পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃষ্ণচরিত্র যে পথে সন্দেহ, সে পথে যাইতে নাই। যে পথে মঙ্গলসিন্ধি নিশ্চিত, সেই পথেই যাইতে হয়। অতএব কৃষ্ণ, সভদ্রার চিরজীবনের পরম শািভ সনিশ্চিত করিয়া দিয়া, তাহার প্রতি পরমধৰ্ম্মমান মত কাৰ্যই করিয়াছিলেন-তাহার প্রতি কোন অত্যাচার করেন নাই। এ কথার প্রতি দাইটি আপত্তি উথাপিত হইতে পারে। প্রথম আপত্তি এই যে, আমার যে কাজে ইচ্ছা নাই, সে কাজ আমার পক্ষে মঙ্গলকর হইলেও, আমার উপর বলপ্রয়োগ করিয়া সে কায্যে প্রবত্ত করিবার কাহারও অধিকার নাই। পরোহিত মহাশয় মনে করেন যে, আমি যদি আমার সব্বস্ব ব্ৰাহ্মণকে দান করি, তবে আমার পরম মঙ্গল হইবে। কিন্তু তাঁহার এমন কোন অধিকার নাই যে, আমাকে মারপিট করিয়া সবসব ব্ৰাহ্মণকে দান করান। শােভ উদ্দেশ্যের সাধন জন্য নিন্দনীয় উপায় অবলম্বন করাও নিন্দনীয়। উনবিংশ শতাব্দীর ভাষায় ইহার অন্যবাদ až (R. “The end does not sanctify the means.“ এ কথার দাইটি উত্তর আছে। প্রথম উত্তর এই যে, সভদ্রার যে অজ্ঞজনের প্রতি অনিচ্ছা! বা বিরক্তি ছিল, এমত কিছই প্রকাশ নাই। ইচ্ছা অনিচ্ছা কিছই প্রকাশ নাই। প্রকাশ থাকিবার সম্ভাবনা বড় অলপ। হিন্দরে ঘরের কন্যা-কুমারী এবং বালিকা-পাত্রবিশেষের প্রতি ইচ্ছা বা অনিচ্ছা বড় প্রকাশ করে না। বাস্তবিক, তাহদের মনেও বোধ হয়, পাত্রবিশেষের প্রতি ইচ্ছা অনিচ্ছা বড় জন্মেও না, তবে ধেড়ে মেয়ে ঘরে পষিয়া রাখিলে জন্মিতে পারে। এখন, যদি কোন কাজে আমার ইচ্ছা বা অনিচ্ছা কিছই নাই থাকে, যদি সেই কাজ আমার পক্ষে পরম মঙ্গলকর হয়, আর কেবল বিশেষ প্রবত্তির অভাবে বা লক্ষজাবশতঃ বা উপায়াভাব্যবশতঃ আমি সে কাষ্য স্বয়ং করিতেছি না, এমন হয়, আর যদি আমার উপর একটি বলপ্রয়োগের ভাণ করিলে সেই পরম মঙ্গলকর কায্য সসিদ্ধ হয়, তবে সে বলপ্রয়োগ কি অধৰ্ম্মম ? মনে কর, একজন বড় ঘরের ছেলে দরবস্থায় পড়িয়াছে, তোমার কাছে একটি চাকরি পাইলে খাইয়া বাঁচে, কিন্তু বড় ঘর বলিয়া তাহতে তেমন ইচ্ছা নুই, কিন্তু তুমি তাহাকে ধরিয়া লইয়া গিয়া চাকরিতে বসাইয়া দিলে আপত্তি করিবে না, বরং সপরিবারে খাইয়া বাঁচবে। সে স্থলে তাহার হাত ধরিয়া টানিয়া লইয়া গিয়া দটাে ধমক দিয়া তাহাকে দফতরখানাতে বসাইয়া দেওয়া কি তোমার অধৰ্ম্মাচরণ বা পীড়ন করা হইবে ? সভদ্রার অবস্থাও ঠিক তাই। হিন্দরে ঘরের কুমারী মেয়ে, বাবাইয়া বলিলে, কি “এসো গো” বলিয়া ডাকিলে, বরের সঙ্গে যাইবে না। কাজেই ধরিয়া লইয়া যাওয়ার ভাণ ভিন্ন তাহার মঙ্গলসাধনের উপায়ান্তর ছিল না। “আমার যে কাজে ইচ্ছা নাই, সে কাজ আমার পক্ষে পরম মঙ্গলকর হইলেও, আমার প্রতি বলপ্রয়োগ করিয়া সে কাজে প্রবত্ত করিবার কাহারও অধিকার নাই।” এই আপত্তির দাইটি উত্তর আছে, আমরা বলিয়াছি। প্রথম উত্তর, উপরে বাবাইলাম। প্রথম উত্তরে আমরা ঐ আপত্তির কথাটা যথাৰ্থ বলিয়া সৰ্বীকার করিয়া লইয়া উত্তর দিয়াছি। দ্বিতীয় উত্তর এই যে, কথাটা সকল সময়ে যথাৰ্থ নয়। যে কায্যে আমার পরম মঙ্গল, সে কায্যে আমার অনিচ্ছা! থাকিলেও বলপ্রয়োগ করিয়া আমাকে তাহাতে প্রবত্ত করিতে যে কাহারও অধিকার নাই, এ কথা সকল সময়ে খাটে না। যে রোগীর রোগপ্রভাবে প্ৰাণ যায়, কিন্তু ঔষধে রোগীর সর্বভাবসলভ বিরাগ্যবশতঃ সে ঔষধ খাইবে না, তাহাকে বলপৰিবাক ঔষধ খাওয়াইতে চিকিৎসকের এবং বন্ধবেগের অধিকার আছে। সাংঘাতিক বিস্ফোটক সে ইচ্ছাপাকবািক কাটাইবে না-জোর করিয়া কাটিবার ডাক্তারের অধিকার আছে। ছেলে লেখাপড়া শিখিবে না, জোর করিয়া লেখাপড়া শিখাইবার অধিকার শিক্ষক ও পিতা মাতা প্রভৃতির আছে। এই বিবাহের কথাতেই দেখ, অপ্ৰাপ্তবয়ঃ কুমার কি কুমারী যদি অন্যচিত বিবাহে উদ্যত হয়, বল তাহাকে নিবন্ত DDBB DD BB DB DBDDBBDB DDS BDDDD DBBDBD BDBBB মধ্যে কন্যাস বিবাহে জোর করিয়া সৎপাত্রে কন্যাদান করার প্রথা আছে। যদি পনের বৎসরের কোন হিন্দির মেয়ে কোন সপাত্রে আপত্তি উপস্থিত করে, তবে কোন পিতা মাতা জোর করিয়া তাহাকে BBBBBDB BDDuuB DBBD DBDBBBD D BBD DDD DDBD DBDD BBBBB DBBDB DDDD DDD DBuuDD DBBBBS BD DDD DDS BB BDBDB BB DBDBBD DDBDuD BDY এই গেল প্রথম আপত্তির দই উত্তর। এখন দ্বিতীয় আপত্তির বিচারে প্রবত্ত হই। দ্বিতীয় আপত্তি এই হইতে পারে যে, ভাল, স্বীকার করা গেল যে, কৃষ্ণ সাভাদ্রার মঙ্গলকামনা BDDDDDS B S BBBDBt DDDBDD SuDuDD DBBB BBD DuDuD D uBBB BBBDD GO