পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

|- l 幫 。 ჯ*{*} ' ' Y rury Է আর পাতা দশ বার পক্ষেবৰ্ণ ঘাঁহার মাখে। কবি এই বাক্য সন্নিবিষ্ট করিয়াছেন, “আমি শপথ করিয়া বলিতেছি যে, ষে স্থানে ব্ৰহ্ম, সত্য, দম, শৌচ, ধৰ্ম্ম, শ্ৰী, লতাজা, অক্ষমা, ধৈৰ্য্য অবস্থান করে, আমি সেইখানেই অবস্থান করি।”* যিনি ভগবদগীতা-পৰ্ব্বাধ্যায়ে বলিয়াছেন যে, ধৰ্ম্মসংরক্ষণের জন্যই যাগে যাগে অবতীর্ণ হই; যাঁহার চরিত্র, এ পর্যন্ত আদর্শ ধামিকের চরিত্র বলিয়াই প্রতিভাত হইয়াছে, যাঁহার ধর্মে দাঢ্য শত্ৰগণ কত্ত্বক স্বীকৃত বলিয়া বাণিত হইয়াছেন, তিনি কি না ডাকিয়া বলিতেছেন, “তোমরা ধৰ্ম্ম পরিত্যাগ কর! তাই বলিতেছিলাম, মহাভারত নানা হাতের রচনা; যাঁহার যেরূপ ऐछा, उिनि ८न्छेन्ना क्राफ्लिझाCछन । কৃষ্ণ বলিতে লাগিলেন, “আমার নিশ্চিত বোধ হইতেছে যে, অশ্বথামা নিহত হইয়াছেন, ইহা জানিতে পারিলে দ্ৰোণ আর যন্ধ করবেন না। অতএব কোন ব্যক্তি উপহার নিকট গমনপৰিবাক বলন যে অশ্বথামা সংগ্রামে বিনন্ট হইয়াছেন।” অজ্ঞজনে মিথ্যা বলিতে অস্বীকৃত হইলেন, যধিস্ঠির কমেন্ট তাহাতে সক্ষমত হইলেন। ভীম বিনা বাক্যব্যয়ে অশ্বথামা নামক একটা হস্তীকে মারিয়া আসিয়া দ্ৰোণাচাৰ্য্যকে বলিলেন, অশ্বথামা মরিয়াছেন।” দ্রেণ জানিতেন, তাঁহার পত্র “অমিতবলবিক্রমশালী, এবং শত্রর অসহ্য”- অতএব ভীমের কথা বিশ্বাস করিলেন না। ধন্টদ্যুম্পনকে নিহত করিবার চেষ্টায় মনোযোগী হইয়া যাদ্ধ করিতে লাগিলেন। কিন্তু পানশাচ আবার যধিষ্ঠিরকে জিজ্ঞাসা করিলেন, অশ্বথামার মাতুর কথা সত্য কি না ? যধিস্ঠির কখনও অধৰ্ম্মম করেন না, এবং অসত্য বলেন না, এজন্য জিজ্ঞাসা করিলেন। তিনি বলিলেন, অশ্বথামা কুঞ্জর মরিয়াছো-কিন্তু কুঞ্জর শব্দটা ज्ञावाख्छुं झाशढ ॥$ তাহাতেই বা কি হইল ? দ্ৰোণ প্রথমে বিমনায়মান হইলেন বটে, কিন্তু তৎপরে অতি ঘোরতর যাদ্ধ করিতে লাগিলেন। তাঁহার মাতুস্বরূপ ধন্টদ্যুশন তাঁহার আপনার সাধ্যের অতীত যন্ধ করিয়া, নিরস্ত্র ও বিরথ হইয়া দ্ৰোণহন্তে মরণাপন্ন হইলেন। তখন ভীম গিয়া ধন্টদ্যুম্বনকে রক্ষা করিলেন, এবং দ্রোণাচায্যের রথ ধারণা করিয়া কতকগলি কথা বলিলেন, তাহাই দ্ৰোণকে যন্ধে পরাজমাখ করিবার পক্ষে যথেষ্ট। ভীম বলিলেন, “হে ব্ৰাহ্মণ! যদি সবধৰ্ম্মে অসন্তুষ্ট শিক্ষিতাস্ত্ৰ অধম ব্ৰাহ্মণগণ সমরে প্রবত্ত না হন, তাহা হইলে ক্ষত্ৰিয়গণের কখনই ক্ষয় হয় না। পশিডতেরা প্রাণিগণের হিংসা না করাই প্রধান ধৰ্ম্ম বলিয়া নিন্দেশ করেন। সেই ধৰ্ম্মম প্রতিপালন করা ব্ৰাহ্মণের অবশ্য কত্তব্য ; আপনিই ব্রাহ্মণশ্রেষ্ঠ; কিন্তু চণ্ডডালের ন্যায় অজ্ঞানান্ধ হইয়া পত্র ও কালত্রের উপকারার্থ অৰ্থ লালসা নিবন্ধন বিবিধ স্লেচ্ছজাতি ও অন্যান্য প্রাণিগণের প্রাণ বিনাশ করিতেছেন। আপনি এক পত্রের উপকারার্থ স্বধৰ্ম্মম পরিত্যাগপর্বক স্বকায্য সাধনে প্রবত্ত হইয়া অসংখ্য জীবের জীবন নাশ করিয়া কি নিমিত্ত লক্তিজত হইতেছেন না ?” কথাগালি সকলই সত্য। ইহার পর আর তিরস্কার কি আছে? ইহাতেও দাৰ্য্যোধনের ন্যায় দারাত্মার মত ফিরিতে পারে না বটে, কিন্তু দ্রোণাচাৰ্য্য ধৰ্ম্মমাত্মা ; ইহাই তাঁহার পক্ষে যথেস্ট। ইহার পর অশ্বথামার মাতুর কথাটা আর না তুলিলেও চলিত। কিন্তু তাহাও এখানে আবার পনরক্ত হইয়াছে। এ কথার পর দ্রোণাচাৰ্য্য অস্ত্রশস্ত্র ত্যাগ করিলেন। তখন ধমন্টদ্যুশন তাঁহার মাথা কাটিয়া আনিলেন।

  • ঘটোৎকচবধ-পািকবাধ্যায়, ১৮২ অধ্যায়।
  • গোপালভাঁড় এইরুপ “কৃষ্ণ পাইয়াছিল”।

गाथाभाशउ शेंड গজ”-এ। কথাটা মহাভারতের নহে। বোধ হয় কথকেরা তৈয়ার করিয়া থাকিবেন । মল মহাভারতে ইহা নাই। মহাভারতে আছে, তমতথ্যভয়ে ময়ো জয়ে সক্তো যখিঠিয়ঃ। অব্যক্তমন্ত্রয়ীম্বাক্যং হন্তঃ ফুজের ইতু্যত ১৯১ { ●独愈