s মিলিত হইয়া, মহাতেজস্বী, উন্নতিশীল, যাদ্ধদন্মদ জাতি সকল সঞ্জাত হইল। তাহারাই আধনিক ইউরোপীয়দিগের পঞ্চবর্ণপরিষ। আধনিক ইউরোপীয় সভ্যতার ন্যায় লৌকিক উন্নতি পথিবীতে কখন হয় নাই বা হইবে। এমত ভরসা পর্বগামী মনষ্যেরা কখন করেন নাই। ইহা যে কেবল শ্ৰীমন্ট ধর্মের ফল, এমত নহে; ইহার অনেক কারণ আছে- কিন্তু প্রধান কারণ খ্রীস্টীয় নীতি এবং গ্রীক সাহিত্য এবং দর্শন। এবং শ্ৰীমন্ট ধৰ্ম্মেম যে কেবল সফলই ফলিয়াছে, এমত নহে। ইন্ট এবং অনিন্ট উভয়বিধ ফলই ফলিয়াছিল। খ্রীস্ট ধৰ্ম্মম সাম্যািত্মক হইলেও পরিণামে তৎফলে একটি গারতের বৈষম্য জন্মিয়াছিল। ধৰ্ম্মমযাজকদিগের অত্যন্ত প্ৰভুত্ব বদ্ধি হইয়াছিল। স্পেন, ফ্রান্স প্রভৃতি কয়েকটি ইউরোপীয় রাজ্যে এই বৈষম্য বড় গরতের হইয়াছিল। বিশেষ ফ্রান্সে। তৎসহিত উচ্চশ্রেণী এবং অধঃশ্রেণীর মধ্যে ঈদশ গরতের বৈষম্য জন্মিয়াছিল যে, সেই বৈষম্যের ফলে ফরাসী মহাবিপ্লব ঘটিয়াছিল। সেই মথিত সাগরের একজন মন্থনকত্তা ছিলেনতিনিই তৃতীয় বারের সাম্যতত্ত্ব প্রচারকত্তা। তৃতীয় সাম্যাবতার রসো। দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ অল্টাদশ শতাব্দীতে ফ্রান্স রাজ্যের যে অবস্থা ঘাঁটিয়াছিল, তাহা বৰ্ণনীয় নহে। এই ক্ষদ্র প্রবন্ধের মধ্যে তাহার বণনার স্থান নাই-প্রয়োজনও নাই। জগদ্বিখ্যাত, বাক্যবিশারদ, পরাবাত্তজ্ঞ, সক্ষমাদশী বহিসংখ্যক লেখক তাহার পাঞ্জ পাঞ্জ বর্ণনা করিয়াছেন; সেই সকল বৰ্ণনা সকলেরই অনায়াসপাঠ্য। দই একটা কথা বলিলেই আমাদিগের উদ্দেশ্য সাধন হইবে। কালাইল ব্যঙ্গ করিয়া বলিয়াছেন যে, “যে আইন অনসারে একজন ভূম্যধিকারী মািগয়া হইতে আসিয়া দাই জন দাস বধ করিয়া তাহাদিগের রক্তে পদ প্রক্ষালন করিতে পারিতেন, সে আইন ইদানীং আর প্রচলিত ছিল না”। ইদানীং প্রচলিত ছিল না! তবে পন্ধেব ছিল! “পঞ্চাশৎবৎসরমধ্যে শারলোয়ার ন্যায় কোন ব্যক্তি স্থপতিদিগকে গলি করিয়া তাহারা কি প্রকারে ছাদের উপর হইতে গড়াইয়া পড়ে, দেখিয়া আনন্দ লাভ করে না।” সেরাজউদ্দৌল্লা দেশের অধিপতি ছিলেন; শারলোয়া উচ্চশ্রেণীর প্রজা মাত্র। এই ব্যঙ্গোক্তিতেই তাৎকালিক ফরাসীদিগের মধ্যে কি অচিন্তনীয় বৈষম্য জলিময়াছিল, তাহা বাঝা যাইবে। পঞ্চদশ লই প্রমোদান রক্ত, বােথাভোগাসক্ত, ব্যয়শৌশড, সাবাথ পর রাজা ছিলেন। তাঁহার উপপত্নীগণের পরিতুষ্টির জন্য অনন্ত ধনরাশির আবশ্যক। মাদাম পোম্পাদর ও মাদাম দিবারি যে ঐশ্বৰ্য্য ভোগ করিয়াছিলেন, তাহা পরিণীতা রাজমহিষীর নিম্পকলঙ্ক কপালেও ঘটে না। মাদাম দাবারির একটি বানরবৎ কাফ্রি খানসামা ছিল; সে এক স্থানে শাসনকর্তৃত্বপদে নিষিক্ত হইয়াছিল-মাদামের আজ্ঞা! লইর বিলাসভবনের বণনা শনিলে ইন্দ্রপ্রস্থের দৈবশক্তিনিশ্চিমাতা পান্ডবীয়া পরীর সঙ্গে তুলনা করা যায়-সেই সকল প্রমোদমন্দিরে যে উৎসব হইত, কিসের সঙ্গে তাহার তুলনা করিব ? জলবৎ অর্থব্যয়,-“এদিকে রাজকোষ শান্য! রাজকোষ শনা, এবং প্রজাবগমধ্যে অন্নাভাবে হাহাকার রব আকাশমধ্যে উঠিতেছিল। রাজকোষ শান্য-প্ৰজামধ্যে অন্নাভাব, হাহাকার রবী—তবে এ সভাপব্বের রাজসয়ে, এ নন্দনকাননে ঐন্দ্ৰ বিলাস-এ সকল অর্থসাধ্য ব্যাপার সম্পন্ন হয় কোথা হইতে ? সেই অন্নাভাবপীড়িত প্রজার জীবনোপায় অপহরণ করিয়া। পিন্টিকে পোষণ করিয়া-শঙ্ককে শোষণ করিয়া, দন্ধকে দাহন করিয়া দবারি কুলকলঙ্কিনীরা অলীকদম রত্নরাজিতে শোভিত হয়। আর বড় মানষেরা ? তাহারা এক কপদক রাজকোষে অপাণ করে না-কেবল রাজপ্ৰসাদ ভোগ করে। রাজপ্ৰসাদ অজস্ৰ, অনন্ত অপরিমিত-যে যত পায়, গ্রহণ করে, কেন না, তাহা পিন্টপেষণলব্ধ। কিন্তু রাজপ্ৰসাদভোগীরা কপদীক মাত্র রাজকোষে দেয় না। বড় মানষে কর দেয় না, ধৰ্ম্মযাজকেরা করা দেয় না, রাজপরিষের করা দেয় না-কেবল দীন দঃখী কৃষকেরা করা দেয়। তাহার উপর করসংগ্রাহকদিগের অত্যাচার। মিশালা বলেন, “কর আদায় এক প্রকার প্রণালীবদ্ধ যন্ধের ন্যায় ছিল। তাহার দ্বারা দাই লক্ষ নিদ্ৰাকমা ভূমিকে প্ৰপীড়িত করিত। এই পঙ্গপালের রাশি, সন্মবািগ্লাস, সব্বনাশ করিত। এই প্রকারে পরিশোষিত প্ৰজাদিগের নিকট আরও আদায় করিতে হইলে, BB uDuD DBDBBDS DBB EuiBBDDS DDD BDBBDS DDBDDS BBBDBB sDuuD আবশ্যক হইল।” রাজকর ইজারা বন্দোবন্ত ছিল; ইজারাদারের এমন অধিকার ছিল যে, Ο θάξ
- ミーミ6
