পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

पुेशन कि अब शिश्न मा दिल बना ल्द किन अगण श्न ना। নিমফল তৃতীয়, ফিরে আর না ফিরে, পাঠক! আপনার ও আমার পক্ষে সমান কথা, কেন না, আপনার ও আমার পাঁচাত্তরেও ঘাস জল, ছিয়াত্তরেও ঘাস জল । আপনার মঙ্গল হউক, আপনি ঘাস জলের প্রতি দটি রাখিবেন। কোন “পেপশিয়ালের” পত্র যবেরাজের সঙ্গে যে সকল “সে পশিয়াল” আসিয়াছিলেন, তাঁহাদিগের মধ্যে একজন কোন বিলাতীয় সম্পবাদপত্রে নিম্নলিখিত পত্ৰখানি লিখিয়াছিলেন, আমরা অন্যবাদ করিয়া প্রকাশ করিতেছি। সে বিলাতীয় সম্পবাদপত্রের নামের জন্য যদি কেহ আমাদিগকে পীড়াপীড়ি করেন, তবে আমরা লাচার হইব। সম্পবাদপত্রের নাম আমরা জানি না, এবং কোথায় দেখিয়াছিলাম, তাহা সমরণ নাই। পত্ৰখানির মৰ্ম্ম এই-- যােবরাজের সঙ্গে আসিয়া বাঙ্গালা দেশ যেরপে দেখিলাম, তাহা এই অবকাশে বর্ণনা করিয়া আপনাদিগকে আপ্যায়িত করিব ইচ্ছা আছে। আমি এদেশ সম্পবন্ধে অনেক অন্যসন্ধান করিয়াছি, অতএব আমার কাছে যেরপ ঠিক সম্পবাদ পাইবেন, এমন অন্যের কাছে পাইবেন না। এদেশের নাম “বেঙ্গল”। এ নাম কেন হইল, তাহা দেশী লোকে বলিতে পারে না। কিন্তু দেশী লোকে এদেশের অবস্থা সবিশেষ অবগত নহে, তাহারা জানিবে কি প্রকারে ? তাহারা বলে, পাবে ইহার এক প্রদেশকে বঙ্গ বলিত, তৎপ্রদেশের লোককে এখনও “বাঙ্গাল” বলে, এজন্য এদেশের নাম “বাঙ্গালা”। কিন্তু এদেশের নাম বাঙ্গালা নহে-ইহার নাম “বেঙ্গল”-তাহা আপনারা সকলেই জানেন। অতএব এ কথা কেবল প্রবণগুনা মাত্র। আমার বোধ হয়, বেঞ্জামিন গ'ল (Benjamin Gall) সংক্ষেপতঃ বেন গল নামক কোন ইংরেজ এই দেশ পাবে আবিস্কৃত এবং অধিকৃত করিয়া আপন নামে বিখ্যাত করিয়াছিলেন। রাজধানীর নাম “কালকাটা” (Calcutta) “কাল” এবং “কাটা” এই দাইটি বাঙ্গালা শব্দে এই নােমর উৎপত্তি। এই নগরীতে কাল কাটাইবার কোন কম্পট নাই, এই জন্যই ইহার নাম এদেশের লোক কতকগলি ঘোরতর কৃষ্ণবৰ্ণ, কতকগলি কিঞ্চিৎ গৌর। যাহারা কৃষ্ণবৰ্ণ, তাহাদিগের পািৰব পর্যুষে বোধ হয় আফ্রিকা হইতে আসিয়া বাস করিয়াছিল; কেন না, সেই কৃষ্ণবৰ্ণ বাঙ্গালিদিগের মধ্যে অনেকেই কুশ্চিত কেশ ; নরতত্ত্ববিদেরা স্থির করিয়াছেন, কুণ্ডিত কেশ হইলেই কাফ্রি। আর যাহারা কিঞ্চিৎ গৌরবণ, বোধ হয় তাহারা উপরিকথিত বেন গল সাহেবের বং দেখিলাম, অধিকাংশ বাঙ্গালি মাণেগুস্টরের তত্ত্বপ্রসত বস্ত্র পরিধান করে। অতএব পািন্টই সিদ্ধান্ত হইতেছে যে, ভারতবর্ষ মাণ্ডোিস্টরের সংস্রবে। আসিবার পাবে, বঙ্গদেশের লোক উলঙ্গ থাকিত। এক্ষণে মান্চেস্টরের অন্যকম্পায় তাহারা বস্ত্র পরিয়া বাঁচিতেছে। ইহারা সম্প্রতি মাত্র বস্ত্র পরিতে আরম্ভ করিয়াছে, কি প্রকারে বস্ত্র পরিধান করিতে হয়, তাহা এখনও ঠিক করিয়া উঠিতে পারে নাই। কেহ কেহ আমাদিগের মত পেণ্টলন। পরে, কেহ কেহ তুকদিগের মত পায়জামা পরে, এবং কেহ কেহ কাহার অন্যাকরণ করবে, তাহার কিছই স্থির করিতে না পারিয়া বস্ত্ৰগলি কেবল কোমরে জড়াইয়া রাখে। অতএব দেখ, ৱিটিশ রাজ্য বেঙ্গল দেশে এক শত বৎসর হইয়াছে মাত্র, ইতিমধ্যেই অসভ্য জাতিকে বস্ত্র পরিধান করিতে শিখাইয়াছে। সতরাং ইংলন্ডের যে কি অসীম মহিমা এবং তন্দ্বারা ভারতবর্ষের যে কি পরিমাণে ধন এবং ঐশ্বৰ্য্য বদ্ধি হইতেছে, তাহা বলিয়া উঠা যায় না। তাহা ইংরেজই জানে। বাঙ্গালিতে বকিতে পারে, এত বন্ধি তাহাদিগের থাকা সম্ভব নহে। দঃখের বিষয় যে, আমি কয়দিনে বাঙ্গালিদিগের ভাষায় অধিক ব্যৎপত্তি লাভ করিতে পারি নাই; তবে কিছু কিছ শিখিয়াছি। এবং গোলেস্তান এবং বোস্তান নামে যে দইখানি বাঙ্গালা পান্তক আছে, তাহার অন্যবাদ পাঠ করিয়াছি। ঐ দইখানি পত্তিকের স্থল মৰ্ম্ম এই যে, (OS