পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बभ्क् ब्रष्नावळी তাঁহাকে পাইব ? বরং যাহার প্রতি আমাদের অন্যরাগ আছে, তাহাকে পাইবার সম্ভাবনা। যে শরীরী, তাহাকে কেবল অন্যরাগে না পাইলে না পাওয়া যাইতে পারে, কিন্তু যিনি অশরীরী তিনি কেবল অন্তঃকরণের দ্বারাই প্রাপ্য। অতএব তাহার প্রতি প্রগাঢ় অন্যরাগ থাকিলেই আমরা তাঁহাকে পাইব । সেই প্রকারের অন্যরাগের নাম ভক্তি। শান্ডিল্যস্যুত্রের দ্বিতীয় সন্ত্র এই— “সা (ভক্তিাঃ) পরান-রক্তিরীশ্বরে।” শিষ্য। ভক্তিবাদের উৎপত্তির এই ইতিবত্ত শনিয়া আমি বিশেষ আপ্যায়িত হইলাম। ইহা না। শনিলে ভক্তিবাদ ভাল করিষা বঝিতে পারিতাম না। শনিয়া আর একটা কথা মনে উদয় হইতেছে। সাহেবেরা এবং দািযানন্দ সরস্বতী প্রভৃতি এদেশীয় পন্ডিতেরা বৈদিক ধৰ্ম্মকেই শ্ৰেষ্ঠ ধৰ্ম্মম বলিয়া থাকেন, এবং পৌরাণিক বা আধনিক হিন্দধৰ্ম্মকে নিকৃস্ট বলিয়া থাকেন। কিন্তু এখন দেখিতেছি, এ কথা অতিশয় অযথার্থ। ভক্তিশান্য যে ধৰ্ম্ম, তাহা অসম্পণে বা নিকৃষ্ট ধৰ্ম্ম-অতএব বেদে যখন ভক্তি নাই, তখন বৈদিক ধৰ্ম্মমই নিকৃষ্ট, পৌরাণিক বা আধনিক বৈষ্ণবাদি ধৰ্ম্মমই শ্রেষ্ঠ ধৰ্ম্মম। যাঁহারা এ সকল ধমের লোপ করিয়া বৈদিক ধৰ্ম্মেমরি পােনর জীবনের চেস্টা করেন, তাঁহাদিগকে ভ্ৰান্ত বিবেচনা করি। গর। কথা যথার্থ। তবে ইহাও বলিতে হয় যে, বেদে যে ভক্তিবাদ কোথাও নাই, ইহাও ঠিক নহে। শান্ডিল্যাস ত্রের টীকাকার স্বপ্নেশ্বর ছন্দোগ্য উপনিষদ হইতে একটি বচন উদ্ধত করিয়াছেন, তাহাতে ভক্তি শব্দ ব্যবহৃত না থাকিলেও ভক্তিবাদের সার মন্ম তাহাতে আছে। বচনটি এই “আত্মৈবেদং সবমিতি । সি বা এষ এবং পশ্যশ্লেষবং মন্তবান এবং বিজানান্নাত্মরতিরাত্মক্রীড়া আত্মমিথন আত্মানন্দঃ সা সাবরাড়া ভবতীতি।” ইহার অর্থ এই যে, আত্মা এই সকলই (অৰ্থাৎ পাবে যাহা বলা হইয়াছে)। যে ইহা দেখিয়া, ইহা ভাবিয়া, ইহা জানিযা, আত্মায় রত হয়, আত্মাতে ক্ৰীড়াশীল হয়, আত্মাই যাহার মিথন (সহচর), আত্মাই যাহার আনন্দ, সে সবরাজ (আপনার রাজা বা আপনার দ্বারা বঞ্জিত) হয়। ইহা যথাৰ্থ ভক্তিবাদ । छाना अथाम्न-ख्द्ध ঈশ্বরে ভক্তি-শাণিডেল্য গর। শ্ৰীমদ্ভগবদগীতাই ভক্তিতত্ত্বের প্রধান গ্রন্থ। কিন্তু গীতোক্ত ভক্তিতত্ত্ব তোমাকে বাঝাইবার আগে ঐতিহাসিক প্রথাক্রমে বেদে যতটকু ভক্তিতত্ত্ব আছে, তাহা তোমাকে শনান ভাল। বেদে এ কথা প্রায় নাই, ছন্দোগ্য উপনিষদে কিছ আছে, ইহা বলিয়াছি। যাহা আছে, তাহার সহিত শান্ডিল্য মহষির নাম সংযক্ত। শিষ্য। যিনি ভক্তিসত্রের প্রণেতা ? গর। প্রথমে তোমাকে আমার বলা কত্তব্য যে, দাই জন শান্ডিল্য ছিলেন, বোধ হয়। এক জন উপনিষদষক্ত এই ঋষি। আর এক জন শান্ডিল্য-সত্রের প্রণেতা। প্রথমোক্ত শান্ডিলা প্রাচীন ঋষি, দ্বিতীয় শান্ডিল্য অপেক্ষাকৃত আধনিক পণ্ডিত। ভক্তিসত্রের ৩১ সাত্রে প্রাচীন শান্ডিল্যের নাম উদ্ধত হইয়াছে। শিষ্য। অথবা এমন হইতে পারে যে, আধনিক সন্ত্রকার প্রাচীন ঋষির নামে আপনার গ্ৰন্থখানি চালাইয়াছেন। এক্ষণে প্রাচীন ঋষি শান্ডিল্যের মতই ব্যাখ্যা করবেন। গর। দভাগ্যক্রমে সেই প্রাচীন ঋষি প্রণীত কোন গ্রন্থ বৰ্ত্তমান নাই। বেদান্তসত্রের শঙ্করাচাৰ্য্য যে ভাষ্য করিয়াছেন, তন্মধ্যে সত্রবিশেষের ভাষ্যের ভাবাৰ্থ হইতে কোলৱক সাহেব এইরুপ অনমান করেন, পশ্চরাত্রের প্রণেতা এই প্রাচীন ঋষি শান্ডিল্য। তাহা হইতেও পারে, না হইতেও পারে; পশুরাত্রে ভাগবত ধৰ্ম্ম কথিত হইযাছে বটে, কিন্তু এইরূপ সামান্য মলের উপর নিভাির করিয়া স্থির করা যায় না যে, শান্ডিল্যই পঞ্চরাত্রের প্রণেতা। ফলে প্রাচীন ঋষি শাণিডেল্য যে ভক্তিধর্মের এক জন প্রবত্তক, তাহা বিবেচনা করিবার অনেক কারণ আছে। কথিত LBBBB DDDDDS CDBSDBD DBBD DD DDBB DDBLBBDSqS ‘বেদপ্রতিষেধশাচ ভবতি । চতুৰ্য বেদেষ পরং শ্রেয়োহলন্ধৰা শান্ডিল্য ইদং শাস্ত্রমাধিগতবান। ইত্যাদি বেদানিন্দাদশনাৎ । তস্মদিসঙ্গতা এষা কলপনা ইতি সিদ্ধঃ।” sss