পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ৰঙ্কিম রচনাবলী ইহার অৰ্থ । আঙ্গির সবংশীয় ঘোর (নামে ঋষি)। দেবকীপত্র কৃষ্ণকে এই কথা বলিয়া క్ష్యాల్దార్థా జ్ఞాశారా కి కానీ శా కాగా রবো, “তুমি অক্ষিত, আচুৰ্য্যত, প্রাণসংশিত।” এই ঘোর ঋষির পত্র কম্প্ৰবন্ধ। ঘোরপত্র কণােব ঋগ্বেদের কতকগালি সক্তের ঋষি। যথা, প্রথম মন্ডলে ৩৬ সত্তে হইতে ৪৩ সত্তে পৰ্যন্ত; এবং কলেবর পত্র ঐ মন্ডলের ১২শ হইতে ২৩শ পৰ্য্যন্ত সক্তের ঋষি। এবং কবের অন্য পত্র প্রতিকণােব ঐ মন্ডলের ৪৪ হইতে ৫o পৰ্যন্ত সক্তের ঋষি। এখন নিরক্তকার ব্যাসক বলেন, “ব্যস্য বাক্যং স ঋষিঃ।” অতএব ঋষিগণ সক্তের প্রণেতা হউন, বা না হউন, বক্তা বটে। অতএব ঘোরের পত্র এবং পৌত্রগণ ঋগ্বেদের কতকগালি সক্তের বক্তা। তাহা যদি হয়, তবে ঘোরশিষ্য কৃষ্ণ তাঁহাদিগের সমসাময়িক, তদ্বিষয়ে সন্দেহ নাই। এখন আগে বেদের সক্তিগলি উক্ত হইয়াছিল, তাহার পর বেদবিভাগ হইয়াছিল, এ সিদ্ধান্তের কোনও মতেই প্রতিবাদ করা যায় না। অতএব কৃষ্ণ বেদবিভাগকৰ্ত্তা বেদব্যাসের সমসাময়িক লোক, উপন্যাসের বিষয়মাত্র নহেন, তদ্বিষয়ে কোনও ९झ दारुद्रा बाझ क्षा । ঋগোিবদসংহিতায় অস্টম মন্ডলে ৮৫ ৷৷ ৮৬ ৷৷ ৮৭ সত্তে এবং দশম মন্ডলের ৪২ ৷৷ ৪৩ ৷৷ ৪৪ সক্তের ঋষি কৃষ্ণ। এই কৃষ্ণ দেবকীনন্দন কৃষ্ণ কি না, তাহার নিণয় করা দরহ। কিন্তু কৃষ্ণ ক্ষত্ৰিয় বলিয়াই বলা যাইতে পারে না যে, তিনি এই সকল সক্তের ঋষি নহেন; কেন না, ত্ৰসদস্যু, ত্র্যরণ, পরমীঢ়, অজমীঢ়, সিন্ধদ্বীপ, সদাস, মান্ধাতা, সিবি, প্রতদািন, কক্ষীবান প্রভৃতি রাজর্ষি যাঁহারা ক্ষত্ৰিয় বলিয়া পরিচিত, তাঁহারাও ঋগ্ৰেবাদ-সক্তের ঋষি, ইহা দেখা যায়। দই এক স্থানে শািন্দ্র ঋষির উল্লেখও পাওয়া যায়। কবষ নামে দশম মণ্ডলে একজন শদ্রে ঋষি আছেন; অতএব ক্ষত্ৰিয় বলিয়া কৃষ্ণের ঋষিত্বে আপত্তি হইতে পারে না। তবে ঋগোিবদসংহিতার অন্যক্ৰমণিকায় শৌনক কৃষ্ণ আঙ্গিরস ঋষি বলিয়া পরিচিত হইয়াছেন। উপনিষদ সকল বেদের শেষভাগ, এই জন্য উপনিষদকে বেদান্তও বলে। বেদের যে সকল অংশকে ব্ৰাহ্মণ বলে, তাহা উপনিষদ হইতে প্রাচীনতর বলিয়া বোধ হয়। অতএব ছন্দোগ্যোপনিষদ হইতে কৌষীতকিরাহ্মণ আরও প্রাচীন বলিয়া বোধ হয়। তাহাতেও এই আঙ্গিরস ঘোরের নাম আছে, এবং কৃষ্ণেরও নাম আছে। কৃষ্ণ তথায় দেবকীপত্র বলিয়া বাণিত হয়েন নাই; আঙ্গিরস বলিয়া বর্ণিত হইয়াছেন। কিন্তু কতকগলি ক্ষত্ৰিয়ও আঙ্গিরস বলিয়া প্ৰসিদ্ধ ছিলেন। তদ্বিষয়ে বিষ্ণপরিাণে একটি প্রাচীন শ্লোক ধতি হইয়াছে। এতে ক্ষত্রিপ্রসন্তা বৈ পােনশচাঙ্গিরসঃ সমতাঃ। রথীন্তরাণাং প্রবরাঃ ক্ষত্রে পেতো দ্বিজাতিয়ঃ ॥-৪ অংশ, ২। ২ কিন্তু এই রথীতার রাজা সােয্যবংশীয়। কৃষ্ণের পািৰব পােরষি যদ, যযাতির পত্র, কাজেই চন্দ্ৰবংশীয়। এই কথাই সকল পরাণেতিহাসে লেখে, কিন্তু হরিবংশে বিষ্ণপদ্ব্বে পাওয়া যায় যে, মাথারার যাদবেরা ইক্ষবাকুবংশীয়। এবং ইক্ষবাকু বংশান্ধি যদ্যবংশো বিনিঃসতেঃ -৯৫ অধ্যায়ে, ৫২৯ শ্লোকঃ।। কথাটা খাব সম্ভব, কেন না, রামায়ণে পাওয়া যায় যে, ইক্ষবাকুবংশীয় রামের কনিষ্ঠ ভ্রাতা শত্ৰঘােৱ মথরাজয় করিয়াছিলেন। সে যাহাই হউক, “বাসদেবাজােনাভ্যাং বন?” এই সত্র আমরা পাণিনি হইতে উদ্ধত করিয়াছি। কৃষ্ণ এত প্রাচীন কালের লোক যে, পাণিনির সময়ে উপাস্য বলিয়া আৰ্য্যসমাজে গহীত হইয়াছিলেন। ইহাই যথেস্পট। নবম পরিচ্ছেদ-মহাভারতে প্রক্ষিপ্ত আমরা এতক্ষণ যা বলিলাম, তাহার স্থলমক্ষম এই যে, মহাভারতের ঐতিহাসিকতা আছে, এবং মহাভারতে কৃষ্ণপান্ডব সম্পবিন্ধীয় ঐতিহাসিক কথা পাওয়া যায়। কিন্তু এখন জিজ্ঞাস্য

  • এই কথােব শকুন্তলার পালকপিতা কন্ব নহেন। সে কণােব কাশ্যপ; ঘোরপােত্র কণােব আঙ্গিরস।

88