পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

र्वाब्क् রচনাবলী । মনকেষ্য-জন্তু উভয়াহারী। তাহারা মাংসভোজী; এবং ফলমলও আহার করে। বড় বড় গাছ খাইতে পারে না; ছোট ছোট গাছ সমলে আহার করে। মনষ্যেরা ছোট গাছ। এত ভালবাসে যে, আপনারা তাহার চাষ করিয়া ঘেরিয়া রাখে। ঐরােপ রক্ষিত ভূমিকে ক্ষেত বা বাগান বলে। এক মনষ্যের বাগানে অন্য মনষ্যি চরিতে পায় না। মনষ্যেরা ফলমল লতাগালমাদি ভোজন করে বটে, কিন্তু ঘাস খায় কি না, বলিতে পারি না। কখন কোন মনীষাকে ঘাস খাইতে দেখি নাই। কিন্তু এ বিষয়ে আমার কিছ: সংশয় আছে। শ্বেতবাণ মনষ্যেরা এবং কৃষ্ণবৰ্ণ ধনবান মনষ্যেরা বহী যত্নে আপন আপনি উদ্যানে ঘাস তৈয়ার করে। আমার বিবেচনায় উহারা ঐ ঘাস খাইয়া থাকে। নহিলে ঘাসে তাহদের এত যত্ন কেন ? এরপ আমি একজন কৃষ্ণবৰ্ণ মনষ্যের মাখে শনিয়াছিলাম। সে বলিতেছিল, “দেশটা উচ্ছন্ন গেল-যত সাহেব সবো বড় মানষে বসে বসে ঘাস খাইতেছে।” সতরাং প্রধান মনষ্যেরা যে ঘাস খায়, তাহা এক প্রকার নিশচয়। কোন মনষ্যে বড় ক্রুদ্ধ হইলে বলিয়া থাকে, “আমি কি ঘাস খাই ? আমি জানি, মনষ্যদিগের স্বভাব এই, তাহারা যে কাজ করে, অতি যত্নে তাহা গোপন করে। অতএব যেখানে তাহারা ঘাস খাওয়ার কথায় রাগ করে, তখন অবশ্য সিদ্ধান্ত করিতে হইবে যে, তাহারা ঘাস খাইয়া থাকে। মনষ্যেরা পশতু পজা করে। আমার যে প্রকার পজা করিয়াছিল, তাহা বলিয়াছি। অশ্বদিগেরও উহারা ঐরােপ পজা করিয়া থাকে; অশ্বদিগকে আশ্রয় দান করে, আহার যোগায়, গাত্র ধৌত ও মাডজনাদি করিয়া দেয়। বোধ হয়, অশ্ব মনষ্যে হইতে শ্রেষ্ঠ পশ, বলিয়াই মনষ্যেরা তাহার পজা করে। মনষ্যেরা ছাগ, মেষ, গবাদিও পালন করে। গো সম্পবন্ধে তাহদের এক আশ্চর্য ব্যাপার দেখা গিয়াছে; তাহারা গোরীর দগ্ধ পান করে। ইহাতে পািব্বকালের ব্যাঘ্র পশিডতেরা সিদ্ধান্ত করিয়াছেন যে, মনষ্যেরা কোন কালে গোেরর বৎস ছিল। আমি তত দীর বলি না, কিন্তু এই কারণেই বোধ করি, গোেরর সঙ্গে মানষের বদ্ধিগত সাদশ্যে দেখা যায়। সে যাহাঁই হউক, মনষ্যেরা আহারের সংবিধার জন্য গোর, ছাগল এবং মেষ পালন করিয়া থাকে। ইহা এক সরীতি, সন্দেহ নাই। আমি মানস করিয়াছি, প্রস্তাব করিব যে, আমরাও মানষের গোহািল প্ৰস্তৃত করিয়া মনষ্যে পালন করিব। গো, অশ্ব, ছাগ ও মেষের কথা বলিলাম। ইহা ভিন্ন হস্তী, উল্ট্র, গাদ্দািভ, কুক্কর, বিড়াল, এমন কি, পক্ষী পৰ্যন্ত তাহদের কাছে সেবা প্রাপ্ত হয়। অতএব মনীষ্য জাতিকে সকল পশর ভূত্য বলিলেও বলা যায়। মনষ্যালয়ে অনেক বানরও দেখিলাম। সে সকল বানর দ্বিবিধ; এক সলঙ্গল, অপর লাঙ্গলশন্য। সলাঙ্গল বানরেরা প্রায় ছাদের উপর, না হয়। গাছের উপর থাকে। নীচেও অনেক বানর আছে বটে, কিন্তু অধিকাংশ বানরই উচ্চপদস্থ। বোধ হয়, বংশমৰ্য্যাদা বা জাতিগৌরব ইহার কারণ। মনকেষ্যচরিত্র অতি বিচিত্র। তাহদের মধ্যে বিবাহের যে রীতি আছে, তাহা অত্যন্ত কৌতুকাবহ। তদ্ভিন্ন তাহাদিগের রাজনীতিও অত্যন্ত মনোহর। ক্রমে ক্রমে তাহা বিবত कठिछ।” এই পৰ্যন্ত প্ৰবন্ধ পঠিত হইলে, সভাপতি আমিতোদর, দরে একটি হরিণশিশ দেখিতে পাইয়া, চেয়ার হইতে লাফ দিয়া তদন সরণে ধাবিত হইলেন। আমিতোদর এইরপ দরিদশী বলিয়াই সভাপতি হইয়াছিলেন। সভাপতিকে অকস্মাৎ বিদ্যালোচনায় বিমাখ দেখিয়া প্ৰবন্ধপাঠক কিছ ক্ষম হইলেন। তাঁহার মনের ভাব বাঝিতে পারিয়া একজন বিজ্ঞ সভ্য তাঁহাকে কহিলেন, “আপনি ক্ষন্ধি হইলেন না, সভাপতি মহাশয় বিষয়কম্মোপলক্ষে দোঁড়িয়াছেন। হরিণের পাল उानिशाcछ, आधि ब्राश °ाछेटऊछ।” gg BDB DDDDDBDBD BDBBDB BD BDB DDS DDD BD DDB DBDBS সেই দিকে বিষয়কন্মের চেষ্টায় ধাবিত হইলেন। লেকচােররও এই বিদ্যাথীদিগের দািমটান্তের অন্যবিত্তী হইলেন। এইরূপে সে দিন ব্যাঘ্রদিগের মহাসভা অকালে ভঙ্গ হইল।” মিল স্থির করিয়াছেন যে, প্রাচীন ভারতবর্ষীয়ের অসভ্য জাতি, এবং সংস্কৃত ভাষা অসভ্য ভাষা। বস্তুতঃ এই ব্যােন্ত্র পন্ডিতে এবং মনষ্যে পণ্ডিতে অধিক বৈলক্ষণ্য দেখা যায় না।