পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃষ্ণচরিত্র হইয়া বরণ হইলেন। এরপ মাহাত্ম্য আর কোন ক্ষত্রিয়েরই দেখা যায় •ा, छिटउन्क्नुिझ ... সৰস্বত্যাগী ভীমেরও নহে। qኞኛ আমরা দেখিব যে, যাহাতে যাদ্ধ না হয়, তত্তজন্য কৃষ্ণ ইহার পরেও অনেক চেস্টা করিয়াছিলেন। অ্যাশ্চায্যের বিষয় এই যে, যিনি সকল ক্ষত্রিয়ের মধ্যে যন্ধের প্রধান শত্র, এবং যিনি একাই সব্বত্র সমাদশী, লোকে তাঁহাকেই এই যন্ধের প্রধান পরামর্শদাতা, অন্যািতষ্ঠাতা এবং পান্ডবপক্ষের প্রধান কুচক্ৰী বলিয়া স্থির করিয়াছে। কাজেই এত সবিস্তারে কৃষ্ণচরিত্র সমালোচনার প্রয়োজন হইয়াছে। তারপর, নিরস্ত্র কৃষ্ণকে লইয়া অজ্ঞজন যদুদ্ধের কোন কায্যে নিযক্ত করবেন, ইহা চিন্তা করিয়া, কৃষ্ণকে তাঁহার সারথ্যা করিতে অনরোধ করিলেন। ক্ষত্ৰিয়ের পক্ষে সারথ্য অতি হেয় কাষ্য। যখন মদ্ররাজ শল্য কণের সারথ্যা করিবার জন্য অনািরদ্ধে হইয়াছিলেন, তখন তিনি বড় রাগ করিয়াছিলেন। কিন্তু আদশ পরিষ, অহঙ্কারশন্য। অতএব কৃষ্ণ অজ্ঞজনের সারথ্য তখনই স্বীকার করিলেন। তিনি সব্বদোষশান্য এবং সব্বগণান্বিত। দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ-সঞ্জয়যান উভয় পক্ষের যাদ্ধের উদ্যোগ হইতে থাকুক। এদিকে দ্রপদের পরামশানসারে যাধিস্ঠিরাদি মহাশয় কৃতকাৰ্য্য হইতে পারিলেন না। কেন না, বিনা যাদ্ধে সমুচ্যগ্রবেধ্য ভূমিও প্রত্যপণ করা দায্যোধনাদির অভিপ্রায় নহে। এদিকে যন্ধে ভীমাজজন ও কৃষ্ণকেশ ধতিরাষ্ট্রের বড় ভয়; অতএব যাহতে পান্ডবেরা যাদ্ধ না করে, এমন পরামর্শ দিবার জন্য ধন্তরাষ্ট্র আপনার অমাত্য সঞ্জয়কে পান্ডবদিগের নিকট প্রেরণ করলেন। “তোমাদের রাজ্যও আমরা অধৰ্ম্মম করিয়া কাড়িয়া লাইব, কিন্তু তোমরা তডিজন্য যাদ্ধও করিও না, সে কাজটা ভাল নহে,” এরপ অসঙ্গত কথা বিশেষ নিলডিজ ব্যক্তি নাহিলে মািখ ফটিয়া বলিতে পারে না। কিন্তু দতের লতাজা নাই। অতএব সঞ্জয় পান্ডবসভায় আসিয়া দীঘ বক্তৃতা করিলেন। বক্তৃতার স্থলমক্ষম এই যে, “যদ্ধ বড় গরতের অধৰ্ম্মম , তোমরা সেই অধৰ্ম্মেম প্রবত্ত হইয়াছ, অতএব তোমরা বড় অধ্যাম্পিমক|” যধিস্ঠির, তদত্তরে অনেক কথা বলিলেন, তন্মধ্যে আমাদের যেটকু প্রয়োজনীয়, তাহা উদ্ধত করিতেছি। “হে সঞ্জয়! এই পথিবীতে দেবগণেরও প্রার্থনীয় যে সমস্ত ধন সম্পত্তি আছে, তৎসমদায় এবং প্রাজাপত্য সবগ এবং ব্ৰহ্মলোক এই সকলেও অধক্ষমতঃ লাভ করিতে আমার বাসনা নাই । যাহা হউক, মহাত্মা কৃষ্ণ ধৰ্ম্মম প্ৰদাতা, নীতিসম্পন্ন ও ব্রাহ্মণগণের উপাসক। উনি কৌরব ও পাশডব উভয় কুলেরই হিতৈষী এবং বহসংখ্যক মহাবলপরাক্রান্ত ভূপতিগণকে শাসন করিয়া থাকেন। এক্ষণে উনিই বলন যে, যদি আমি সন্ধিপথ পরিত্যাগ করি, তাহা হইলে নিন্দনীয় হই, আর যদি যন্ধে নিবত্ত হই, তাহা হইলে আমার স্বধৰ্ম্মম পরিত্যাগ করা হয়, এ স্থলে কি কৰ্ত্তব্য। মহাপ্রভাব শিনির নািপ্তা এবং চোঁদ, অন্ধক, বহিষ্ণ, ভোজ, কুকুর ও সঞ্জয়বংশীয়গণ বাস দেবের বদ্ধিপ্রভাবেই শত্র দমনপািৰবাক সহৃদগণকে আনন্দিত করিতেছেন। ইন্দ্রকল্প উগ্ৰসেন প্রভৃতি

  • বিপক্ষেরাও বে। এক্ষণে কৃষ্ণের সর্বপ্রাধান্য স্বীকার করিতেন, তাহার অনেক প্রমাণ উদ্যোগপক্ষেৰ পাওয়া যায়। ধাতরাস্ট পাণ্ডবদিগের অন্যান্য সাহায়ের নামোল্লেখ করিয়া পরিশেষে বলিয়াছিলেন, “ব্যকিসিংহ কৃষ্ণ যাঁহাদিগের সহায়, তাঁহাদিগের প্রতাপ সহ্য করা কাহার সাধ্য?” (২১ অধ্যায়) পানশাচ বলিতেছেন, “সেই কৃষ্ণ এক্ষণে পান্ডবদিগকে রক্ষা করিতেছেন। কোন শত্র বিজয়াভিলাষী হইয়া দ্বৈরথ বন্ধে তাঁহার সম্মািখীন হইবে ? হে সঞ্জয়! কৃষ্ণ পাণ্ডবাৰ্থ যেরূপ পরাক্রম প্রকাশ করেন, তাহা আমি শ্রবণ করিয়াছি। তাঁহার কাব্য অনাক্ষণ স্মরণ করতঃ আমি শান্তিলাভে বশ্চিত হইয়াছি; কৃষ্ণ যাঁহাদিগের অগ্রণী, কোন ব্যক্তি তাঁহাদিগের প্রতাপ সহ্য করিতে সমৰ্থ হইবে ? কৃষ্ণ অঙ্গজেনের সারস্থ্য স্বীকার করিয়াছেন শনির ভয়ে আমার হৃদয় কম্পিত হইতেছে।” আর এক স্থানে ধাতরাষ্ট্ৰ বলিতেছেন। কিন্তু “কেশবও অধিষ্য, লোকগ্রায়ের অধিপতি এবং মহাত্মা। বিনি। সব্বলোকে একমাত্র বরেণ্য, কোন

মানবন্য তাঁহায় সম্মখে অবস্থান করবো?” এইরূপে অনেক কথা আছে। G9S