পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজগণ তাহাই করিলেন, কিন্তু কৃষ্ণ তাহা না করিয়া বলদেবকে সঙ্গে লইয়া, যেখানে ভাগবকর্মশালায় ভিক্ষককেশধারী পাণ্ডবগণ বাস করিতেছিলেন, সেইখানে গিয়া ব্যধিস্ঠিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করিলেন। f সেখানে তাঁহার কিছ কাজ ছিল না-যধিস্ঠিরের সঙ্গে তাঁহার পকেবা কখন সাক্ষাৎ বা আলাপ ছিল না, কেন না, মহাভারতকার লিখিয়াছেন যে, “বাসদেব বিধিষ্ঠিরের নিকট অভিগমন ও চরণবান্দন পম্পের্বক আপনার পরিচয় প্রদান করিলেন।” বলদেবও ঐরাপ করিলেন। যখন আপনার পরিচয় প্রদান করিতে হইল, তখন অবশ্য ইহা বঝিতে হইবে যে, পর্বে পরস্পরের সহিত তাঁহাদিগের সাক্ষাৎ বা আলাপ ছিল না। কৃষ্ণ-পাণীডবে এই প্রথম সাক্ষাৎ। কেবল পিতৃক্ষবসার পত্র বলিয়া কৃষ্ণ তাঁহাদিগকে খাজিয়া লইয়া তাঁহাদিগের সহিত আলাপ করিয়াছিলেন কাজটা সাধারণ-লৌকিক-ব্যবহার-অনমোদিত হয় নাই। লোকের প্রথা আছে বটে। যে, পিসিত বা মাসিত ভাই যদি একটা রাজা বা বড়লোক হয়, তবে উপযাচক হইয়া তাহদের সঙ্গে আলাপ করিয়া আইসে। পান্ডবেরা তখন সামান্য ভিক্ষক মাত্র; তাঁহাদিগের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া কৃষ্ণের কোন অভীষ্মন্টই সিদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা ছিল না। আলাপ করিয়া কৃষ্ণও যে কোন লৌকিক অভীষ্মন্ট সিদ্ধ করিলেন, এমন দেখা যায় না। তিনি কেবল বিনয়পক্ষািবক যধিস্ঠিরের সঙ্গে সদালাপ করিয়া তাঁহার মঙ্গলকামনা করিয়া ফিরিয়া আসিলেন। এবং তার পর পান্ডবদিগের বিবাহসমাপ্তি পৰ্যন্ত পাণ্ডালে আপনি শিবিরে অবস্থান করিতে লাগিলেন। বিবাহ সমাপ্ত হইয়া গেলে, তিনি “কৃতদার পান্ডবদিগের যৌতুক সাবরােপ বিচিত্র বৈদষ্য মণি সবণের আভরণ, নানা দেশীয় মহােঘ বসন, রমণীয় শয্যা, বিবিধ গহসামগ্রী, বহসংখ্যক দাসদাসী, সশিক্ষিত গজবন্দ, উৎকৃষ্ট ঘোটকাবলী, অসংখ্য রথ এবং কোটি কোটি রজত কাঞ্চন শ্রেণীবদ্ধ করিয়া প্রেরণা করিলেন।” এ সকল পাণডবদিগের তখন ছিল না; কেন না, তখন তাঁহারা ভিক্ষক এবং দরবস্থাপন্ন। অথচ এ সকলে তখন তাঁহাদের বিশেষ প্রয়োজন ; কেন না, তাঁহারা রাজকন্যার পাণিগ্রহণ করিয়া গহী হইয়াছেন। সতরাং যধিস্ঠির “কৃষ্ণপ্রেরিত দ্রব্যসামগ্ৰী সকল আহাদ পৰিবাক গ্রহণ করিলেন।” কিন্তু কৃষ্ণ তাঁহাদিগের সঙ্গে আর সাক্ষাৎ না করিয়া সাবস্থানে গমন করিলেন। তারপর তিনি পাশডবদিগকে আর খোঁজেন নাই। পাশডবেরা রােজ্যাদ্ধ প্রাপ্ত হইয়া ইন্দ্রপ্রস্থে নগরনিন্মাণপািৰবাক বাস করিতে লাগিলেন। যে প্রকারে পনরায় পান্ডবদিগের সহিত তাঁহার মিলন হইল, তাহা পরে বলিব। বিসময়ের বিষয় এই যে, যিনি এইরােপ নিঃসবাথ আচরণ করিতেন, যিনি দরবস্থাগ্রস্তামাত্রেরই হিতান স্কন্ধান করা নিজ জীবনের ব্ৰতস্বরপ করিয়াছিলেন, পাশ্চাত্ত্য মাখেরা এবং তাঁহাদের শিষ্যগণ সেই কৃষ্ণকে কুকম্পমানরত, দরভিসন্ধিষক্ত ক্রুর এবং পাপাচারী বলিয়া স্থির করিয়াছেন। ঐতিহাসিক তত্ত্বের বিশ্লেষণের শক্তি বা তাহাতে শ্রদ্ধা এবং যত্ন না থাকিলে, এইরূপ ঘটাই সম্ভব। স্থল কথা। এই, যিনি আদশ মনষ্যে, তাঁহার অন্যান্য সদ্বত্তির ন্যায় প্রীতিবত্তিও পাশবিকশিত ও সাফাত্তিপ্রাপ্ত হওয়াই সম্ভব। শ্ৰীকৃষ্ণ, যধিস্ঠিরের প্রতি যে ব্যবহার করিলেন, তাহা অনেকেরই পাকবািবদ্ধিত সখ্যস্থলে করা সম্ভব। যধিস্ঠির কুটব; যদি কৃষ্ণের সঙ্গে পলাব হইতে তাঁহার আলাপ প্রণয় এবং আত্মীয়তা থাকিত, তাহা হইলে তিনি যে ব্যবহার করিলেন, তাহা কেবল ভদ্রজন্যোচিত বলিয়াই ক্ষান্ত হইতে পারিতাম-বেশী বলিবার অধিকার থাকিত না। কিন্তু যিনি অপরিচিত এবাঞ্চ দরিদ্র ও হীনাবস্থাপন্ন কুট-বিকে খাজিয়া লইয়া, আপনার কাৰ্য্য ক্ষতি করিয়া, তাহার উপকার করেন, তাঁহার প্রীতি আদশ প্রীতি। কৃষ্ণের এই কাষটি ক্ষদ্র কাৰ্য্য বটে, কিন্তু ক্ষমাদ্র ক্ষদ্র কায্যেই মনয্যের চরিত্রের যথাৰ্থ পরিচয় পাওয়া ষায়। একটা মহৎ কাৰ্য বদমায়েসেও চেন্টাচরিত্র করিয়া করিতে পারে, এবং করিয়াও থাকে। কিন্তু ষাঁহার ছোট কাজগালিও ধৰ্ম্মমাত্মতার পরিচায়ক, তিনি যথার্থ ধৰ্ম্মমাত্মা। তাই, আমরা মহাভারতের আলোচনায়ও* কৃষ্ণকৃত ছোট বড় সকল কায্যের সমালোচনায় প্রবত্ত হইয়াছি। আমাদের দভাগ্য এই যে, আমরা এ প্রণালীতে কখন কৃষ্ণকে বঝিবার চেণ্টা করি নাই। তাহা না করিয়া কৃষ্ণচরিত্রের BD DBDSSiSDBBBDS DBD D BBuS u BBBY LDD DDD D BGG DD DBBL B DDDBSBB BD DBBB D DDBS DBBBD DD BBD DBDDBuSDBBDBD BuBuu DDu SY DDiLL 0sBL BBB BBBBB BDBD EELB DDD DB DD BuBB BDB BDD DDDS BSE