পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

LSSLLLSSLSSSLSLLLLSLLLLLLLL LLLLSSLLLLLSSLLLLLSS নহেন, ইহা শত্ৰপক্ষও স্বীকার করেন। তবে এ চাতুরীর কথা কোথা হইতে আসিল ? যাহার সঙ্গে এই সমস্ত জরাসন্ধ-পৰিবাধ্যায়ের অনৈক্য, সে কথা ইহার ভিতর কোথা হইতে আসিল । ইহা কি কেহ বসাইয়া দিয়াছে ? এই কথাগালি কি প্রক্ষিপ্ত ? এই বৈ এ কথার আর কোন উত্তর নাই। কিন্তু সে কথাটা আর একটি ভাল করিয়া বিচার করিয়া দেখা উচিত। আমরা দেখিয়াছি যে, মহাভারতে কোন স্থানে কোন একটি অধ্যায়, কোন স্থানে কোন একটি পৰবাধ্যায় প্রক্ষিপ্ত। যদি একটি অধ্যায়, কি একটি পাকবাধ্যায় প্রক্ষিপ্ত হইতে পারে, তবে একটি অধ্যায় কি একটি পাকবাধ্যায়ের অংশবিশেষ বা কতক শ্লোক তাহাতে প্রক্ষিপ্ত হইতে পারে না। কি ? বিচিত্র কিছই নহে। বরং প্রাচীন সংস্কৃত গ্রন্থ সকলেই এইরুপ ভুরি ভুরি হইয়াছে, ইহাই প্ৰসিদ্ধ কথা। এই জন্যই বেদাদির এত ভিন্ন ভিন্ন শাখা, রামায়ণাদি গ্রন্থের এত ভিন্ন ভিন্ন পাঠ, এমন কি, শকুন্তলা মেঘদত প্রভৃতি আধনিক (অপেক্ষাকৃত আধনিক) গ্রন্থেরও এত বিবিধ পাঠ। সকল গ্রন্থেরই মৌলিক অংশের ভিতর এইরহপ এক একটা বা দই চারিটা প্রক্ষিপ্ত နို့ရို့ ဖွ!!! মধ্যে পাওয়া যায়-মহাভারতের মৌলিক অংশের ভিতর তাহা পাওয়া যাইবে, তাহার ק কিন্তু যে শ্লোকটা আমার মতের বিরোধী, সেইটাই যে প্রক্ষিপ্ত বলিয়া আমি বাদ দিব, তাহা হইতে পারে না। কোনটি প্রক্ষিপ্ত-কোনটি প্রক্ষিপ্ত নহে, তাহার নিদর্শন দেখিয়া পরীক্ষা করা চাই। যেটাকে আমি প্রক্ষিপ্ত বলিয়া ত্যাগ করিব, আমাকে অবশ্য দেখাইয়া দিতে হইবে যে, প্রক্ষিপ্তের চিহ্ন উহাতে আছে, চিহ্ন দেখিয়া আমি উহাকে প্রক্ষিপ্ত বলিতেছি। অতি প্রাচীন কালে যাহা প্রক্ষিপ্ত হইয়াছিল, তাহা ধরিবার উপায়, আভ্যন্তরিক প্রমাণ ভিন্ন আর কিছই নাই। আভ্যন্তরিক প্রমাণের মধ্যে একটি শ্রেদ্ঠ প্ৰমাণ-অসঙ্গতি, অনৈক্য। যদি দেখি যে, কোন পথিতে এমন কোন কথা আছে যে, সে কথা গ্রন্থের আর সকল অংশের বিরোধী, তখন স্থির করিতে হইবে যে, হয়। উহা গ্রন্থকারের বা লিপিকারের ভ্রমপ্রমাদাবশতঃ ঘাঁটিয়াছে, নয় উহা প্রক্ষিপ্ত। কোনটি ভ্রমপ্রমাদ, আর কোনটি প্রক্ষিপ্ত, তাহা সহজে নিরাপণ করা যায়। যদি রামায়ণের কোন কাপিতে দেখি যে, লেখা আছে যে, রাম উমিলাকে বিবাহ করিলেন, তখনই সিদ্ধান্ত করিব যে, এটা লিপিকারের ভ্রমপ্রমাদ মাত্র। কিন্তু যদি দেখি যে, এমন লেখা আছে যে, উন্মিলাকে বিবাহ করায় লক্ষণের সঙ্গে বিবাদ উপস্থিত হইল, তারপর রাম, লক্ষণকে উম্মিলা ছাড়িয়া দিয়া মিটমাটা করিলেন, তখন আর বলিতে পারিব না যে, এ লিপিকার বা গ্রন্থকারের ভ্রমপ্রমাদ-তখন বলিতে হইবে যে, এটকু কোন ভ্রাতৃসৌহােন্দািরসে রসিকের রচনা, ঐ পথিতে প্রক্ষিপ্ত হইয়াছে। এখন, আমি দেখাইয়াছি যে, জরাসন্ধবধপকবাধ্যায়ের যে কয়টা কথা আমাদের এখন বিচাৰ্য্য, তাহা ঐ পৰবাধ্যায়ের আর সকল অংশের সম্পণে বিরোধী। আর ইহাও সম্পন্ট যে, ঐ কথাগালি এমন কথা নহে যে, তাহা লিপিকারের বা গ্রন্থকারের ভ্রমপ্রমাদ বলিয়া নিদিষ্ট করা যায়। সতরাং ঐ কথাগালিকে প্রক্ষিপ্ত বলিবার আমাদের অধিকার আছে। ইহাতেও পাঠক বলিতে পারেন যে, যে এই কথাগালি প্রক্ষিপ্ত করিল, সেই বা এমন অসংলগ্ন কথা প্রক্ষিপ্ত করিল কেন ? তাহারই বা উদ্দেশ্য কি ? এ কথাটার মীমাংসা আছে। আমি পািনঃ পানঃ বাকাইয়াছি যে, মহাভারতের তিন স্তর দেখা যায়। তৃতীয় স্তর নানা ব্যক্তির গঠিত। কিন্তু আদিম স্তর এক হাতের এবং দ্বিতীয় স্তরও এক হাতের। এই দাই জনেই শ্রেষ্ঠ কবি, কিন্তু তাঁহাদের রচনাপ্রণালী উপস্টতঃ ভিন্ন ভিন্ন প্রকৃতির, দেখিলেই চেনা যায়। যিনি হাত আছে- ঐ পাকবািগলির অধিকাংশই তাঁহার প্রণীত, সেই সকল সমালোচনকালে ইহা পলট বাঝা যাইবে। এই কবির রচনার অন্যান্য লক্ষণের মধ্যে একটি বিশেষ লক্ষণ এই যে, ইনি কৃষ্ণকে চতুরচড়ামণি সাজাইতে বড় ভালবাসেন। বন্ধির কৌশল, সকল গণের অপেক্ষা ইহার নিকট আদরণীয়। এরপ লোক এ কালেও বড় দল্লভ নয়। এখনও বোধ হয়, অনেক সশিক্ষিত উচ্চ শ্রেণীর লোক আছেন যে, কৌশলবিদ বদ্ধিমান চতুরই তাঁহাদের কাছে মনীষীদ্ধের আদশ ইউরোপীয় সমাজে এই আদর্শ বড় প্রিয়-তােহা হইতে আধনিক Diplomacy বিদ্যার সন্টি। বিস্মাক একদিন জগতের প্রধান মনকেষ্য ছিলেন। থেমিস্টক্লিসের সময় হইতে আজ পৰ্যন্ত start a favors or was rectCP Rio-"Francis d' Assisi at Imitation of GFK