পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बभ्का ब्रष्नाबव्ी সাহিত রাজনৈতিক সখ্যে বদ্ধ হইয়াছিলেন। এই সময়ে ভারতবষীয় ধম্পমপ্রচারকেরা ধৰ্ম্মম প্রচারে যাত্রা করিয়া অদ্ধেক আশিয়া ভারতীয় ধৰ্ম্মেম দীক্ষিত করিয়াছিলেন। শিলািপবিদ্যার যে এই সময়ে বিশেষ উন্নতি হইয়াছিল, তাহার প্রমাণ আছে। দশনশাস্ত্রের বিশেষ অনশীলন বৌদ্ধোদায়ের আনষঙ্গিক বলিয়া বোধ হয়। বিজ্ঞান সাহিত্যের বিশেষ অনশীলনের কালনিরাপণ করা কঠিন, কিন্তু শাক্যসিংহের সম্পাদিত ধৰ্ম্ম বিপ্লবের সহিত যে, সে সকলের বিশেষ সম্পবিন্ধ আছে, তাহা প্রমাণ করা যাইতে পারে। দ্বিতীয় সাম্যাবতার যীশগ্ৰীস্ট। যে সময়ে শ্ৰীষ্টধর্মের প্রচার আরম্ভ হয়, তখন ইউরোপ ও পশ্চিম আশিয়া রোমক রাজ্যভুক্ত। রোমের সৌন্ঠবদিবসের অপরাহু উপস্থিত। তখন রোম আর যাঁহাদিগের আমোদ কেবল রণক্ষেত্রেই ছিল, তাঁহারা এক্ষণে কেবল আহারে, দাসী সংসগে, এবং রঙ্গভূমের কৃত্রিম যাদ্ধে আমোদ প্রাপ্ত হইতে লাগিলেন। যে দেশবাৎসল্যগণে রোম নাম জগদ্বিখ্যাত হইয়াছিল, তাহা অন্তহিত হইয়াছিল। যে সমসামাজিকতার জন্য আমরা রোমের প্ৰশংসা করিয়াছি, যে সমসামাজিকতার গণে রোম পথিবীশ্বরী হইয়াছিল, তাহা লগুপ্ত হইতে লাগিল। আমরা পৰ্কেব রোমনগরীর কথা বলিয়াছি। এক্ষণে রোমক সাম্রাজ্যের কথা বলিতেছি। রোমকসাম্রাজ্যে চিরদাসত্বজনিত বৈষম্য সাংঘাতিক রোগস বরােপ প্রবেশ করিয়াছিল। এক এক ব্যক্তির সহস্ৰ সহস্র চিরদাস থাকিত। প্রভুর অকরণীয় সমদায় কাৰ্য্য সেই সকল দাসের দ্বারা হইত। ভূমিকষাণ, গাহস্থ্যি ভূত্যের কার্য্য, শিল্পকাৰ্য্যাদি চিরদাসগণের দ্বারা নিৰ্ব্ববাহ হইত। তাহারা গোর বাছরের ন্যায় ক্রীত বিক্রীত হইত। গোর বাছরের উপর প্রভুর যেরপে অধিকার, দাসের উপরও সেইরােপ অধিকার ছিল। প্ৰভু মারিলে মারিতে পারিতেন, কাটিলে কাটিতে পারিতেন, বধ করিলেও দণ্ডডনীয় হইতেন না। প্রভুর আজ্ঞায় দাস রঙ্গভূমে অবতীর্ণ হইয়া সিংহ ব্যাঘ্ৰাদি পশর সঙ্গে যাদ্ধ করিয়া প্রাণ হারাইত-প্ৰভু তামাসা দেখিতেন। রোমক সাম্রাজ্যের লোক দাই ভাগে বিভক্ত-প্ৰভু এবং দাস। এক ভাগ অনন্তভোগাসক্ত—আর এক ভাগ অনন্ত দন্দীশাপন্ন। কেবল এই বৈষম্য নহে। সম্রাট স্বেচ্ছাচারী। তাঁহার ক্ষমতা ও প্রতাপের সীমা ছিল না। নীরো, নগরে অগ্নি লাগাইয়া বীণাবাদনপৰিবাক রঙ্গ দেখিয়াছিলেন। কালিগােলা আপন অশ্বকে কনসলের পদে বরণ করলেন। ইলিয়গেবলসের স্বেচ্ছাচারিতা বণনা করিতে লজা করে। যে হউন না কেন, যত বড় লোক হউন না কেন, সম্রাটের ইচ্ছামাত্রে তিনি বধ্য-বিনা কারণে, বিনা প্রয়োজনে, বিনা বিচারে, তিনি বধ্য। আবার সেই সম্রাটের উপর সম্রাট প্রেটরীয় সৈনিক। তাহারা আজ যাহাকে ইচ্ছা, তাহাকে সমাট করে-কাল সে সমাটকে বধ করিয়া অন্যকে রাজা করে। রোমক সাম্রাজ্য তাহারা আল পটলের মত ক্রয় বিক্রয় করে। রোমকে তাহারা যাহা মনে করে, তাহাই করে। সবায় সবায় সবাদারেরা স্বেচ্ছাচারী। যাহার শক্তি আছে, সেই স্বেচ্ছাচারী। যেখানে সেবচ্ছাচার প্রবল, সেখানে বৈষ্যমও প্রবল । এই সময় খ্রীস্টধৰ্ম্মম রোমক সাম্রাজ্য মধ্যে প্রচারিত হইতে লাগিল। শ্ৰীলেটের উচ্চারিত মহতী বাণী লোকের মন্মভেদ করিয়া প্রবেশ করিতে লাগিল। তিনি বলিয়াছিলেন, মনষ্যে মনষ্যে ভ্রাতৃসম্পবিন্ধ। সকল মনীষাই ঈশ্বর সমক্ষে তুল্য। বরং যে পীড়িত, দঃখী, কাতর, সেই ঈশ্বরের অধিক প্রিয়। এই মহাবাক্যে বড় মানষের গৰব খৰ্ব্ব হইল-প্রভুর গৰব খৰ্ব্বব হইলঅঙ্গহীন ভিক্ষকও সমাটের অপেক্ষা বড় হইল। তিনি বলিয়াছিলেন, ইহলোকে আমার রাজত্ব নহে-ঐহিক সখি, সখি নহে-ঐহিক প্রাধান্য, প্রাধান্য নহে। পথিবীতে দাইবার দাইটি বাক্য উক্ত হইয়াছে-তােহাঁই নীতিশাস্ত্রের সার-তদন্তিরিক্ত নীতি আর কিছই নাই। একবার আৰ্য্যবংশীয় ব্রাহ্মণ গঙ্গাতীরে বলিয়াছিলেন, “আত্মবৎ সব্বভুতেষ যঃ পশ্যতি স পন্ডিতঃ”। “অন্যের নিকট তুমি যে ব্যবহারের কামনা কর, অন্যের প্রতি তুমি সেই ব্যবহার করিও”। এই দাইটি বাক্যের ন্যায় মহৎ বাক্য ভূমন্ডলে আর কখন উক্ত হইয়াছে কি না। সন্দেহ। এই বাক্য সাম্যতত্ত্বের মিল । এই সকল তত্ত্ব ধৰ্ম্মশাস্ত্রোক্তি বলিয়া পরিগহীত হইতে লাগিলে, দাসের বন্ধনশঙ্খল মোচন হইতে লাগিল। ভোগাভিলাষী ভোগাভিলাষ ত্যাগ করিতে লাগিল। তৎপ্ৰসাদে রোমকে বকবরে Š9፱ 8