পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

܀ ܬ݁ܳܐܶ.ܚܢܚܖ Form“ উপর এরূপ পীড়ন আরম্ভ করিয়াছিল যে, অনেক যাদব ভয়ে মথরা হইতে পলায়ন করিয়া অন্য দেশে গিয়া বাস করিতেছিলেন। বসদেবও আপনার অন্যা পত্নী রোহিণীকে ও তুহার পত্নকে নন্দালয়ে রাখিয়াছিলেন। এখন কৃষ্ণকেও কংসািভয়ে সেই নন্দালয়ে লাকাইয়া রাখলেন। ইহা সম্ভব এবং ঐতিহাসিক বলিয়া গ্ৰহণ করা যাইতে পারে। , , , তৃতীয় পরিচ্ছেদ-শৈশব কৃষ্ণের শৈশব সম্পবন্ধে কতকগলি বিশেষ অনৈসগিক কথা পরাণে কথিত হইয়াছে। একে একে তাহার পরিচয় দিতেছি। ১। পতনাবিধ। পতনা কিংসপ্রেরিতা রাক্ষসী । সে পরামরপবতীর বেশ ধারণ করিয়া নন্দালয়ে কৃষ্ণবধাৰ্থ প্রবেশ করিল। তাহার স্তনে বিষ বিলেপিত ছিল। সে শ্ৰীকৃষ্ণকে স্তন্যপান করাইতে লাগিল। কৃষ্ণ তাহাকে এরপে নিপীড়িত করিয়া স্তন্যপান করিলেন যে, পতনার প্রাণ বহির্গত হইল। সে তখন নিজ রােপ ধারণ করিয়া ছয় ক্ৰোশ ভূমি ব্যাপিয়া নিপতিত হইল। মহাভারতেও শিশপালবধ-পৰ্ব্বাধ্যায়ে পতনবন্ধের প্রসঙ্গ আছে। শিশপাল, পতনকে শকুনি বলিতেছেন। শকুনি বলিলে, গন্ধ, চীল এবং শ্যামাপক্ষীকেও বকায়। বলবান শিশর একটা ক্ষমাদ্র পক্ষী বধ করা বিচিত্র নহে। কিন্তু পতনার আর একটা অৰ্থ আছে। আমরা যাহাকে “পেচোয় পাওয়া” বলি, সাঁতিকাগারস্থ শিশর সেই রোগের নাম পতনা। সকলেই জানে যে, শিশ বলের সহিত স্তন্যপান করিতে পারিলে এ রোগ আর থাকে না। বোধ হয়, ইহাই পতনাবিধ। ২। শকটবিপৰ্য্যায়। যশোদা, কৃষ্ণকে একখানা শকটের নীচে শয়াইয়া রাখিয়াছিলেন। কৃষ্ণের পদাঘাতে শকট উলটাইয়া পড়িয়াছিল। ঋগোিবদসংহিতায় ইন্দ্রকৃত উষার শকটভঙ্গিনের একটা কথা আছে। এই কৃষ্ণকৃত শকটভঞ্জন, সে প্রাচীন রূপকের নন্তন সংস্কারমাত্র হইতে পারে। অনেকগলি বৈদিক উপাখ্যান কৃষ্ণলীলান্তগত হইয়াছে, এমন বিবেচনা করিবার কারণ আছে । ৩ । তাহার পর মাতৃক্ৰোড়ে কৃষ্ণের বিশ্বম্ভরীমত্তি ধারণ, এবং সম্ববীয় ব্যাদিতানন-মধ্যে যশোদাকে বিশ্বরপ দেখান। এটা প্রথম ভাগবতে দেখিতে পাই। ভাগবতকারেরই রচিত উপন্যাস বোধ হয়। ৪ । তৃণাবত্ত। তৃণাবত্ত নামে আসর কৃষ্ণকে একদা আকাশমাগে তুলিয়া লইয়া গিয়াছিল। ইহার যেরূপ বৰ্ণনা দেখা যায়, তাহাতে বোধ হয়, ইহা চক্ৰবায় মাত্র। চক্রবােয়র রূপ ধরিয়াই অসাের আসিয়াছিল, ভাগবতে এইরূপ কথিত হইয়াছে। এই উপাখ্যানও প্রথম ভাগবতেই ಫ್ಲೆಕ್ಟ್* সতরাং ইহাও অমৌলিক সন্দেহ নাই। চক্রবায়তে ছেলে তুলিয়া ফেলাও নহে । ৫। কৃষ্ণ একদা মাত্তিকা ভোজন করিয়াছিলেন। কৃষ্ণ সে কথা অস্বীকার করায়, যশোদা তাঁহার মাখের ভিতর দেখিতে চাহিলেন। কৃষ্ণ হাঁ করিয়া বদনমধ্যে বিশ্বব্ৰহ্মা"ড দেখাইলেন। এটিও কেবল ভাগবতীয় উপন্যাস। ৬ । ভাগবতকার আরও বলেন, কৃষ্ণ হাঁটিয়া বেড়াইতে শিখিলে তিনি গোপীদিগের গহে। অত্যন্ত দৌরাত্ম্য করতেন। অন্যান্য দৌরাত্ম্যমধ্যে, ননী মাখন চুরি করিয়া খাইতেন। বিষ্ণপরাণেও এ কথা নাই; মহাভারতেও নাই। হরিবংশে ননী মাখন চুরির কথা প্রসঙ্গক্রমে আছে। ভাগবতেই ইহার বাড়াবাড়ি। ষে শিশৱ ধৰ্ম্মমধৰ্ম্মজ্ঞান জন্মিবার সময় হয় নাই, সে খাদ্য চুরি করিলে কোন দোষ হইল না। যদি বলা যে, কৃষ্ণকে তোমরা ঈশ্বরাবতার বল; তাঁহার কোন বয়সেই জ্ঞানের অভাব থাকিতে পারে। না। তাহয় উত্তরে কৃষ্ণোপাসকেরা বলিতে পারেন যে, ঈশ্বরের চুরি নাই। জগতই যাঁহার-লিব ঘত নবনীত মাখন, যাঁহার সন্ট-তিনি কার ধন লইয়া চোর হইলেন ? সবই ত তাঁহার অন্নuuS DBDS DD DBDiBDuDu i DDBiBiu uD DBBS BBBS BDBDBD DBD BgB BBS DDS LSLBBD uBB rBEEB BDS BD DS DBuBuD BBiBiBu uBDBDB DDD S D YDBD DuBOYS 88% &-R