পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कुक्कौँब्रह সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধযক্তি, সতরাং কাব্যাংশে কিছদ বিকৃতিপ্রাপ্ত; কবিত্বশািন্য নহে, যে কবিত্ব "స్ల్మోప్లోడ్తావ్లో লক্ষণাক্রোন্ত যে সকল অংশ, সেগালি এক জনের রচনা; দ্বিতীয় শ্রেণীর লক্ষণবিশিস্ট যে সকল রচনা, তাহা দ্বিতীয় ব্যক্তির রচনা বলিয়া বোধ হয়। প্রথম শ্রেণীর লক্ষণবিশিস্ট অংশই প্রাথমিক, বা আদিম; এবং দ্বিতীয় শ্রেণীর লক্ষণষক্ত অংশগলি পরে রচিত হইয়া, তাহার উপর প্রক্ষিপ্ত হইয়াছে, এরপ বিবেচনা করা যাইতে পারে। কেন না, প্রথম কথিত অংশ উঠাইয়া লইলে, মহাভারত থাকে না; যাহা থাকে, তাহা কংকালবিচু্যতমাংসপিন্ডের ন্যায় বন্ধনশান্য এবং প্রয়োজনশন্যে নিরর্থক বলিয়া বোধ হয়। কিন্তু দ্বিতীয় শ্রেণীর লক্ষণবিশিষ্ট যাহা, তাহা উঠাইয়া লইলে, মহাভারতের কিছ ক্ষতি হয় না, কেবল কতকগালি নিম্প্রয়োজনীয় অলঙ্কার বাদ যায়; পান্ডবদিগের জীবনবত্ত অখন্ড থাকে। অতএব প্রথম শ্রেণীর লক্ষণবিশিস্ট অংশগলিকে আমি প্রথম স্তর, এবং দ্বিতীয় শ্রেণীর লক্ষণবিশিস্ট রচনাগলিকে দ্বিতীয় স্তর বিবেচনা করি। প্রথম স্তরে, ও দ্বিতীয় স্তরে, আর একটা গারতের প্রভেদ এই দেখিব যে, প্রথম স্তরে কৃষ্ণ ঈশ্বরাবতার বা বিষ্ণর অবতার বলিয়া সচরাচর পরিচিত নহেন; নিজে তিনি আপনার দেবত্ব স্বীকার করেন না; এবং মানষিী ভিন্ন দৈবী শক্তি দ্বারা কোন কৰ্ম্ম সম্পন্ন করেন না। কিন্তু দ্বিতীয় স্তরে, তিনি পদ্টতঃ বিষ্ণর অবতার বা নারায়ণ বলিয়া পরিচিত এবং অচ্চিত; নিজেও নিজের ঈশ্বরত্ব ঘোষিত করেন; কবিও তাঁহার ঈশ্বরত্ব প্ৰতিপন্ন করিবার জন্য বিশেষ প্রকারে যত্নশীল । ইহা ভিন্ন মহাভারতে আরও এক স্তর আছে। তাহাকে তৃতীয় স্তর বলিতেছি। তৃতীয় স্তর অনেক শতাব্দী ধরিয়া গঠিত হইয়াছে। যে যাহা যখন রচিয়া “বেশ রচিয়াছি।” মনে করিয়াছে, সে তাহাই মহাভারতে পরিয়া দিয়াছে। মহাভারত পঞ্চম বেদ। এ কথার একটি গঢ় তাৎপৰ্য্য আছে। চারি বেদে শদ্রে এবং সত্ৰীলোকের অধিকার নাই। কিন্তু Mass Education লইয়া তকবিতক আজ নতন ইংরেজের আমলে হইতেছে না। অসাধারণ প্রতিভাশালী ভারতবর্ষের প্রাচীন ঋষিরা বিলক্ষণ বঝিয়াছিলেন যে, বিদ্যা ও জ্ঞানে সন্ত্রীলোকের ও ইতর লোকের, উচ্চ শ্রেণীর সঙ্গে সমান অধিকার। তাঁহারা বঝিয়াছিলেন যে, আপামর সাধারণ সকলেরই শিক্ষা ব্যতীত সমাজের উন্নতি নাই। কিন্তু তাঁহারা আধনিক হিন্দীদিগের মত প্রতিভাশালী পািব্ব পরিষদিগকে অবজ্ঞা করিতেন না। তাঁহারা “অতীতের সহিত বৰ্ত্তমানের বিচ্ছেদকে” বড় ভয় করিতেন। পািকব পােরষেরা বলিয়া গিয়াছেন যে, বেদে শব্দে ও সস্ত্রীলোকের অধিকার নাই।--ভাল, সে কথা বজায় রাখা যাউক। তাঁহারা ভাবিলেন, যদি এমন কিছ উপায় করা যায় যে, যাহা শিখিবার, তাহা সন্ত্রীলোকে ও শব্দে বেদ অধ্যয়ন না করিয়াও এক স্থানে পাইবে, তবে সে কথা বজায় রাখিয়া চলা যায়। বরং যাহা সৰবজনমনোহর, এমন সামগ্রীর সঙ্গে যক্ত হইয়া সব্বলোকের নিকট সে শিক্ষা বড় আদরণীয় হইবে। তিন স্তরে সম্পপণ্য যে মহাভারত এখন আমরা পড়ি, তাহা ব্ৰাহ্মণদিগের লোক-শিক্ষার উদ্দেশে অক্ষয় কীৰ্ত্তি * কিন্তু এই কারণে ভালমন্দ অনেক কথাই ইহার ভিতর আসিয়া পড়িয়াছে। শান্তিপব্ব ও অনশাসনিক পকেবার অধিকাংশ, ভীষ্মমপকেবর শ্ৰীমদ্ভগবদ্গীতা পৰবাধ্যায়, বনপর্বের মাকন্ডেয়সমস্যা পৰ্ব্বব্যাধ্যায়, উদ্যোগপন্ধেবর প্রজােগর পঞ্চবাধ্যায়, এই তৃতীয় স্তর-সঞ্চয় কালে রচিত বলিয়া বোধ হয়। পক্ষান্তরে আদিপর্বের শকুন্তলোপাখ্যানের পকেবর যে অংশ এবং বনপকেবর তীর্থযাত্রা পৰ্ব্বাধ্যায় প্রভৃতি অপকৃল্ট অংশও এই স্তর-গীত। এই তিন স্তরের, নিম্পন্ন অর্থাৎ প্রথম স্তরই প্রাচীন, এই জন্যই তাহাই মৌলিক বলিয়া গ্রহণ করা যাইতে পারে। যাহা সেখানে নাই, তাহা দ্বিতীয় বা তৃতীয় স্তরে দেখিলে, তাহা কবিকল্পিত অনৈতিহাসিক বক্তান্ত বলিয়া আমাদিগের পরিত্যাগ করা উচিত।

  • স্ত্রীশচন্দ্ৰদ্বিজবন্ধনাং ত্রয়ী ন শ্রতিগোচরা।

কলাম শ্রেয়সি মিঢ়ানাং শ্রেয় এবং ভবেদিহ। ইতি ভারতমাখ্যানিং কৃপয়া মানিনা। কৃতং-শ্ৰীমন্ত্যাগবত। ১ সােক। ৪অ। ২৫ । 8之为