পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

straťovov যেমন কতকগলি অবোধ মাতা এইরুপ করিয়া শিশর শারীরিক অবনতি সংসাধিত করিয়া থাকে, তেমন এখনকার পিতা ও শিক্ষকেরা পত্র ও ছাত্ৰগণের অবনতি সংসাধিত করেন। জ্ঞানাজািন ধর্মের একটি প্রধান অংশ। কিন্তু সম্প্রতি তৎসম্পবন্ধে এই তিনটি সামাজিক পাপ সব্বদা বৰ্ত্তমান। ধন্মের প্রকৃত তাৎপৰ্য্য সমাজে গহীত হইলে, এই কুশিক্ষারপ পাপ সমাজ হইতে দারীকৃত হইবে। झशभ अधाम्न-अनटुबा ख्र्छौख् শিষ্য। সখি, সকল বত্তিগলির সম্যক সফাত্তি, পরিণতি, সামঞ্জস্য এবং চরিতার্থতা। বত্তিগলির সম্যক সাফত্তি, পরিণতি এবং সামঞ্জস্য মনীষ্যত্ব। বত্তিগলি, শারীরিকী, জ্ঞানাজনী, কায্যকারিণী এবং চিত্তরঞ্জিনী। ইহার মধ্যে শারীরিকী ও জ্ঞানাতজনী বত্তির অনশীলন প্রথা সম্পবন্ধে কিছ: উপদেশ প্রাপ্ত হইয়াছি। নিকৃষ্টা কাৰ্য্যকারিণী বত্তিগলির অনশীলন কি, সামঞ্জস্য বঝিবার সমযে, ভয়, ক্ৰোধ, লোভ ইত্যাদির উদাহরণে বঝিযাছি। নিকৃষ্টা কায্যকারিণী বত্তি সম্পবন্ধে, বোধ করি, আপনার আর কোন বিশেষ উপদেশ নাই, তাহাও বঝিয়াছি। কিন্তু অনশীলনতত্ত্বের এ সকল তা সামান্য অংশ। অবশিস্ট যাহা শ্রোতব্য, তাহা শনিতে ইচ্ছা করি। গর। এক্ষণে যাহাকে কায্যকারিণী বত্তিগলির মধ্যে সচরাচর উৎকৃষ্ট বলে, তােদশ বত্তির কথা বলিব। বত্তির মধ্যে যে অর্থে উৎকর্ষ নিকষী নিন্দেশ করা যায, সেই অর্থে এই তিনটি বত্তি সব্বশ্রেণীঠ-ভক্তি, প্রীতি, দািযা। শিষ্য। ভক্তি, প্রীতি, দয়া, এ তিনটি কি একই বত্তি নহে? প্রীতি ঈশ্বরে ন্যস্ত হইলেই সে ভক্তি হইল, এবং আত্তে ন্যস্ত হইলেই তাহা দযা হইল। গর। যদি এরােপ বলিতে চাও, তাহাতে আমার এখন কোন আপত্তি নাই; কিন্তু অনশীলন জন্য তিনটিকে পথক বিবেচনা করাই ভাল। বিশেষ, ঈশ্বরে নান্ত যে প্রীতি, সেই ভক্তি, এমন নহে। মনীষা-ব্যথা রাজা, গর, পিতা, মাতা, স্বামী প্রভৃতিও ভক্তির পাত্র । আর ঈশ্বরে ভক্তি না হইযাও কেবল প্রীতি জন্মিতে পারে। তাই, বাঙ্গালার বৈষ্ণবেরা, শান্ত, দাস্য, সখ্য, বাৎসল্য, এবং মধর, ঈশ্বরের প্রতি এই পঞ্চবিধ অন্যরাগ স্বীকার করেন। সে পাঁচটি দেখিবে, এই ভক্তি, প্রীতি, দয়া মাত্র। তবে কোন ভাবটি মিশ্র, কোনটি অমিশ্র, যথা

  • Iाख्छ (नाथाद्वान् ७८ख्न्झ ८य उछाद) = आँख् ।

দাস্য (হনীমানাদির যে ভাব)= ভক্তি+দযা। সখ্য (শ্ৰীদামাদির যে ভাব) = প্ৰীতি । বাৎসল্য (নন্দ যশোদা) = প্ৰীতি -- দয়া । মধর (রাধা) = ভক্তি + প্ৰীতি -- দযা। শিষ্য। কৃষ্ণের প্রতি রাধার যে ভাব বাঙ্গালার বৈষ্ণবেরা কল্পনা করেন, তাহার মধ্যে দািযা কোথায় ? গর। স্নেহ আছে স্বীকার করা ? শিষ্য। করি, কিন্তু স্নেহ ত প্ৰীতি। গর। কেবল প্রীতি নহে। প্রীতি ও দয়ার মিশ্রণে স্নেহ। সতরাং মধর ভাবের ভিতর দয়াও আছে। ভক্তি, প্রীতি, দয়া, মনষ্যবিত্তির মধ্যে শ্রেষ্ঠ। তন্মধ্যে ভক্তিই সব্বশ্রেষ্ঠ । এই ভক্তি ঈশ্বরে ন্যস্ত হইলেই, অন্য ধৰ্ম্মাবলম্বীরা সন্তুষ্ট হইলেন, ধৰ্ম্মেমরি উদ্দেশ্য সিদ্ধ হইল । কিন্তু বাঙ্গালার বৈষ্ণবেরা তাহাতেও সন্তুষ্ট নহেন, তাঁহারা চাহেন যে, তিনটি শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিই ঈশ্বরমখী হইবে। ইহা এক দিনের কাজ নহে। ক্রমে একটি একটি, দাইটি দাইটি করিয়া শান্ত, দাস্য, সখ্য, বাৎসল্যের পয্যায়ক্রমে সব্বশেষে সকলগলিই ঈশ্বরে অপণ করিতে শিখিতে হইবে, তখন “রাধা” (যে আরাধনা করে) হইতে পারা যায়। কিন্তু ঈশ্বরভক্তির কথা এখন থাক। আগে মনষ্যে ভক্তির কথা বলা যাউক । যিনিই আমাদের অপেক্ষা শ্রোিঠ এবং যাঁহার শ্রেষ্ঠতা হইতে আমরা উপকৃত হই, তিনিই ভক্তির পারে। ভক্তির সামাজিক প্রয়োজন এই যে, (১) ভক্তি ভিন্ন নিকৃষ্ট কখন উৎকৃন্টের অনগামী হয় না। Sc