্যাতিরিক্তজাত্যন্তরত্বাং না বািণত্বিং ” $বঙ্গদর্শন, ১২৮৮), জ্যৈষ্ঠ। ○ り>