পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম রচনাবলী সম্পবিন্ধ, যথা-ভ্ৰাতা ভগিনী প্রভূতি, তাহারাও আমাদের প্রীতির পাত্র। সংসগজনিতই হউক, আত্মপ্রীতির সম্প্রসারণেই হউক, তাহদের প্রতি প্রীতি সচরাচর জলময়া থাকে। (৩) এইরূপ প্রীতির সম্প্রসারণ হইতে থাকিলে, কুটবাদি ও প্রতিবাসিগণ প্রীতির পাত্র হয়, ইহা প্রীতির নৈসৰ্গিক বিস্তার কথনকালে বলিয়াছি। (৪) এমন অনেক ব্যক্তির সংসগে আমরা পড়িয়া থাকি যে, তাহারা আমাদের সব্বজনমধ্যে গণনীয় না হইলেও তাহদের গণে মন্ধে হইয়া আমরা মুকুতি বিশেষ প্রীত্যিক্ত হইয়া থাকি। এই বন্ধ প্ৰীতি অনেক সমযে অত্যন্ত বলবতী থাকে । ঈদশ প্রীতিও অনশীলনীয় ও উৎকৃষ্ট ধৰ্ম্মম। সামঞ্জস্যের সাধারণ নিয়মের বশবত্তী হইয়া ইহার অনশীলন করবে। फफूबिबर शऊिऊष्म उक्षाझ-बटुमभटौड গর। অনশীলনের উদ্দেশ্য, সমস্ত বত্তিগলিকে সাফারিত ও পরিণত করিয়া ঈশ্বরমখী করা। ইহার সাধন, কম্পমীর পক্ষে, ঈশ্বরোন্দিন্ট কৰ্ম্ম। ঈশ্বর সব্বভুতে আছেন, এজন্য সমস্ত জগৎ আত্মবৎ প্রীতির আধার হওয়া উচিত। জাগতিক প্রীতির ইহাই মল। এই মৌলিকতা দেখিতে পাইতেছ, ঈশ্বরোন্দিন্ট কম্পেমাের। সমস্ত জগৎ কেন আপনার মত ভাল বাসিব ? ইহা ঈশ্বরোন্দিন্ট কম্পমা বলিয়া। তবে, যদি এমন কাজ দেখি যে, তাহাও ঈশ্বরোন্দিন্ট, কিন্তু এই জাগতিক প্রীতির বিরোধী, তবে আমাদের কি করা কত্তব্য? যদি দই দিক বজায় না রাখা যায়, তবে কোন দিক অবলম্বন করা কত্তব্য ? মুষ সে স্থলে বিচার করা কম্ভব। বিচারে যে দিক গাের হইবে, সেই দিক অবলম্বন <दा গর। তবে, যাহা বলি, তাহা শনিয়া বিচার কর। দক্ষপাতিপ্ৰীতি-তত্ত্ব বক্সাইবার সময়ে বাঝাইয়াছি যে, সমাজের বাহিরে মনষ্যের কেবল পশাজীবন আছে মাত্র, সমাজের ভিতরে ভিন্ন মনষ্যের ধৰ্ম্মম জীবন নাই। সমাজের ভিতরে ভিন্ন কোন প্রকার মঙ্গল নাই বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। সমাজধবংসে সমস্ত মনষ্যের ধৰ্ম্মধবংস। এবং সমস্ত মনষ্যের সকলপ্রকার মঙ্গলধবংস। তোমার ন্যায় সশিক্ষিতকে কষ্ট পাইয়া এ কথাটা বোধ করি বক্সাইতে হইবে না। শিষ্য। নিম্পপ্রয়োজন। বাচস্পতি মহাশয় দেশে থাকিলে এ সকল বিষয়ে আপত্তি উত্থাপিত করার ভার তীরে দিতাম। গর। যদি তাঁহাই হইল, যদি সমাজধবংসে ধৰ্ম্মধবংস এবং মনষ্যের সমস্ত মঙ্গলের ধবংস, তবে সব রাখিয়া আগে সমাজ রক্ষা করিতে হয়। এই জন্য হবাট সেপন্সার বলিয়াছেন, 'The life of the social organism must, as an end, rank above the lives of its units.” অর্থাৎ আত্মরক্ষার অপেক্ষাও দেশরক্ষা শ্রেষ্পাঠ ধৰ্ম্মম। এবং এই জন্যই সহস্ৰ সহস্ৰ ব্যক্তি আত্মপ্রাণ বিসঙ্জন করিয়াও দেশরক্ষার চেন্টা করিয়াছেন। যে কারণে আত্মরক্ষার অপেক্ষা দেশরক্ষা শ্রেণীঠ ধৰ্ম্মম , সেই কারণেই ইহা সবজনবক্ষার অপেক্ষাও শ্রেদ্ঠ ধৰ্ম্মম। কেন না, তোমার পরিবারবাগ সমাজের সামান্য অংশ মাত্র, সমদায়ের জন্য অংশ মাত্রকে পরিত্যাগ বিধেয়। আত্মরক্ষার ন্যায় ও সর্বজনরক্ষার ন্যায়। সবদেশরক্ষা ঈশ্বরোন্দিন্ট কম; কেন না, ইহা সমস্ত জগতের হিতের উপায়। পরস্পরের আক্রমণে সমস্ত বিনন্ট বা অধঃপতিত হইয়া কোন পরস্বলোলাপ পাপিষ্ঠ জাতির অধিকারভুক্ত হইলে, পথিবী হইতে ধৰ্ম্ম ও উন্নতি বিলপ্ত হইবে। এইজন্য সব্বভূতের হিতের জন্য সকলেরই স্বদেশরক্ষণ কৰ্ত্তব্য। যদি সবদেশরক্ষাও আত্মরক্ষা ও সর্বজনরক্ষার ন্যায় ঈশ্বরোন্দিন্ট কক্ষম হয়, তবে ইহাও নিজ কাম কৰ্ম্মেম পরিণত হইতে পারে। ইহা যে আত্মরক্ষা ও সর্বজনরক্ষার অপেক্ষা সহজে কেম্প পরিণত হইতে পারে ও হইয়া থাকে, তাহা বােধ করি কষ্ট পাইয়া ব্যবইতে का ! শিষ্য। প্রশনটা উত্থাপিত করিয়া। আপনি বলিয়াছিলেন, “বিচার কর।” এক্ষণে বিচারে কি নিজপন্ন হুইল ? yQ