পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

grev শিকার দেখিলেই বাহির করিয়া তাহাতে বারদ পোরে। বন্দকের সিসের গলিতে ছার পক্ষজাতির পক্ষচ্ছেদ হয়, বাঙ্গালির মেয়ের নয়নবাণে কাহার পক্ষচ্ছেদের আশা করে বলিতে পারিনা। আমি বাঙ্গালির কন্যার অঙ্গভরণের যেরপে গণ দেখিয়াছি, তাহাতে আমার ইচ্ছা করে, আমারও ফৌলিংপিসটিকে দই একখানা সোণার গহনা পরাইব-দেখি, পাখী ঘরিয়া আসিয়া বন্দকের উপর পড়ে কি না। তব নয়নবাণে কেন, শনিয়াছি বাঙ্গালির মেয়ে নাকি পাম্পবাণ প্রয়োগেও বড় সাপট। হিন্দ, সাহিত্যোক্ত পর্যাপশরে, আর এই বঙ্গকামিনীগণের পরিত্যক্ত পম্পশরে কোন সম্প্ৰবন্ধ আছে কি না, তাহা আমি জানি না; যদি থাকে, তবে বাঙ্গালির মেয়েকে দরাকাঙিক্ষণী বলিতে হইবে। শনিয়াছি, কোন বাঙ্গালি কবি নাকি লিখিয়াছিলেন “কি ছার মিছার ধন, ধরে ফািলবাণ”; এখন কথাটা একটা ফিরাইয়া বলিতে হইবে, “কি ছার মিছার ফল, মারে ফলেবান” । যাহা হউক, ফলবাণ। সচরাচর প্রচলিত না হইয়া উঠে। বাঙ্গালায় ইংরেজ টোকা ভার হইবে-আমার সব্বদা ভয় করে, আমি এই গরিব দোকানদারের ছেলে, দা-টােকার লোভে সমদ্র পার হইয়া আসিয়াছিকে জানে, কখন বঙ্গকুলকামিনী-প্রেরিত কুসমিশর আসিয়া, এই ছেড়া তাম্পািব, ফটা করিয়া, আমার হৃদয়ে আঘাত করিবে, আমি অমনি ধপাস করিয়া চিতপাত হইয়া পড়িয়া যাইব! হায়! তখন আমার কি হইবো! কে মাখে জল দিবে! আমি এমত বলি না যে, সকল বাঙ্গালির মেয়ে এরােপ ফৌলিংপিস, অথবা সকলেই এরপ পক্ষপক্ষেপণী প্রেরণে সচতুরা। তবে কেহ কেহ বটে, ইহা আমি জনরবে অবগত হইয়াছি। শনিয়াছি, তাঁহারা নাকি ভর্তুনিয়োগানসারেই এরপ কায্যে প্রবত্ত। এই ভর্তুগণ দেশীয় শাস্ত্রানসারেই এই পদ্ধতি অবলম্বন করিয়াছেন। হিন্দীদিগের যে চারিটি বেদ আছে—তাহার মধ্যে চাণক্যশ্লোক নামক বেদে (আমি এ সকল শাস্ত্রে বিশেষ ব্যৎপন্ন হইয়াছি) লেখা আছে যে, আত্মানং সততং রক্ষেৎ দরৈরপি ধনৈরাপি। ইহার অর্থ এই, হে পদ্মাপলাশিলোচনে শ্ৰীকৃষ্ণ ! আমি আপনার উন্নতির জন্য তোমাকে এই বনফলের মালা দিতেছি, তুমি গলায় পর। BRANSONISM* জন ডিকসন সাহেবকে ফৌজদারী আদালতে ধরিয়া আনিয়াছে। সাহেব বড় কালো,তাহলে হয়। কি, সাহেব তা বটে-পাড়াগোঁয়ে কাছারিতে বিচার দেখিতে অনেক রঙ্গদার লোক ছটিয়া গেল। বিচার একটা দেশী ডিপটির কাছে হইবে। তাহাতে সাহেবের কিছ কাটা; তবে মনে মনে ভরসা আছে যে, বাঙ্গালিটা ভয়ে আমাকে ছাড়িয়া দিবে। ডিপটি মহাশয়ের রকম দেখিয়াও তাই বোধ হয়, একটা তেকেলে বড়ো-নিরীহ রকম ভাল মানষ; জড়সড় হইয়া বসিয়া আছে। এদিকে কনভেন্টবল মহাশয়েরা কতকটা ভয়ে ভয়ে সাহেব মহাশয়কে ডকস্থা করিলেন। সাহেব ডকস্থ হইয়াই একটি গরম হইয়া হাকিমের পানে চাহিয়া চোখ ঘরাইয়া একটি বাঁকা বাঁকা বলিতে বলিলেন, “সে হামাকে টোমরা হেখানে কেন আনিলো ?” হাকিম৷ বলিল, “কি জানি সাহেব ! কেন আনিলো-তুমি কি করেছ?” সাহেব । যা করে না কেন, টোমার সাতে হামার কোন বাট হোবে না। হাকিম । কেন সাহেব ? সাহেব। টমি কালা বাঙ্গালি আছে। হাকিম। তার পর ? नाश्व। शाभि नाgश्व ख्याथ् । হাকিম। তা ত দেখছি-তাতে কি হলো ? সাহেব। তোমার-কি বলে ? সেটা লেই। হাকিম। তব ভাল-মাতৃভাষা ধরেছ, এতক্ষণ বাঁকা বাঁকা বলি ধরেছিলে কেন ? কি নেই ? সাহেব। সেই ঝাতে মোকদ্দমা করে-সে তুমি জানে না ?

  • Ilbert বিল সম্পবিন্ধীয় বিবাদকালে ইহা লিখিত হয়।

9-ܓ ܐ