পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম খণড যোহসৌ যগসহস্রান্তে প্ৰদীপ্তাচ্চি বিভাবসঃ। সংভক্ষয়তি ভূতানি তস্মৈ ঘোরাত্মনে নমঃ ॥ শান্তিপব্বা, ৪৭ অধ্যায়ঃ। প্রথম পরিচ্ছেদ-ষদ বংশধৰংস তার পর, অশ্রামবাসিক পৰব। ইহার সঙ্গে কৃষ্ণের কোন সম্প্রবন্ধ নাই। তার পর অতি ভয়াবহ মৌসল পাব। ইহাতে সমস্ত যদ্যবংশের নিঃশেষ ধবংস ও কৃষ্ণ বলরামের দেহত্যাগ কথিত হইয়াছে। যদ্যবংশীয়েরা পরস্পরকে নিহত করিয়াছিলেন। কৃষ্ণ নিজে এই মহাভয়ানক ব্যাপার নিবারণের কোন উপায করেন নাই-বরং অনেক যাদব তাঁহার হস্তে নিধন প্রাপ্ত হইয়াছিল, এইরপ কথিত হইয়াছে। সে বত্তান্ত এইরপে বৰ্ণিত হইয়াছে। গান্ধারকথিত ষাটত্রিংশং বৎসর অতীত হইয়াছে। যদলেরা অত্যন্ত দনীতিপরায়ণ হইয়া উঠিয়াছেন। একদা বিশ্বামিত্র, কণব ও নারদ, এই লোকবিশ্রুত ঋষিত্ৰয় দ্বারকায় উপস্থিত। দাবিনীত যাদবেরা কৃষ্ণপত্র শাম্পবকে মেয়ে সাজাইয়া ঋষিদিগের কাছে লইয়া গিযা বলিলেন, ইনি গৰ্ব্বভাবতী, ইহার কি পত্র হইবে ? পরিাণেতিহাসে ঋষিগণ অতি ভযানক ক্ৰোধাপরবশ স্বরপ বাণিত হইয়া থাকেন। কথায় কথায় তাঁহাদের অভিসম্পাতের ঘটা দেখিলে, তাহাদিগকে জিতেন্দ্ৰিয ঈশ্বরপরায়ণ ঋষি না বলিয়া, অতি নিশংস নরপিশাচ বলিয়া গণ্য করিতে হয়। এখনকার দিনে যে কেহ ভদ্রলোক এমন একটা তামাসা হাসিয়া উড়াইয়া দিত; অন্ততঃ একটি তিরস্কারবাক্যই যথেষ্ট হয়। কিন্তু এই জিতেন্দ্ৰিয় মহষিগণ একেবারে সমস্ত যদবিংশ ধবংসপ্রাপ্ত হইবে বলিয়া অভিসম্পাত করিলেন। বলিলেন, লৌহময় মসল প্রসব করিবে, আর সেই মােসল হইতে কৃষ্ণ বলরাম ভিন্ন সমস্ত যাদৱবংশ ধবংসপ্রাপ্ত হইবে। কৃষ্ণ এ কথা অবগত হইলেন। তিনি বলিলেন, মনিগণ যাহা বলিয়াছেন, তাহা অবশ্য হইবে। শাপ নিবারণের কোন উপায় করলেন না। অগত্যা শাম্ব, পরষই হউক আর যাই হউক, এক লোহার মােসল প্রসব করিল। যাদবগণের রাজা (কৃষ্ণ রাজা নহেন, উগ্ৰসেন রাজা বা প্রধান) ঐ মােসল চৰণ করিতে আজ্ঞা দিলেন। মসল চণ্য হইল-চৰণ সকল সমদ্রে নিক্ষিপ্ত হইল। এদিকে যাদবগণ সমস্ত ধৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিলেন। তখন কৃষ্ণ তাঁহাদিগের “বিনাশ বাসনায় যাদবগণকে প্রভাসতীর্থে যাত্রা করিতে <ठळका ! প্রভাসে আসিয়া, যাদবগণ সরোপান করিয়া নানাবিধ উৎসব করিতে লাগিল। শেষে পরস্পর কলহ আরম্ভ করিল। কুরুক্ষেত্রের মহারথী সাতকি প্রথম বিবাদ আরম্ভ করিলেন। তিনি কৃতবৰ্ম্মমার সঙ্গে বিবাদ করিলে প্ৰদৰ্শন সত্যকির পক্ষাবলম্বন করিলেন। সাত্যকি কৃতবৰ্ম্মাব শিরশেছদ করিলেন। তখন কৃতবৰ্ম্মমার জ্ঞাতি গোষ্ঠী (যাদবেরা, বহিষ্ণ, ভোজ, অন্ধক, কুকুর ইতি ভিন্ন ভিন্ন বংশীয়) সাতকি ও প্ৰদ্যুম্পনকে নিহত করিল। তখন কৃষ্ণ এক মস্টি এরকা (শারগাছ) কুদ্ধ হইয়া গ্রহণ করিলেন। এবং তািন্দ্বারা অনেক যাদব নিপাতিত করিলেন। গ্রন্থান্তরে আছে যে, এই শরগাছ মসলচােপ যাহা রাজাজিজ্ঞানসারে সমন্দ্ৰে নিক্ষিপ্ত হইয়াছিল, তাহা হইতে উৎপন্ন হইয়াছিল। মহাভারতে সে কথাটা পাইলাম না, কিন্তু লিখিত আছে যে, কৃষ্ণ এরকমষ্টি গ্রহণ করাতে তাহা মসলারপে পরিণত হইল, এবং ইহাও আছে যে, ঐ স্থানের সমদায় এরকাই ব্ৰাহ্মণ-শাপে মসলীভূত হইয়াছিল। যাদবগণ তখন ঐ সকল এরকা গ্রহণপৰিবাক পরস্পর নিহত করিতে লাগিল। এইরূপে যাদবগণ পরম্পরকে নিহত DDDBD SS DBB DBD SBBBDB BBDSSD DD DBDBDS SBBDS DB DDBDSSYDDDS DBDBD জন্ম অসংখ্য লােকের প্রাণসংহার করলেন, অতঃপর চলন, আমরা মহাত্মা বলভদের নিকট "