পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बब्दिकअ ब्राफ़नाबब्जाौं কৃষ্ণকে আচাৰ্য্য* মনে করিয়াছ ? দ্রোণাচাৰ্য্য থাকিতে কৃষ্ণের অচ্চনা কেন ? ঋত্বিক বলিয়া কি তাঁহাকে অঘ্য দাও ? বেদব্যাস থাকিতে কৃষ্ণ কেন ? ইত্যাদি। মহারাজ শিশপাল কথা কহিতে কহিতে অন্যান্য বাশমীর ন্যায় গরম হইয়া উঠিলেন, তখন DDB DBDD BBBD DBBDS DBB DDD DDD DD BBDB BB DDBDBDBBDS aBBS দিগকে ছাড়িয়া কৃষ্ণকে ধরিলেন। অলঙ্কারশাস্ত্র বিলক্ষণ বঝিতেন,-প্রথমে “প্রিয়চিকীৰ্ষ" “অপ্রাপ্তলক্ষণ” ইত্যাদি চুটকিতে ধরিয়া, শেষ “ধৰ্ম্মভ্ৰািন্ট” “দরাত্মা” প্রভৃতি বড় বড় গালিতে উঠিলেন। পরিশেষে Climax -কৃষ, ঘাতভোজী কুক্কর, দারপরিগ্রহকারী ক্লীবী ইত্যাদি। গালির একশেষ করিলেন। শনিয়া, ক্ষমাগণের পরমাধার, পরমযোগী, আদশ পরিষ কোন উত্তর করিলেন না। কৃষ্ণের এমন শক্তি ছিল যে, তদন্ডেই তিনি শিশপালকে বিনম্ৰাট করিতে সক্ষম-পরবত্তী ঘটনায় পাঠক তাহা জানিবেন। কৃষ্ণও কখন যে এরপে পরিষেবচনে তিরস্কৃত হইয়াছিলেন, এমন দেখা যায় না। তথাপি তিনি এ তিরস্কারে ভ্ৰক্ষেপও করিলেন না। ইউরোপীয়দিগের মত ডাকিয়া বলিলেন না, “শিশপাল! ক্ষমা বড় ধৰ্ম্মম , আমি তোমায় ক্ষমা করিলাম।” নীরবে শত্রকে সক্ষমা করিলেন। কৰ্ম্মমকত্তা যধিষ্ঠির আহত রাজার ক্ৰোধ দেখিয়া তাঁহাকে সান্ত্বনা করিতে গেলেনযজ্ঞবাড়ীর কৰ্ম্মকত্তার যেমন দস্তুর। মধ্যরবাক্যে কৃষ্ণের কুৎসাকারীকে তুলট করিবার চেষ্টা করিতে লাগিলেন। বড়া ভীস্ম লৌহনিশ্চিমত—তাঁহার সেটা বড় ভাল লাগিল না। বড়া সাপটিই বলিল, “কৃষ্ণের অচ্চ না যাহার অনভিমত, এমন ব্যক্তিকে অনানয় বা সান্ত্বিনা করা নিচিত।” তখন কুরবদ্ধ ভীস্ম, সদর্থযক্ত বাক্যপরম্পরায়, কেন তিনি কৃষ্ণের অচ্চনার পরামর্শ দিয়াছেন, তাহার কৈফিয়ৎ দিতে লাগিলেন। আমরা সেই বাক্যগলির সারভাগ উদ্ধত করিতেছি, কিন্তু তাহার ভিতর একটা রহস্য আছে, আগে দেখাইয়া দিই। কতকগলি বাক্যের তাৎপৰ্য্য এই যে, আর সকল মনষ্যের, বিশেষতঃ ক্ষত্ৰিয়ের যে সকল গণ থাকে, সে সকল গণে কৃষ্ণ সব্বশ্রোিঠ। এই জন্য তিনি অঘ্যের যোগ্য। আবার তারই মাঝে কতকগলি কথা আছে, তাহাতে ভীস্ম বলিতেছেন যে, কৃষ্ণ স্বয়ং জগদীশ্বর, এই জন্য কৃষ্ণ সকলের অচ্চনীয়। আমরা দই রকম পথিক পথক দেখাইতেছি, পাঠক তাহার প্রকৃত তাৎপৰ্য্য বঝিতে চেন্টা করন। ङौष्ठा दव्लाळलन्गा. “এই মহতী নপসভায় একজন মহীপালও দলটি হয় না, যাহাকে কৃষ্ণ তেজোবলে পরাজয় कदम का ।” এ গেল মনষ্যেত্ববাদ--তার পরেই দেবত্ববাদ“আচুৰ্যত কেবল আমাদিগের অচ্চনীয় এমত নহে, সেই মহাভুজ ত্ৰিলোকীর পজিনীয়। তিনি যদ্ধে অসংখ্য ক্ষত্ৰিয়বগের পরাজয় করিয়াছেন, এবং অখন্ড ব্ৰহ্মাণড তাঁহাতেই প্রতিষ্ঠিত রহিয়াছে।” পানশাচ, মনীষ্যত্ব“কৃষ্ণ জন্মিয়া অবধি যে সকল কাৰ্য্য করিয়াছেন, লোকে মৎসন্নিধানে পািনঃ পানঃ তৎসমদায় কীৰ্ত্তন করিয়াছে। তিনি অত্যন্ত বালক হইলেও আমরা তাঁহার পরীক্ষা করিয়া থাকি। কৃষ্ণের শৌয্য, বীৰ্য্য, কীত্তি ও বিজয় প্রভৃতি সমস্ত পরিজ্ঞাত হইয়া”- সেই ভূতসখাবহ জগদচ্চিত আচুৰ্যতের পজা বিধান করিয়াছি।” পানশাচ, মনীষ্যত্ব, পরিস্কার রকম“কৃষ্ণের পজ্যেতা বিষয়ে দটি হেতু আছে; তিনি নিখিল বেদবেদাঙ্গ পারদশী ও সমধিক বলশালী। ফলতঃ মনািষলোকে তাদশ বলবান এবং বেদৰে দাঙ্গসম্পন্ন দ্বিতীয় ব্যক্তি প্রত্যক্ষ

  • কৃষ্ণ, অভিমন্য, সাতকি প্রভৃতি মহারথীর, এবং কদাপি স্বয়ং অর্জনেরও যন্ধবিদ্যার আচাৰ্য্য।

অতএব কৃষ্ণ বিখ্যাত বেদজ্ঞ, ইহা সবেীকৃত হইল।

  • কৃষক অন্নপত্য নহেন—তবে ইন্দ্রিয়পরায়ণ ব্যক্তিরা জিতেন্দ্রিয়কে এইরপ গালি দেয়।

& R R