পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बम्किम ब्राश्नाबजौं rers হইতে ঐতিহাসিক তত্ত্ব উদ্ভূত করিতে নিযক্ত, কিন্তু তাহদের এ কথা অসহ্য যে, পরাধীন দকবল হিন্দজাতি, কোন কালে সভ্য ছিল, এবং সেই সভ্যতা অতি প্রাচীন। অতএব দই চারি জন ভিন্ন তাহারা সচরাচর প্রাচীন ভারতবর্ষের গৌরব খব্ব করিতে নিযক্ত। তাঁহারা যত্নপাকবািক ইহাই প্রমাণ করিতে চাহেন যে, প্রাচীন ভারতবষীয় গ্রন্থ সকলে যাহা কিছ আছেহিন্দধর্মবিরোধী বৌদ্ধগ্রন্থ ছাড়া-সকলই আধনিক, আর হিন্দীগ্রন্থে যাহাই আছে, তাহা হয় সম্পপণ্য মিথ্যা, নয়। অন্য দেশ হইতে চুরি করা। কোন মহাত্মা বলেন, রামায়ণ হোমরের কাব্যের অন্যাকরণ; কেহ বা বলেন, ভগবদগীতা বাইবেলের ছায়ামাত্র। হিন্দরে জ্যোতিষ চীন, যবন বা কালডিয়া হইতে প্রাপ্ত; হিন্দরে গণিতও পরের কাছে পাওয়া; লিখিত অক্ষরও কোন সীমীয় জাতীয় হইতে প্রাপ্ত। এ সকল কথা প্ৰতিপন্ন করিবার জন্য তাঁহাদের বিচারপ্রণালীর মািল সত্র এই যে, ভারতবষীয় গ্রন্থে ভারতপক্ষে যাহা পাওয়া যায়, তাহা মিথ্যা বা প্ৰক্ষিপ্ত, যাহা ভারতবর্ষের বিপক্ষে পাওয়া যায়, তাহাই সত্য। পাশডবদিগের ন্যায় বীরচরিত্র ভারতবষীয় পরিষের কথা মিথ্যা, পান্ডব কবিকল্পনা মাত্র, কিন্তু পান্ডবপত্নী দ্ৰৌপদীর পঞ্চ পতি সত্য, কেন না, তদ্দ্বারা সিদ্ধ হইতেছে যে, প্রাচীন ভারতবাসীয়েরা চায়াড় জাতি ছিল, তাহাদিগের মধ্যে সন্ত্রীলোকদিগের বহবিবাহ প্রচলিত ছিল। ফগর্ভসন সাহেব অট্টালিকার ভগ্নাবশেষে কতকগলা বিবস্ত্রা সন্ত্রীমত্তি দেখিয়া সিদ্ধান্ত করিয়াছেন যে, প্রাচীন ভারতবর্ষে সত্ৰীলোকেরা কাপড় পরিত না; এদিকে মথরা প্রভৃতি স্থানের অপব্ব ভাস্কৰ্য্য দেখিয়া বিলাতী পন্ডিতেরা স্থির করিয়াছেন, এ শিল্প গ্ৰীক মিস্ত্রীর। বেবর (Weber) সাহেব, কোন মতে হিন্দীদিগের বাবিলনীয়দিগের নিকট হইতে পাইয়াছে। বাবিলনীয়দিগের যে চান্দ্র নক্ষত্রমন্ডল আদৌ কখনও ছিল না, তাহা চাপিয়া গেলেন। প্রমাণের অভাবেও Whitney সাহেব বলিলেন, তাহা হইতে পারে, কেন না, হিন্দদের মানসিক স্বভাব তেমন তেজস্বী নয় যে, তাহার নিজবদ্ধিতে VS5 KG এই সকল মহাপরিষগণের মতের সমালোচনায় আমার কোন প্রয়োজন ছিল না। কেন না, আমি সর্বদেশীয় পাঠকের জন্য লিখি, হিন্দীদ্বেষীদিগের জন্য লিখি না। তবে দঃখের বিষয় এই যে, আমার স্বদেশীয় শিক্ষিতসম্প্রদােয়মধ্যে অনেকে তাঁহাদের মতের অন্যবিত্তীর্ণ। অনেকেই নিজে কিছ বিচার আচার না করিয়াই, কেবল ইউরোপীয় পন্ডিতদিগের মত বলিয়াই, সেই সকল মতের অন্যবিত্তীর্ণ। আমার দরকাঙ্ক্ষা যে, শিক্ষিত সম্প্রদায়ের মধ্যেও কেহ কেহ এই গ্রন্থ পাঠ করেন। তাই, আমি ইউরোপীয় মতেরও প্রতিবাদে প্রবত্ত। যাঁহাদের কাছে বিলাতী সবাই ভাল, যাঁহারা ইস্তক বিলাতী পন্ডিত, লাগায়েৎ বিলাতী কুকুর, সকলেরই সেবা করেন, দেশী গ্রন্থ পড়া দরে থাক, দেশী ভিখারীকেও ভিক্ষা দেন না, তাঁহাদের আমি কিছ: করিতে ਅੰ কিন্তু শিক্ষিত সম্প্রদায়ের মধ্যে অনেকেই সত্যপ্রিয় এবং দেশবৎসল। তাঁহাদের छक कथद । छूडौन अब्रिहश्छल-अशडाब्रटडब्र थेडिशनिकडा বলিয়াছি যে, কৃষ্ণচরিত্র যে সকল গ্রন্থে পাওয়া যায়, মহাভারত তাহার মধ্যে সব্বপাকবািবত্তীর্ণ। কিন্তু মহাভারতের উপর কি নির্ভর করা যায় ? মহাভারতের ঐতিহাসিকতা কিছু আছে কি ? মহাভারতকে ইতিহাস বলে, কিন্তু ইতিহাস বলিলে কি History ই বাবাইল ? ইতিহাস কাহাকে বলে ? এখনকার দিনে শগাল কুক্কারের গল্প লিখিয়াও লোকে তাহাকে “ইতিহাস” নাম দিয়া থাকে। কিন্তু বস্তৃতঃ যাহাতে পরাবত্ত, অর্থাৎ পৰেব যাহা ঘাঁটিয়াছে, তাহার আবত্তি আছে, DBBDD DDB BDD DBBDB uBDB DBD DDB BBB DS “ধমাৰ্থকামমোক্ষাণামপিদেশসমন্বিতম। পাকবািবত্তকথায্যক্তমিতিহাসং প্রচক্ষতে৷” এখন, ভারতবষের প্রাচীন গ্রন্থ সকলের মধ্যে কেবল মহাভারতই অথবা কেবল মহাভারত ও রামায়ণ ইতিহাস নাম প্রাপ্ত হইয়াছে। যেখানে মহাভারত ইতিহাস পদে বাচ্য, যখন অন্ততঃ SSO