পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভগবানাহ তা বীক্ষ্য শািন্ধভাবাপ্ৰসাদিতঃ।। সকন্ধে নিধায় বাসাংসি প্ৰীতঃ প্রোবাচ সম্মিতম৷ যায়ং বিবস্ত্রা যদপো ধাতব্ৰতা বাগাহতৈতত্তদা দেবহেলম। বদ্ধাঞ্জলিং মদ্ধের্য্যপন্যািত্তয়েইংহাসঃ কৃত্বা নমো বসনং প্রগাহ্যতাম॥ তং ব্ৰজবালা মত্বা বিবস্ত্রাপ্লবনং ব্ৰতচু্যতম। তৎপত্তিকামান্তদশেষকৰ্ম্মণাং সাক্ষাৎকৃতং নেমারবদ্যমােগ যতঃ ॥ তাস্তথাবনতা দন্টবা ভগবান দেবকীসতঃ। বাসাংসি তাভঃ প্রাযচ্ছৎ করণস্তেন তোষিতঃ ॥ শ্ৰীমদ্ভাগবতম, ১oম সকলন্দঃ, ২২ অধ্যায়। অন্তনিহিত ভক্তিতত্ত্বটা এই। ঈশ্বরকে ভক্তি দ্বারা পাইবার প্রধান সাধনা, ঈশ্বরে সব্বাপণ। ভগবদগীতায় শ্ৰীকৃষ্ণ বলিয়াছেন “যৎ করোষি যদর্শনাসি যজ্ঞজহোষি দদাসি যৎ । যত্তপস্যসি কৌন্তেয় তৎ কুরস্ব মদপণম ” গোপীগণ শ্ৰীকৃষ্ণে সব্বাপণ করিল। সত্ৰীলোক, যখন সকল পরিত্যাগ করিতে পারে, তখনও লঙ্কজা ত্যাগ করিতে পারে না। ধন ধৰ্ম্ম কৰ্ম্মম ভাগ্য-সব যায়, তথাপি সত্ৰীলোকের লড়াজা যায় না। লতাজা সত্ৰীলোকের শেষ রত্ন। যে সস্ত্রীলোক, অপরের জন্য লতাজা পরিত্যাগ করিল, সে তাহাকে সব দিল। এই সত্ৰীগণ শ্ৰীকৃষ্ণে লতাজাও অপিত করিল। এ কামাতুরার লডজাপািণ নহে- লড়াজাবিবাশার লডজাপািণ । অতএব তাহারা ঈশ্বরে সব্বস্বাপণ করিল। কৃষ্ণও তাহা ভক্ত্যুপহার বলিয়া গ্রহণ করিলেন। তিনি বলিলেন, “আমাতে যাহাদের বদ্ধি আরোপিত হইয়াছে, তাহদের কামনা কামার্থে কলিপিত হয় না। যব ভজিত এবং কথিত হইলে, বীজত্বে সমৰ্থ হয় না।” অর্থাৎ যাহারা কৃষ্ণকামিনী, তাহাদিগের কামাবশেষ হয়। আরও বলিলেন, “তোমরা যে জন্য ব্ৰত করিয়াছ, আমি তাহা রাত্রে সিদ্ধ করিব।” এখন গোপীগণ কৃষ্ণকে পতিস্বরূপ পাইবার জন্যই ব্ৰত করিয়াছিল। অতএব কৃষ্ণ, তাহদের কামনাপােরণ করিতে স্বীকৃত হইয়া, তাহদের পতিত্ব স্বীকার করিলেন। কাজেই বড় নৈতিক গোলযোগ উপস্থিত। এই গোপাঙ্গনাগণ পরপত্নী, তাহদের পতিত্ব স্বীকার করায়, পরন্দারাভিমষণ স্বীকার করা হইল। কৃষ্ণে এ পাপারোপণ কেন ? ইহার উত্তর আমার পক্ষে অতি সহজ। আমি ভুরি ভুরি প্রমাণের দ্বারা বঝিয়াছি যে, এ সকল পরাণকারকল্পিত উপন্যাসমােত্র, ইহার কিছ মাত্র সত্যতা নুই। কিন্তু পরাণকারের পক্ষে উত্তর তত সহজ নহে। তিনিও পরিক্ষিতের প্রশানানসারে শাকমখে একটা উত্তর দিয়াছেন। যথাস্থানে তাহার কথা বলিব। কিন্তু আমাকেও এখানে বলিতে হইবে যে, হিন্দধন্মের ভক্তিবাদানসারে, কৃষ্ণকে এই গোপীগণপতিত্ব অবশ্য স্বীকার করিতে হয়। ভগবদগীতায় কৃষ্ণ নিজে বলিয়াছেন “যে যথা মাং প্ৰপদ্যন্তে তাংস্তথৈব ভজাম্যহম।” “যে, যে ভাবে আমাকে ভজনা করে, আমি তাহাকে সেই ভাবে অনগ্ৰহ করি।” অর্থাৎ যে আমার নিকট বিষয়ভোগ কামনা করে, তাহকে আমি তাহাই দিই। যে মোক্ষ কামনা করে, তাহাকে মোক্ষ দিই। বিষ্ণপরিাণে আছে, দেবমাতা অদিতি কৃষ্ণ(বিষ্ণ)কে বলিতেছেন যে, আমি তোমাকে পত্রিভাবে কামনা করিয়াছিলাম, এজন্য তোমাকে পত্রিভাবেই পাইয়াছি। এই ভাগবতেই আছে যে, বসদেব দেবকী জগদীশ্বরকে পত্রিভাবে কামনা করিয়াছিলেন বলিয়াই তাঁহাকে পত্রিভাবে পাইয়াছেন। অতএব গোপীগণ তাঁহাকে পতিভাবে পাইবার জন্য যথোপযক্তি সাধনা করিয়াছিল ‘বলিয়া কৃষ্ণকে তাহারা পতিভাবে পাইল । যদি তাই হইল, তবে তাহদের অধৰ্ম্ম কি ? ঈশ্বরপ্রাপ্তিতে অধৰ্ম্মম আবার কি ? পাপের দ্বারা, পণ্যময়, পণ্যের আদিভূত সম্বরপ জগদীশ্বরকে কি পাওয়া যায় ? পাপ-পণ্য কি ? যাহার দ্বারা জশ্বন্দীশ্বরের সন্নিধি উপস্থিত হইতে পারি, তাহাই পণ্য-তাহাই ধৰ্ম্ম, তাহার পরাশকার, এই তত্ত্ব বিশদ করিবার জন্য পাপসংস্পর্শের পথমাত্র রাখেন নাই। তিনি 8匈姆化