বঙ্কিম রচনাবলী বলিতে চাহি যে, আপনারা দই দিন যে বক্তৃতা শনিলেন, তাহাতে অবশ্য বঝিয়া থাকিবেন যে, মনকেষ্য অতি অসভ্য পশ। আমরা অতি সভ্য পশ। সতরাং আমাদের কৰ্ত্তব্য হইতেছে যে, আমরা মনষ্যগণকে আমাদের ন্যায় সভ্য করি। বোধ করি, মনষ্যদিগকে সভ্য করিবার জন্যই জগদীশ্বর আমাদিগকে এই সন্দরবনভূমিতে প্রেরণা করিয়াছেন। বিশেষ, মানষেরা সভ্য হইলে, তাহাদের মাংস আরও কিছ, সম্ববাদ হইতে পারে, এবং তাহারাও আরও সহজে ধরা দিতে পারে। কেন না, সভ্য হইলেই তাহারা বঝিতে পরিবে যে, ব্যাঘুদিগের আহারার্থ শরীরদান করাই মনষ্যের কত্তব্য। এইরূপ সভ্যতাই আমরা শিখাইতে চাই। অতএব আপনারা এ বিষয়ে মনোযোগী হউন। ব্যাঘদিগের কত্তব্য যে, মনষ্যদিগকে অগ্ৰে সভ্য করিয়া পশ্চাৎ ভোজন করেন।” সভাপতি মহাশয় এইরপে বক্তৃতা সমাপন করিয়া লাঙ্গলচটচটারব্যমধ্যে উপবেশন করিলেন, তখন সভাপতিকে ধন্যবাদ প্ৰদানানন্তর ব্যাঘদিগের মহাসভা ভঙ্গ হইল। তাঁহারা যে যথায় পারিলেন, বিষয়কক্ষেম প্রয়াণ করিলেন। যে ভূমিখন্ডে সভার অধিষ্ঠান হইয়াছিল, তাহার চারি পাশ্বে কতকগালিন বড় বড় গাছ ছিল। কতকগালিন বানর তদাপরি আরোহণ করিয়া ব্যক্ষপত্রমধ্যে প্রচ্ছন্ন থাকিয়া ব্যােন্ত্রদিগের বক্তৃতা শনিতেছিল। ব্যান্ত্রেরা সভাভূমি ত্যাগ করিয়া গেলে, একটি বানর মািখ বাহির করিয়া অন্য विठौश बान्द्ध बलिका, ‘उाख, उाछि ।” প্রথম বানর। আইস, আমরা এই ব্যােন্ত্রদিগের বক্তৃতার সমালোচনায় প্রবত্ত হই। वि, वा। कन? প্র, বা। এই বাঘেরা আমাদিগের চিরশত্র। আইস, কিছ নিন্দা করিয়া শত্ৰতা সাধা। যাউক । দ্বি, বা। অবশ্য কত্তব্য। কাজটা আমাদিগের জাতির উচিত বটে। প্র, বা। আচ্ছা, তবে দেখ, বাঘেরা কেহ নিকটে নাই তা ? দ্বি, বা । না। তথাপি আপনি একটি প্রচ্ছন্ন থাকিয়া বলন। প্র, বা। সেই কথাই ভাল! নইলে কি জানি, কোন দিন কোন বাঘের সম্মখে পড়ব, আর আমাকে ভোজন করিয়া ফেলিবে। দ্বি, বা । বলন। কি দোষ ? প্র, বা। প্রথম ব্যাকরণ অশদ্ধ। আমরা বানরজাতি, ব্যাকরণে বড় পন্ডিত। ইহাদের ব্যাকরণ আমাদের বাঁদরে ব্যাকরণের মত নহে। দ্বি, বা । তার পর ? প্র, বা । ইহাদের ভাষা বড় মন্দ। দ্বি, বা। হাঁ, উহারা বাঁদরে কথা কয় না! প্র, বা। ঐ যে অমিতোদর বলিল, “ব্যাঘ্রদিগের কত্তব্য, অগ্ৰে মনষ্যদিগকে সভ্য করিয়া পশ্চাৎ ভোজন করেন? ইহা না বলিয়া যদি বলিত, ‘অগ্ৰে মনষ্যদিগকে ভোজন করিয়া পশ্চাৎ সভ্য করেন? তাহা হইলে সঙ্গত হইত। দ্বি, বা। সন্দেহ কি-নাহিলে আমাদের বানর বলিবে কেন ? প্র, বা। কি প্রকারে বক্তৃতা হয়, তাহা উহারা জানে না। বক্তৃতায় কিছ, কিচমিচ করিতে হয়, কিছ লম্বফঝাম্পফ করিতে হয়, দই এক বার মািখ ভেঙ্গাইতে হয়, দই এক বার কদলী ভোজন করিতে হয়; উহাদের কৰ্ত্তব্য, আমাদের কাছে কিছ শিক্ষা লয়। জ্বি, বা । আমাদিগের কাছে শিক্ষা পাইলে বানর হইত, ব্যাক্স হইত না। এমত সময়ে আরো কয়েকটা বানর সাহস পাইয়া উঠিল। এক বানর বলিল, “আমার বিবেচনায় বক্তৃতার মহন্দোষ এই যে, বহল্লাঙ্গলে আপনার জ্ঞান ও বদ্ধির দ্বারা আবিস্কৃত অনেকগালিন নতেন। কথা বলিয়াছেন। সে সকল কথা কোন গ্রন্থেই পাওয়া যায় না। যাহা পািব্বলেখকদিগের চব্বিতচক্ৰবাণ নহে, তাহা নিতান্ত দােষ্য। আমরা বানর জাতি, চিরকাল চবিতচক্ৰবাণ করিয়া বানরলোকের শ্ৰীবদ্ধি করিয়া আসিতেছি-ব্যাপ্লাচাৰ্য্য যে তাহা করেন নাই ইহা মহাপাপ।” তখন একটি র্যাপী বানর বলিয়া উঠিল, “আমি এই সকল বক্তৃতার মধ্যে হাজার এক দোষ BDDD DDDD DDD DDDB BD S DBDDD BBDB BB DDBB BBBB BBD DDD SS BBD আমার বিদ্যাবন্ধির অতীত, তাহা মহাদোষ বই আর কি ?” y
