পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बभ्क्ष्म ऋनाबणी তমবাচ হৃষীকেশঃ প্ৰহসন্নিব ভারত। সেনয়োরি ভয়োম্মমধ্যে বিষীদন্তমিদং বচঃ ৷ ১o ৷ ভারত ! হৃষীকেশ হাস্য করিয়া উভয় সেনার মধ্যে বিষাদপর অজ্ঞজনকে এই কথা R <frican So শ্ৰীভগবান উবাচ। অশোচ্যােনলবশোচসত্বং প্রজ্ঞাবাদাংশচী ভাষসে । গতাসনগতাসংশ্চ নানা শোচন্তি পশিডতঃ ৷৷ ১১ ৷৷ শ্ৰীভগবান বলিতেছেনতুমি বিজ্ঞের ন্যায় কথা কহিতেছ বটে; কিন্তু যাহাঁদের জন্য শোক করা উচিত নহে, তাহাদের জন্য শোক করিতেছ। কি জীবিত, কি মত, কাহারও জন্য পন্ডিতেরা শোক 8म का l SS I এইখানে প্রকৃত গ্রন্থারম্ভ। এখন কি কথাটা উঠিতেছে, তাহা বঝিয়া দেখা যাউক । দায্যোধনাদি অন্যায়পৰ্ব্ববাক পান্ডবদিগের রােজ্যাপহরণ করিয়াছে। যদ্ধ বিনা তাহার পােনরদ্ধারের সম্ভাবনা নাই। এখানে যাদ্ধ কি কত্তব্য ? মহাভারতের উদ্যোগ পকেব। এই কথাটার অনেক বিচার হইয়াছে। বিচারে স্থির হইয়াছিল। যে, যাদ্ধই কত্তব্য। তাই এই উভয় সেনা সংগহীত হইয়া পরস্পরের সম্পমখীন হইয়াছে। এ অবস্থায় যাদ্ধ কৰ্ত্তব্য কি না, আধনিক নীতির অনগামী হইয়া বিচার করিলেও আমরা পাশডবদিগের সিদ্ধান্তের যাথার্থ্য সম্বীকার করিব। এই জগতে যত প্রকার কম আছে, তন্মধ্যে সচরাচর যাদ্ধই সব্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট। কিন্তু ধৰ্ম্মমষিদ্ধও আছে। আমেরিকায় ওয়াশিংটন, ইউরোপে উইলিয়াম দি সাইলেণ্ট, এবং ভারতবর্ষে প্ৰতাপ সিংহ প্রভৃতি যে যাদ্ধ করিয়াছিলেন, তাহা পরম ধর্ম-দানাদি অপেক্ষাও শ্রেষ্ঠ ধৰ্ম্ম। পান্ডবদিগেরও এই যাদ্ধপ্রবত্তি সেই শ্রেণীর ধৰ্ম্ম। এ বিচার আমি কৃষ্ণচরিত্রে সবিস্তারে করিয়াছি-এক্ষণে সে সকল পনরক্ত করিবার প্রয়োজন নাই।।*।। এ বিচারের স্থলে মৰ্ম্ম এই যে, যেটি যাহার ধৰ্ম্মান মত অধিকার, তাহার সাধ্যানসারে রক্ষা করা তাহার ধৰ্ম্মম। রক্ষার অর্থ এই যে, কেহ অন্যায়পক্ষািবক তাহার অপহরণ বা অবরোধ করিতে না পারে; করিলে তাহার পনেরদ্ধার এবং অপহত্তর দন্ডবিধান করা কত্তব্য। যদি লোকে স্বেচ্ছামত পরকে অধিকারচু্যত করিয়া সবচ্ছন্দে পরস্বাপহরণপৰিবাক উপভোগ করিতে পারে, তবে সমাজ এক দিনও টিকে না। সকল মনষ্যই তাহা হইলে অনন্ত দঃখ ভোগ করবে। অতএব আপনার সম্পত্তির পািনর দ্বার কৰ্ত্তব্য। যদি বল ভিন্ন অন্য সদ্যপায় থাকে, তবে তাহাই অগ্রে অবলম্বনীয়। যদি বল ভিন্ন সদ্যপায় না থাকে, তবে বলই প্রযোজ্য। এখানে বলাই ধৰ্ম্মম । মহাভারতে দেখি যে, অজ্ঞজনে ইতিপক্ষেব সকল সময়েই যাদ্ধপক্ষ ছিলেন। যখন যাদ্ধে স্বজনবন্ধের সময় উপস্থিত হইল, বধ্য সর্বজনবগের মািখ দেখিয়া তিনি যে কাতর চিত্ত ও যাদ্ধবদ্ধি হইতে বিচলিত হইবেন, ইহাও সঙ্গজনস্বভাবসলভ ভ্ৰান্তি । মহাভারতে ইহাও দেখিতে পাই ষে, যাহাতে যাদ্ধ না হয়, তত্তজন্য শ্ৰীকৃষ্ণ বিশেষ যত্ন করিয়াছিলেন। পরে যখন ষদ্ধ অলঙ্ঘ্য হইয়া উঠিল, তখন তিনি যন্ধে কোন পক্ষে ব্ৰতী হইতে অস্বীকৃত হইয়া, কেবল অঙ্কজনের সারথ্য মাত্র স্বীকার করিয়াছিলেন। কিন্তু কৃষ্ণ যন্ধে অপ্রবত্ত হইলেও তিনি পরম ধৰ্ম্মজ্ঞ, সতরাং এ স্থলে ধৰ্ম্মের পথ কোনটা, তাহা অজ্ঞজনকে জুলাইত বাধ্য। অতএব অস্পনকে বঝাইতেছেন যে, যাদ্ধ করাই এখানে ধৰ্ম্ম যুদ্ধে না করাই বাস্তবিক ষে, যাদ্ধক্ষেত্রে যাদ্ধারম্ভসময়ে কৃষ্ণাঙ্গাজনে এই কথোপকথন হইয়াছিল, ইহা বিশ্বাস করা কঠিন। কিন্তু গীতাকার এইরুপ কলপনা করিয়া কৃষ্ণপ্রচারিত ধর্মের সার মৰ্ম্মম সঙ্কলিত করিয়া মহাভারতে সন্নিবেশিত করিয়াছেন, ইহা বিশ্বাস করা যাইতে পারে। যদুদ্ধে প্রবত্তিসচক যে সকল উপদেশ শ্ৰীকৃষ্ণ অজ্ঞজনকে দিতেছেন, তাহা এই দ্বিতীয় অধ্যায়েই আছে। অন্যান্য অধ্যায়েও “যদ্ধ করা”। এইরহপ উপদেশ দিয়া ভগবান মধ্যে মধ্যে

  • এবং নবজীবন, প্রথম খন্ড দেখ।

R