পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बक्रबल ब्रछनावड़ा শিষ্য। এখন আরও আপত্তি আছে। যে উপদেশ অনসারে। কাৰ্য্য হইতে পারে না, তাহা উপদেশই নহে। সকল ব্যক্তিগলিই কি ঈশ্বরগামী করা যায় ? ক্ৰোধ একটা বত্তি, ক্ৰোধ কি ঈশ্বরগামী করা যায় ? গর। জগতে অতুল সেই মহাক্রোধগীতি তোমার কি সমরণ হয় ? ক্ৰোধং প্রভো সংহর সংহরেীতি, যাবৎ গিরঃ খে। মারতাং চরন্তি। তাবৎ স বহি ভািবনেত্ৰজন্ম ভাসমান্বশেষ্যং মদনগুকার ৷ এই ক্ৰোধ মহাপবিত্র ক্ৰোধ-কেন না, যোগভঙ্গকারী কুপ্রবত্তি ইহার দ্বারা বিনষ্ট হইল। ইহা স্বয়ং ঈশ্বরের ক্ৰোধ। অন্য এক নীচ বত্তি যে ব্যাসদেব ঈশ্বরানােবত্তী হইয়াছিল, তাহার এক অতি চমৎকার উদাহরণ মহাভারতে আছে। কিন্তু তুমি উনবিংশ শতাব্দীর মানষ। আমি তোমাকে তাহা বঝাইতে পারিব না। শিষ্য। আরও আপত্তি আছেগর। থাকাই সম্ভব। “যখন মনষ্যের সকল ব্যক্তিগলিই ঈশ্বরমখী বা ঈশ্বরানােবত্তীর্ণ হয়, সেই অবস্থাই ভক্তি।” এ কথাটা এত গরতের, ইহার ভিতর এমন সকল গারতের তত্ত্ব নিহিত আছে যে, ইহা তুমি যে একবার শনিয়াই বঝিতে পারিবে, এমন সম্ভাবনা কিছ মাত্ৰ নাই। অনেক সন্দেহ উপস্থিত হইবে, অনেক গোলমাল ঠেকিবে, অনেক ছিদ্ৰ দেখিবে, হয়ত পরিশেষে ইহাকে অর্থশান্য প্ৰলাপ বোধ হইবে। কিন্তু তাহা হইলেও সহসা নিরাশ হইও না। দিন দিন, মাস মাস, বৎসর বৎসর এই তত্ত্বের চিন্তা করিও। কাৰ্য্যক্ষেত্রে ইহাকে ব্যবহৃত করিবার চেস্টা করিও। ইন্ধনপস্ট অগ্নির ন্যায়। ইহা ক্রমশঃ তোমার চক্ষে পরিসফট হইতে থাকিবে। যদি তাহা হয়, তাহা হইলে তোমার জীবন সার্থক হইল বিবেচনা করিবে। মনষ্যের শিক্ষণীয় এমন গারতের তত্ত্ব আর নাই। এক জন মনষ্যের সমস্ত জীবন সংশিক্ষাব্য নিযক্ত করিয়া, সে যদি শেষে এই তত্ত্বে আসিয়া উপস্থিত হয়, তবেই তাহার জীবন সার্থক জানিবে। শিষ্য। যাহা এরপা দশপ্ৰাপ্য, তাহা আপনিই বা কোথায় পাইলেন ? গর। অতি তরণ অবস্থা হইতেই আমার মনে এই প্রশন উদিত হইত, “এ জীবন লইয়া কি করিব ?” “লইয়া কি করিতে হয় ?” সমস্ত জীবন ইহারই উত্তর খাজিয়াছি। উত্তর খাজিতে খাজিতে জীবন প্রায় কাটিয়া গিয়াছে। অনেক প্রকার লোক-প্রচলিত উত্তর পাইয়াছি, তাহার সত্যাসত্য নিরাপণ জন্য অনেক ভোগ ভুগিয়াছি, অনেক কষ্ট পাইয়াছি। যথাসাধ্য পড়িয়াছি, অনেক লিখিয়াছি, অনেক লোকের সঙ্গে কথোপকথন করিয়াছি, এবং কাৰ্য্যক্ষেত্রে মিলিত হইয়াছি। সাহিত্য, বিজ্ঞান, ইতিহাস, দর্শন, দেশী বিদেশী শাস্ত্র যথাসাধ্য অধ্যয়ন করিয়াছি। জীবনের সার্থকতা সম্পাদন জন্য প্ৰাণপাত করিয়া পরিশ্রম করিষাছি। এই পরিশ্রম, এই কািট ভোগের ফলে এইটকু শিখিয়াছি যে, সকল বত্তির ঈশ্বরানিবৰ্ত্তিতাই ভক্তি, এবং সেই ভক্তি ব্যতীত মনীষ্যত্ব নাই। “জীবন লইয়া কি করিব।” এ প্রশেনর এই উত্তর পাইয়াছি। ইহাই যথাৰ্থ উত্তর, আর সকল উত্তর অযথাৰ্থ । লোকের সমস্ত জীবনের পরিশ্রমের এই শেষ ফল; এই এক মাত্র সফল। তুমি জিজ্ঞাসা করিতেছিলে, আমি এ তত্ত্ব কোথায় পাইলাম। সমস্ত জীবন ধরিয়া, আমার প্রশেনর উত্তর খাজিয়া এত দিনে পাইয়াছি। তুমি এক দিনে ইহার কি বঝিবে ? শিষ্য। আপনার কথাতে আমি ইহাই বঝিতেছি যে, ভক্তির লক্ষণ সম্পবন্ধে আমাকে যে উপদেশ দিলেন, ইহা আপনার নিজের মত। আৰ্য্য ঋষিরা এ তত্ত্ব অনবগত ছিলেন। গর। মািখ! আমার ন্যায় ক্ষদ্র ব্যক্তির এমন কি শক্তি থাকিবার সম্ভাবনা যে, যাহা আৰ্য LDDDDD S ODDDBDB DYSLqDD DBB BDBBDDB DBB BDSS DBDD DBBD DDBBDDS তাহার তাৎপৰ্য্য এই যে, সমস্ত জীবন চেন্টা করিয়া তাঁহাদিগের শিক্ষার মন্ম গ্রহণ করিয়াছি। তবে, আমি যে ভাষায় তোমাকে ভক্তি বাবাইলাম, সে ভাষায়, সে কথায় তাঁহারা ভক্তিতত্ত্ব বাঞ্চান নাই। তোমরা উনবিংশ শতাব্দীর লোক-উনবিংশ শতাব্দীর ভাষাতেই তোমাদিগকে বঝাইতে হয়। ভাষার প্রভেদ হইতেছে বটে, কিন্তু সত্য নিত্য। ভক্তি শান্ডিল্যের সময়ে যাহা ছিল, তাহাঁই আছে। ভক্তির যথাৰ্থ স্বরপ বাহা, তসহ আধ্য ঋষিদিগের উপদেশমধ্যে প্রাপ্তব্য। তবে যেমন সমদ্রনিহিত রয়ের যথাৰ্থ সম্বরূপ, ডুব দিয়া না দেখিলে দেখিতে পাওয়া যায় না, তেমনি 匈波象