পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

盟 ܫܚܠܚܡܝ-ܣܝܩܝܦܝ - कृषककड़ পরবত্তীর্ণ সাংেখ্যারা ঈশ্বর স্বীকার করিয়াছেন। সাsেখ্যার স্থল কথা এই, জড়জগৎ বা জড় জগন্ময়ী শক্তি পরমাত্মা হইতে সম্পর্ণেরূপে পথিক। পরমাত্মা বা পরিষ সম্পণেরপে সঙ্গশন; তিনি কিছই করেন না, এবং জগতের সঙ্গে তাঁর কোন সম্প্ৰবন্ধ নাই। জড়জগৎ এবং জড় জগন্ময়ী শক্তিকে ইহারা ‘প্রকৃতি’ নাম দিয়াছেন। এই প্রকৃতিই সব্বািসন্টিকারিণী, সৰস্বসিঞ্চারিণী, সব্বাসণ্ডালিনী, এবং সব্বসিংহারিণী। এই প্রকৃতিপরিষতত্ত্ব হইতে প্রকৃতিপ্রধান তান্ত্রিকধ্যমের উৎপত্তি। এই তান্ত্রিকািধৰ্ম্মে, প্রকৃতিপরিষের একত্ব অথবা অতি ঘনিষ্ঠ সম্পবিন্ধ সম্পাদিত হওয়াতে প্রকৃতিপ্রধান বলিয়া এই ধৰ্ম্মম লোকরঞ্জন হইয়াছিল। যাহারা বৈষ্ণবদিগের অদ্বৈতবাদে অসন্তুষ্ট, তাঁহারা তান্ত্রিকািধক্ষেমার আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছিল। সেই তান্ত্রিকধর্মের সারাংশ এই বৈষ্ণবধৰ্ম্মেম সংলগ্ন করিয়া বৈষ্ণবধর্মমকে পািনর জবল করিবার জন্য ব্ৰহ্মবৈবত্তাকার এই অভিনব বৈষ্ণবধৰ্ম্মম প্রচার করিয়াছেন অথবা বৈষ্ণবধৰ্ম্মেমর পনিঃসংস্কার করিয়াছেন। তাঁহার সন্টা রাধা সেই সাংখ্যাদিগের মালপ্রকৃতিস্থানীয়া। যদিও ব্ৰহ্মবৈবৰ্ত্ত পরাণের ব্ৰহ্মখন্ডে আছে যে, কৃষ্ণ মলপ্ৰকৃতিকে সন্স্টি করিয়া, তাহার পর রাধাকে সন্টি করিয়াছিলেন, তথাপি শ্ৰীকৃষ্ণজন্মখন্ডে দেখা যায় যে, কৃষ্ণ স্বয়ংই রাধাকে পািনঃ পািনঃ মলপ্ৰকৃতি বলিয়া সম্বোধন করিতেছেন। যথা “মমাদ্ধাংশস্বরপ ত্বং মলপ্রকৃতিরীশ্বরী ৷” শ্ৰীকৃষ্ণজন্মখন্ডে, ১৫ অধ্যায়, ৬৭ শ্লোক । পরমাত্মার সঙ্গে প্রকৃতির বা কৃষ্ণের সঙ্গে রাধার কি সম্পবিন্ধ, তাহা পরাণকার এইরূপে বাঝাইতেছেন। ইহা কৃষ্ণোক্তি। “যথা ত্বঞ্চি তথাহণ8 ভেদো হি নাবিয়োপ্লবম ৷৷ ৫৭ ৷৷ যথা ক্ষীরে চ ধাবল্যং যথাগ্নেী দাহিকা সাঁত । যথা পথিব্যাং গন্ধশ্চ তথাহং ত্বয়ি সন্ততম ৷৷ ৫৮ ৷৷ বিনা মন্দা ঘটং কৰ্ত্তং বিনা সব্বণেনি কুন্ডলম। কুলালঃ সবণকারশচ ন হি শক্তঃ কদাচন৷৷ ৫৯ ৷৷ তথা ত্বয়া বিনা সন্টিং ন চ কৰ্ত্তমহং ক্ষমঃ। সন্টেরাধারভুতা ত্বং বীজর পোহহমচু্যতঃ ৷ ৬o ৷ 冰 冰 水 米 কৃষ্ণং বদন্তি মাং লোকাস্ত্বয়ৈব রহিতাং যদা। শ্ৰীকৃষ্ণ৭৪ তদা তে হি ত্বয়ৈব সহিতং পরম ॥ ৬২ ৷৷ ত্বণ শ্ৰীসত্বণ সম্পত্তিসত্বমাধারস্বরপিণী। সব্বশক্তিস্বরপাসি সব্বেইেয়াণ্ড মমপি চ ৷৷ ৬৩ ৷৷ ত্বং সত্ৰী পৰমানহং রাধে নেতি বেদেষী নির্ণয়ঃ। ত্বঞ্চি সৰ্ব্ববস্বরপোসি সব্বরপোহহমক্ষরে৷ ৬৪ ৷৷ যদা তেজঃস্বরপোহহং তেজোরােপাসি ত্বং তদা। ন শরীরী যাদাহিণীঃ তদা ত্বমশরীরিণী ॥ ৬৫ ৷৷ সব্ববীজস্বরপোহহং যদা যোগেন সন্দরি। ত্বঞ্চি শক্তিস্বরপাসি সৰ্ব্বপল্লীরপধারিণী৷৷ ৬৬ ৷” শ্ৰীকৃষ্ণজন্মখন্ডে, ১৫ অধ্যায়ঃ। “তুমি যেখানে, আমিও সেখানে, আমাদিগের মধ্যে নিশ্চিত কোন ভেদ নাই। দন্ধে যেমন ধবলতা, অগ্নিতে যেমন দাহিকা, পথিবীতে যেমন গন্ধ, তেমনই আমি তোমাতে সব্বদাই আছি। BDDDBDBD DDD DDBDBD D DBDB BB BDS BBB BB BD গড়িতে পারে না, তেমনই আমিও তোমা ব্যতীত সন্টি করিতে পারি না! তুমি সন্টির আধারভুতা, আমি অচ্যুতবীজৱপী_আমি যখন তোমা ব্যতীত থাকি, তখন লোকে আমাকে ‘কৃষ্ণ' বলে, তোমার সহিত থাকিলে শ্ৰীকৃষ্ণ বলে। তুমি শ্ৰী, তুমি সম্পত্তি, তুমি আধার স্বরপিণী, সকলের এবং আমার সম্ভব শক্তিস্বরূপা। হে রাধে! তুমি পল্লী, আমি পরিষ, বেদও ইহা, নিশীয় করিতে পারে না। হে অক্ষরে! তুমি সব্বস্বরপ, আমি সব্বারাপ। আমি যখন তেজস্তিস্বরপ তুমি SAS