অর্থাৎ “দেওয়া উচিত, এই বিবেচনায় যে দান, যাহার প্রত্যুপকার করিবার সম্ভাবনা নাই, তাহাকে দান, দেশ কাল পাত্র বিবেচনা করিয়া যে দান, তাহাই সাত্ত্বিক দান। প্রত্যুপকারপ্রত্যাশায় যে দান, ফলের উদ্দেশে যে দান, এবং অপ্ৰসন্ন হইয়া যে দান করা যায়, তাহা রাজস দান। দেশ কাল পাত্র বিচারশন্য যে দান, অনাদরে এবং অবজ্ঞাষাক্ত যে দান তাহা তামস "ן ואןbf মু! দানের দেশ কাল পত্র কিরূপে বিচার করিতে হইবে, গীতায্য তাহার কিছ, উপদেশ जभाछ कि 2 গর। গীতায় নাই, কিন্তু ভাষ্যকারেরা সে কথা বলিয়াছেন। ভাষ্যকারদিগের রহস্য দেখ। দেশ কাল পাত্র বিচার করিবে, এ কথাটার বাস্তবিক একটা বিশেষ ব্যাখ্যা প্রয়োজন করে না। সকল কম্পমাই দেশ কাল পাত্র বিচার করিয়া করিতে হয়। দানও সেইরােপ। দেশ কাল পাত্র বিচার না করিয়া দান করিলে, দান আর সাত্ত্বিক হইল না, তামসিক হইল। কথাটার অর্থ সোজা বঝিবার জন্য হিন্দধমের কোন বিশেষ বিধির প্রয়োজন করে না। বাঙ্গালা দেশ দাভিক্ষে উৎসন্ন যাইতেছে; মনে কর, সেই সময়ে মাণ্ডেণ্টরে কাপড়ের কল বন্ধ-শিলপীদিগের কজ্জন্ট হইয়াছে। এ অবস্থায় আমার কিছ দিবার থাকিলে দাই জায়গায় কিছ কিছ দিতে পারলে ভাল হয়, না পারিলে কেবল বাঙ্গালায় যা পারি দিব। তাহা না দিয়া, যদি আমি BDBDDBBD DLDTBBD DDDS BBB BBSSBBB BBDD DDSS SDBDDD DDS DDLLTB DDBD BBBDD BD আছে, বাঙ্গালায় দিবার লোক বড় কম। কালবিচারও ঐরাপ। আজ যে ব্যক্তির প্রাণ তুমি আপনার প্রাণপাত করিয়া রক্ষা করিলে, কাল হয়ত তাহাকে তুমি রাজদান্ডে দণিডত করিতে বাধ্য হইবে, তখন সে প্রাণদান চাহিলে তুমি দিতে পরিবে না। পাত্ৰবিচার অতি সহজ-প্রায় সকলেই করিতে পারে। দাঙ্খীকে সকলেই দেয়, জয়াচোরকে কেহই দিতে চাহে না। অতএব “দেশে কালে চ পাত্রে চ" এ কথার একটা সক্ষম ব্যাখ্যার বিশেষ প্রযোজন নাই-ষে উদার জাগতিক মহানীতি সকলের হৃদয়গত, ইহা তাহারই অন্তর্গত। এখন ভাষ্যকারেরা কি বলেন, তাহা দেখ। “দেশে”—কি না। “পণ্যে কুরক্ষেত্রদোঁ।" শঙ্করাচায্য ও শ্ৰীধর স্বামী উভযেই ইহা বলেন। তার পর “কালো” কি ? শঙ্কর বলেন, “সংক্রান্ত্যান্দৌ"-শ্ৰীধর বলেন “গ্রহণাদেী”। পাত্রে কি ? শঙ্কর বলেন, “ষড়ঙ্গবিদ্বেন্দপারাগ ইত্যাদেী আচারানিন্ঠায়"- শ্ৰীধর বলেন, “পাত্র ভূতায় তপঃব্ৰতাদিসম্পন্নায় ব্রাহ্মণায়।” সৰবৰ্ণনাশ ! আমি যদি স্বদেশে বসিয়া মাসের ১লা হইতে ২৯শে তারিখের মধ্যে কোন দিনে, অতি দীনদঃখী পীড়িত কাতর এক জন মচি কি ডোমকে কিছ দান করি, তবে সে দান। ভগবদভিপ্রেত দান হইল না! এইরপে। কখন কখন ভাষ্যকারদিগের বিচারে অতি উন্নত, উদার এবং সাব্বলৌকিক যে হিন্দধাম, তাহা অতি সঙ্কীর্ণ এবং অনাদার উপধৰ্ম্মেম পরিণত হইয়াছে। এখানে শঙ্করাচাৰ্য্য ও শ্ৰীধর সবামী যাহা বলিলেন, তাহা ভগবদ্বাক্যে নাই। কিন্তু তাহা সমিতিশাস্ত্ৰে আছে। ভগবদ্বাক্যকে সমিতির অনমোদিত করিবার জন্য সেই উদার ধৰ্ম্মকে অনাদার এবং সঙ্কীণী করিয়া ফেলিলেন। এই সকল মহাপ্রতিভাসম্পন্ন, সব্বশাস্ত্ৰবিং মহামহোপাধ্যায়গণের তুলনায় আমাদের মত ক্ষদ লোকেরা পৰিবতের নিকট বালকাকশাতুল্য, কিন্তু ইহাও কথিত আছে যে,- কেবলং শাস্ত্ৰমাশ্রিত্য ন কত্তব্যো বিনিণয়ঃ । যক্তিহীন বিচারে তু ধৰ্ম্মম হানিঃ প্রজায়তে ॥৭ বিনা বিচারে, ঋষিদিগের বাক্যসকল মস্তকের উপর এত কাল বহন করিয়া আমরা এই বিশঙ্খলা, অধৰ্ম্ম এবং দন্দশায় আসিয়া পড়িয়াছি। এখন আর বিনা বিচারে বহন করা কীৰ্ত্তব্য নহে। আপনার বদ্ধি অনসারে সকলেরই বিচার করা উচিত। নহিলে আমরা চন্দনবাহী গদ্দভের অবস্থাই ক্ৰমে প্রাপ্ত হইব। কেবল ভারেই পীড়িত হইতে থাকিব-চন্দনের মহিমা কিছই বকিবে না। শিষ্য। তবে এখন ভাষ্যকারদিগের হােত হইতে হিন্দধম্পেমর উদ্ধার করা আমাদের গারতের কৰ্ত্তব্য কায্য ।
- মন, ১২ অধ্যায়, ১১৩শ শ্লোকের টীকায় কুল্পকভট্ট-ধতে বহিস্পতি-বচন ।
yšyt
