পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

h به م ۵ * ܢ ܕ ! তার পর কৃষ্ণসঙ্গ লাভ করিয়া ব্ৰজগোপীগণ অত্যন্ত মানিনী হইলেন । তাঁহাদিগের সৌভাগ্যমন্দ দেখিয়া তদপেশমনাথে শ্ৰীকৃষ্ণ অন্তহিত হইলেন। এই গেল উনত্রিংশ অধ্যায়। ত্রিংশ অধ্যায়ে গোপীগণকৃত কৃষ্ণান্বেষণবত্তান্ত আছে। তাহা স্থলতঃ বিকাপরাণের অন্যাকরণ। তবে ভাগবতকার কাব্য আরও ঘোরাল করিয়াছেন। অতএব এই অধ্যায় সম্পৱন্ধে আর অধিক কিছ: বলিবার প্রয়োজন নাই। একত্রিংশ অধ্যায়ে গোপীগণ কৃষ্ণবিষয়ক গান করিতে করিতে তাঁহাকে ডাকিতেছেন। ইহাতে ভক্তিরস এবং আদিরস দইই আছে। বাবাইবার কথা বেশি কিছু নাই। দ্বাৱিংশ অধ্যায়ে শ্ৰীকৃষ্ণ পনরাবিভূতি হইলেন। এইখানে গোপীদিগের ইন্দ্ৰিয়প্রণোদিত ব্যবহারের প্রমাণাৰ্থ একটি কবিতা উদ্ধত করিব। “কাচিদজলিনাগােহাং তন্বী তাম্বলচন্বিতম। একা তদন্ত্ৰিকমলাং সন্তাপ্ত স্তনয়োন্যধাৎ ৷” এই অধ্যায়ের শেষে কৃষ্ণ ও গোপীগণের মধ্যে কিছ আধ্যাত্মিক কথোপকথন আছে। আমরা এখানে তাহা উদ্ধত করা আবশ্যক বিবেচনা করিতেছি না। তাহার পর ত্রয়স্ত্রিাংশ অধ্যায়ে রাসক্রীড়া ও বিহারবণনি। রাসক্রীড়া বিষ্ণপরিাণোক্ত রাসক্রীড়ার ন্যায় নিত্যগীত মাত্র। তবে গোপীগণ এখানে শ্ৰীকৃষ্ণকে পতিভাবে প্রাপ্ত হইয়াছিল, এজন্য কিচিলমাত্র ইন্দ্রিরস বন্ধও আছে। যথা কস্যাশিচন্নাট্যবিক্ষিপ্তকুশডলস্তিত্বষমন্ডিতম। গন্ডং গন্ডে সংদধত্যাঃ প্রাদাত্তাম্বলচব্বিতিমা৷৷ ১৩ ৷৷ নতৃত্যন্তী গায়তী কাচিৎ কািজন্ন পরমেখলা। পাশ্বস্থাচুৰ্যন্তহস্তাব্জং শ্রান্তাধাৎ স্তনয়ো শিবম ॥১৪ ৷৷ 本 本 本 তদঙ্গসঙ্গপ্ৰ দাকুলেন্দ্ৰিয়াঃ dर [ান দকলং কুচপটিক্যাং दा । নাঞ্জঃ প্রতিব্যোঢ় মলং ৱজসিল্লয়ো বিস্রস্তমালাভরণাঃ কুরদ্বাহ৷ ১৮ ৷৷ এইরপ কথা ভিন্ন বেশী আর কিছ নাই। স্বয়ং শ্ৰীকৃষ্ণকে পরাণকার জিতেন্দ্ৰিয়স্বরূপ বাণিত করিয়াছেন, তাহা পন্ধেব বলিয়াছি এবং তাহার প্রমাণও দিয়াছি। 甲可<f死可一ä亦町 অথব্ববেদের উপনিষদ সকলের মধ্যে একখানির নাম গোপালতাপনী। কৃষ্ণের গোপমত্তির উপাসনা ইহার বিষয়। উহার রচনা দেখিয়া বোধ হয় যে, অধিকাংশ উপনিষদ অপেক্ষা উহা অনেক আধনিক। ইহাতে কৃষ্ণ যে গোপগোপীপরিবর্ত, তাহা বলা হইয়াছে। কিন্তু ইহাতে গোপগোপীর যে অর্থ করা হইয়াছে, তাহা প্রচলিত অৰ্থ হইতে ভিন্ন। গোপী অর্থে অবিদ্যা কলা। টীকাকার বলেন, SBBBBBD S BBB S S BBBBBYSS BBBB S BBDBKBDDS DBBSS S SSEBD পালনশক্তিীনাং জনঃ সমােহঃ তদ্বাচ্যা অবিদ্যাঃ কলাশচ তাসাং বল্লভঃ স্বামী প্রেরক ঈশ্বরঃ ।” উপনিষদে এইরূপ গোপীর অর্থ আছে, কিন্তু রাসলীলার কোন কথাই নাই। রাধার নামমাত্ৰ নাই। এক জন প্রধানা গোপীর কথা আছে, কিন্তু তিনি রাধা নহেন, তাঁহার নাম গান্ধব্বী। তাঁহার প্রাধান্যও কামকেলিতে নহে-ত য়। ব্ৰহ্মবৈবত্ত পরাণে আর জয়দেবের কাব্যে ভিন্ন কোন প্রাচীন গ্রন্থে রাধা নাই। ভাগবতের এই রাসপশান্তাধ্যায়ের মধ্যে “রাধা” নাম কোথাও পাওয়া বায় না। বৈকবাচাযৰ্বদিগের অস্থিমজার ভিতর রাধা নাম প্রবিন্স্ট। তাঁহারা টীকাটিপনীর ভিতর পুনঃ পানঃ রাধাপ্রসঙ্গ উত্থাপিত করিয়াছেন, কিন্তু মিলে কোথাও রাধার নাম নাই। গোপীদিগের অন্যরাগাধিক্যজনিত ঈষ্যার প্রমাণ সম্বরপ কবি লিখিয়াছেন যে, তাহারা পদচিহ্ন দেখিয়া অনামান করিয়াছিল যে, কোন এক জন গোপীকে লইয়া কৃষ্ণ বিজনে প্রবেশ করিয়াছিলেন। কিন্তু তাহাও গোপীদিগের ঈষাজনিত ভ্ৰমমাত্র। শ্ৰীকৃষ্ণ অন্তহিত হইলেন এই কথাই আছে, কাহাকেও লইয়া অন্তহিত হইলেন, এমন কথা নাই এবং রাধাের নামগন্ধও নাই। , 8አ9ዳ