পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃষ্ণচরিত্র রাজসময়ের অনষ্ঠান সম্পবন্ধে যধিস্ঠির কৃষ্ণকে বলিতেছেন - “আমি রাজসয় যজ্ঞ করিতে অভিলাষ করিয়াছি। ঐ যজ্ঞ কেবল ইচ্ছা করিলেই সম্পন্ন হয়। এমত নহে। যে রূপে উহা সম্পন্ন হয়, তাহা তোমার সবিদিত আছে। দেখ, যে ব্যক্তিতে সকলই সম্ভব, যে ব্যক্তি সৰ্ব্বত্র পাজ্য, এবং যিনি সমদায় পথিবীর ঈশ্বর, সেই ব্যক্তিই রাজসয়ানন্ঠানের উপযক্ত পাত্রে।” কৃষ্ণকে যধিষ্ঠিরের এই কথাই জিজ্ঞাস্য। তাঁহার জিজ্ঞাস্য এই যে—“আমি কি সেইরূপ ব্যক্তি ? আমাতে কি সকলই সম্ভব ? আমি কি সব্বত্রই পাজ্য, এবং সমদায় পথিবীর ঈশ্বর ?” যধিষ্ঠির ভ্রাতৃগণের ভুজবলে একজন বড় রাজা হইয়া উঠিয়াছেন বটে, কিন্তু তিনি এমন একটা লোক হইয়াছেন কি যে, রাজসময়ের অনষ্ঠান করেন ? আমি কত বড় লোক, তাহার ঠিক মাপ কেহই আপনা। আপনি পায় না। দাম্ভিক ও দরাত্মাগণ খাব বড় মাপকাঠিতে আপনাকে মাপিয়া আপনার মহত্ত্ব সম্পবন্ধে কৃতনিশ্চয় হইয়া সন্তুষ্টচিত্তে বসিয়া থাকে, কিন্তু যধিষ্ঠিরের ন্যায় সাবধান ও বিনয়সম্পন্ন ব্যক্তির তাহা সম্ভব নহে। তিনি মনে মনে বঝিতেছেন বটে যে, আমি খব বড় রাজা হইয়াছি, কিন্তু আপনার কৃত আত্মমানে তাঁহার বড় বিশ্বাস হইতেছে না। তিনি আপনার মন্ত্ৰিগণ ও ভীমাজজনাদি অন্যজগণকে ডাকিয়া জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন,-“কেমন, আমি রাজসয় যজ্ঞ করিতে পারি কি ?” তাঁহারা বলিয়াছেন—“হাঁ, অবশ্য পার। তুমি তার যোগ্য পাত্র।” ধৌম্য দ্বৈপায়নাদি ঋষিগণকে ডাকিয়া জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন, “কেমন, আমি কি রাজসয় পারি?” তাঁহারাও বলিয়াছিলেন, “পার। তুমি রাজসয়ানন্ঠানের উপযক্ত পাত্রে।" তথাপি সাবধান” যধিস্ঠিরের মন নিশ্চিন্ত হইল না। অজন হউন, ব্যাস হউন,--যাধিস্ঠিরের নিকট পরিচিত ব্যক্তিদিগের মধ্যে যিনি সব্বাপেক্ষা শ্রোিঠ, তাঁহার কাছে। এ কথার উত্তর না। শনিলে যধিস্ঠিরের সন্দেহ যায় না। তাই “মহাবাহ সব্বলোকোত্তম” কৃষ্ণের সহিত পরামর্শ করিতে স্থির করিলেন। ভাবিলেন, “কৃষ্ণ সব্বজ্ঞ ও সব্বীকৃৎ, তিনি অবশ্যই আমাকে সৎপরামর্শ দিবেন।” তাই তিনি কৃষ্ণকে আনিতে লোক পঠাইয়াছিলেন, এবং কৃষ্ণ আসিলে তাই, তাঁহাকে পকেবাদ্ধত কথা জিজ্ঞাসা করিতেছেন। কেন তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করিতেছেন, তাহাও কৃষ্ণকে খালিয়া বলিতেছেন। “আমার অন্যান্য সহৃদগণ আমাকে ঐ যজ্ঞ করিতে পরামর্শ দিয়াছেন, কিন্তু আমি তোমার পরামর্শ না লইয়া উহার অনন্ঠান করিতে নিশ্চয় করি নাই। হে কৃষ্ণ ! কোন কোন ব্যক্তি বন্ধতার নিমিত্ত দোষোদ্ঘোষণা করেন না। কেহ কেহ সবাথপর হইয়া প্রিয়বাক্য কহেন। কেহ। বা যাহাতে আপনার হিত হয়, তাহাই প্রিয় বলিয়া বোধ করেন। হে মহাত্মন! এই পথিবী মধ্যে উক্ত প্রকার লোকই অধিক, সতরাং তাহদের পরামর্শ লইয়া কোন কাৰ্য্য করা যায় না। তুমি উক্ত দোেষরহিত ও কাম-ক্ৰোধ-বিবৰ্তিজািত; অতএব আমাকে যথার্থ পরামর্শ প্রদান কর।” পাঠক দেখান, কৃষ্ণের আত্মীয়গণ যাঁহারা প্রত্যহ তাঁহার কার্য্যকলাপ দেখিতেন, তাঁহারা কৃষ্ণকে কি ভাবিতেন। আর এখন আমরা তাঁহাকে কি ভাবি। তাঁহারা জানিতেন, কৃষ্ণ কামBDDSDDBDuBeuBS BBuBBBB BDBBSS S BBBBDBBS BBBBBS S BBB S SDDS সব্বীকৃৎ-আমরা জানি, তিনি লম্পট, ননীমাখনচোর, কুচক্রী, মিথ্যাবাদী, রিপাবশীভুত এবং অন্যান্য দোষযক্তি। যিনি ধর্মের চরমাদশ বলিয়া প্রাচীন গ্রন্থে পরিচিত, তাঁহাকে যে জাতি এ পদে অবনত করিয়াছে, সে জাতির মধ্যে যে ধৰ্ম্মমলোপ হইবে, বিচিত্র কি ? BBDDuDuD DBBD DDDDBS D DBB DDBBS DB DBDBB BBDBD DBD DBDBD

  • পাণ্ডব পাঁচ জনের চরিত্র বন্ধিমান সমালোচকে সমালোচনা করিলে দেখিতে পাইবেন যে, যধিস্ঠিরের প্রধান গণ, তাঁহার সাবধানতা। ভীম দপ্তসাহসী, “গোঁয়ার” অর্জন আপনার বাহবিলের গৌরব জানিয়া নিৰ্ভয় ও নিশ্চিন্ত, ফধিস্ঠির সাবধান। এ জগতে সাবধানতাই অনেক স্থানে ধৰ্ম্ম বলিয়া পরিচিত হয়। কথাটুন। এখানে অপ্রাসঙ্গিক হইলেও, বড় গরতের কথা বলিয়াই এখানে ইহার উত্থাপন করিলাম। এই সাবধানতার সঙ্গে যাধিষ্ঠিরের দােন্তানরাগ কতটুকু সঙ্গত, তাহা দেখাইবার এ স্থান

যধিস্ঠিরের মািখ হইতে বাস্তবিক এই কথাগালি বাহির হইয়াছিল, আর তাহাই কেহ লিখিয়া রাখিয়াছে, এমত নহে! মৌলিক মহাভারতে তাঁহার কিরুপ চরিত্র প্রচারিত হইয়াছিল, ইহাই আমাদের GOs