পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बस्किल ब्रष्नाबगौ থাকিত না। যে দিন বকিবে, সে দিন আর দঃখ থাকিবে না। হিন্দ পােরাশেতিহাসে এমন কথা থাকিতে আমরা কি না, মেম সাহেবদের লেখা নবেল পড়িয়া দিন কাটাই, না হয়। সভা BDD DBu BB BBD DDDB D DDDuD uB DDD S কৃষ্ণ কুন্তীকে আরও বলিলেন, “আপনি তাহাদিগকে শত্ৰবিনাশ করিয়া সকল লোকের আধিপত্য ও অতুল সম্পত্তি ভোগ করিতে দেখিবেন।” অতএব কৃষ্ণ নিশ্চিত জানিতেন যে, সন্ধি হইবে না--যাদ্ধ হইবে। তথাপি সন্ধি স্থাপন জন্য হস্তিনায় আসিয়াছেন; কেন না, যে কৰ্ম্ম অনন্ঠেয়, তাহা সিদ্ধ হউক বা না হউক, তাহার অনঙ্ঠান করিতে হয়, ফলাফলে অনাসক্ত হইয়া কৰ্ত্তব্য সাধন করিতে হয়। ইহাকেই তিনি গীতায় কৰ্ম্মযোগ বলিয়া বঝাইয়াছেন। ষন্ধের অপেক্ষা সন্ধি মনষ্যের হিতকর; এই জন্য BBBBB DBDBDDBDBDDSS DDD BBB BBBB BuBD DDD DBDDB DDBL BDBDD DDS তখন কৃষ্ণই আবার যাদ্ধে বীতশ্রদ্ধ অজ্ঞজনের প্রধান উৎসাহদাতা ও সহায়। কেন না, যখন সন্ধি অসাধ্য, তখন যাদ্ধই অনন্ঠেয় ধৰ্ম্ম। অতএব যে কৰ্ম্মযোগ তিনি গীতায় উপদিষ্ট করিয়াছেন, তিনি নিজেই তাহতে প্রধান যোগী। তাঁহার আদর্শ চরিত্র পশুখান পািখ সমালোচনে আমরা প্রকৃত মনীষ্যত্ব কি, তাহা বঝিতে পারিব বলিয়াই এত প্রয়াস পাইতেছি। কৃষ্ণ, কুন্তীর নিকট হইতে বিদায় লইয়া পানব্বার কৌরব-সভায় গমন করিলেন। সেখানে গেলে, দায্যোধন তাঁহাকে ভোজনের জন্য নিমন্ত্ৰণ করিলেন। তিনি তাহা গ্রহণ করিলেন না। দায্যোধন ইহার কারণ জিজ্ঞাসা করিলেন। কৃষ্ণ প্রথমে তাঁহাকে লৌকিক নীতিটা সমরণ করাইয়া দিলেন। বলিলেন, “দতগণ কাৰ্য্যসমাধানান্তে ভোজন ও পজা গ্রহণ করিয়া থাকে; অতএব আমি কৃতকাৰ্য্য হইলেই আপনার পজা গ্রহণ করিব।” দায্যোধন। তবও ছাড়ে না; আবার পীড়াপীড়ি করিল। তখন কৃষ্ণ বললেন, “লোকে হয় প্রীতিপর্বক অথবা বিপন্ন হইয়া অন্যের অন্ন ভোজন করে। আপনি প্রীতি সহকারে আমারে ভোজন করাইতে বাসনা করেন নাই; আমিও বিপদগ্ৰস্ত হই নাই, তবে কি নিমিত্ত আপনার অনুষ ভোজন করিব ?” ভোজনের নিমন্ত্রণ গ্রহণ একটা সামান্য কলাম; কিন্তু আমাদের দৈনিক জীবন, সচরাচর কতকগলা সামান্য কমের সমবায় মাত্র। সামান্য কন্মের জন্য একটা নীতি আছে অথবা থাকা উচিত। বহৎ কৰ্ম্মম সকলের নীতির যে ভিত্তি, ক্ষদ্র কৰ্ম্ম সকলের নীতিরও সেই ভিত্তি । সে ভিত্তি ধৰ্ম্ম। তবে উন্নতচরিত্র মনষ্যের সঙ্গে ক্ষদ্রচেতার এই প্রভেদ যে, ক্ষদ্রচেতা ধৰ্ম্মে পরাজমখ না হইলেও, সামান্য বিষয়ে নীতির অন্যবিত্তী হইতে সক্ষম হয়েন না, কেন না, নীতির ভিত্তি তিনি অনসন্ধান করেন না। আদশ মনষ্য এই ক্ষদ্র বিষয়েও নীতির ভিত্তি অন্যসন্ধান করিলেন। দেখিলেন যে, এই নিমন্ত্রণ গ্রহণ সরলতা ও সত্যের বিরদ্ধে হয়। অতএব দায্যোধনকে সরল ও সত্য উত্তর দিলেন, সপটি কথা পরষ হইলেও তােহা বলিতে সঙ্কুচিত হইলেন না। যেখানে অকপট ব্যবহার ধৰ্ম্মমানমিত হয়, সেখানেও তাহা পরষ বলিয়া আমরা পরাজমাখ। এই ধৰ্ম্মম বিরাদ্ধ লতাজা অনেক সময়ে আমাদিগকে ক্ষদ্র ক্ষদ্র অধৰ্ম্মে বিপক্ষাও করে। কৃষ্ণ তার পর কুরসভা হইতে উঠিয়া বিন্দরের ভবনে গমন করিলেন। বিন্দরের সঙ্গে রাত্ৰিতে তাঁহার অনেক কথোপকথন হইল। বিদার তাঁহাকে বঝাইলেন যে, তাঁহার হান্তিনায় আসা অন্যচিত হইয়াছে; কেন না, দায্যোধন কোন মতেই সন্ধি স্থাপন করিবে: না। কৃষ্ণের উত্তর হইতে কিয়দংশ উদ্ধত করিতেছি। “যিনি অশ্বকুঞ্জরীরথসমবেত বিপর্যন্ত সমদায় পথিবী মাতুপাশ হইতে বিমাক্ত করিতে সমর্থ হন, তাহার উৎকৃষ্ট ধৰ্ম্মলাভ হয়।” ইউরোপের প্রতি রাজপ্রাসাদে এই কথাগালি সবণাক্ষরে লিখিয়া রাখা উচিত। সিমলার রাজপ্রাসাদেও বাদ না পড়ে। কৃষ্ণ পানশাচ বালিতেছেন, “যে ব্যক্তি ব্যাসনগ্ৰস্ত বান্ধব। মক্ত করিবার নিমিত্ত যথাসাধ্য যত্নবান না হন, পশিডতগণ জানেন যে, মহােদখে বা মহাসখি ব্যতীত, তাঁহার বহুবিস্তারাকাঙিক্ষণী চিত্তবাত্তি সকল ক্ষত্তিপ্রাপ্ত হইতে পারে নয়। R 薄姆0, ፡ኚኔ ‛ ኳትነኝ * +' ̈...