পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম রচনাবলী অধিকাংশ মনষ্য চতুৰবিণের বাহির; তাহদের স্বধৰ্ম্মম নাই ? জগদীশ্বর কি তাহদের কোন BBuu DDB DB DD DDDD DDD DBB DD DB BD BBBBD DBD BBB বিহিত করিয়া, আর সকলকেই ধৰ্ম্মমচু্যত করিয়াছেন? ভগবদত্ত ধৰ্ম্মম কি হিন্দর জন্যই ? শ্ৰেলচ্ছেরা কি তাঁহার সন্তান নহে? ভাগবত ধৰ্ম্ম এমন অনাদার নহে। যিনি স্বয়ং জগদীশ্বরের এইরূপ ধৰ্ম্মমচুতিতে বিশ্বাসাবান, তিনি খীস্টানের* তুল্য। আর शिीन বিশ্বাসাবান নহেন, তিনি “সাবধন্মের” অন্য তাৎপয্যের অন্যাসন্ধান করিকেন সন্দেহ নাহি । যাহার যে ধৰ্ম্ম, তাহার। তাই স্বধৰ্ম্ম। এখন মনষ্যের ধৰ্ম্ম কি ? যাহা লইয়া মনীষ্যত্ব, তাহাই মনষ্যের ধৰ্ম্মম। কি লইয়া মনীষ্যত্ব ? মানষের শরীর আছে, এবং মনা আছে। এই শরীরই বা কি ? এবং মনই বা কি ? শরীর কতকগলি জড় পদার্থের সমবায়, তাহাতে কতকগলি শক্তি আছে। এই শক্তিগলি শরীর হইতে তিরোহিত হইলে মনষ্যেত্ব থাকে না; কেন না, মানষের মতদেহে মনীষ্যত্ব আছে, এমন কথা বলা যায় না। তবেই জড় পদার্থকে ছাড়িয়া দিতে হইবে—সেই দৈহিকী শক্তিগলিই মনষ্যেশরীরের প্রকৃত উপাদান। আমি স্থানান্তরে এইগলির নাম দিয়াছি-“শারীরিকী বত্তি”। মনষ্যের মনও এইরপে শক্তি বা বত্তির সমন্টি। সেইগলির নাম দেওয়া যাউক-মানসিক বত্তি। এখন দেখা যাইতেছে যে, এই শারীরিক ও মানসিক বত্তি লইয়াই মানষ বা মানষের মানষত্ব। যদি তাই হইল, তবে সেই সকল বত্তিগলির বিহিত অনশীলনই মানষের ধৰ্ম্ম। বত্তির সঞ্চালন দ্বারা আমরা কি করি ? হয় কিছ কক্ষমা করি, না হয়। কিছ জানি। কম্পম ও জ্ঞান ভিন্ন মনষ্যের জীবনে ফল আর কিছ নাই | অতএব জ্ঞান ও কম্পম মানষের স্বধৰ্ম্ম। সকল বত্তিগলি সকলেই যদি বিহিতরাপে অনামিঠত করিত, তবে জ্ঞান ও কম্পমা উভয়েই সকল মনষ্যেরই সর্বধৰ্ম্মম হইত। কিন্তু মনষ্যসমাজের অপরিণতাবস্থায় তাহা সাধারণতঃ ঘাঁটিয়া উঠে না $ কেহ কেবল জ্ঞানকেই প্রধানতঃ স্বধৰ্ম্মস্থানীয় করেন, কেহ কলমকে ঐরােপ প্রধানতঃ স্বধৰ্ম্মস্বরপ গ্ৰহণ করেন। জ্ঞানের চরমোদ্দেশ্য ব্ৰহ্ম; সমস্ত জগৎ ব্রিহ্মে আছে। এ জন্য জ্ঞানাজ্ঞজন যাঁহাদিগের স্বধৰ্ম্ম, তাঁহাদিগকে ব্রাহ্মণ বলা যায়। ব্রাহ্মণ শব্দ ব্ৰহ্মন শব্দ হইতে নিম্পন্ন হইয়াছে। কৰ্ম্মকে তিন শ্রেণীতে বিভক্ত করা যাইতে পারে। কিন্তু তাহা বঝিতে গেলে কম্পের্মর বিষয়টা ভাল করিয়া বঝিতে হইবে। জগতে অন্তবিষয় আছে ও বহিবিবষয় আছে। অন্তৰিবষয় কম্পেমর বিষয়ীভূত হইতে পারে না, বহিৰিবষয়ই কন্মের বিষয়। সেই বহি বিষয়ের মধ্যে কতকগলিই হউক অথবা সবই হউক, মনষ্যের ভোগ্য। মনষ্যের কলম মনষ্যের ভোগ্য বিষয়কেই আশ্রয় করে। সেই আশ্রয় ত্ৰিবিধ, যথা (১) উৎপাদন, (২) সংযোজন বা সংগ্ৰহ, (৩) রক্ষা : (১) যাহারা উৎপাদন করে, তাহারা কৃষিধৰ্ম্মমী ; (২) যাহারা সংযোজন বা সংগ্ৰহ করে, তাহারা শিলপ বা বাণিজ্যধৰ্ম্মী; এবং (৩) যাহারা রক্ষা করে, তাহারা যাদ্ধধর্মী। ইহাদিগের নামান্তর ব্যুৎক্রেমে ক্ষত্ৰিয়, বৈশ্য, শািন্দ্র, এ কথা পাঠক স্বীকার করিতে পারেন। কি ? স্বীকার করিবার প্রতি একটা আপত্তি আছে। হিন্দীদিগের ধৰ্ম্মশাস্ত্রানসারে এবং এই গীতার ব্যবস্থানসারে কৃষি শদ্রের ধৰ্ম্ম নহে; বাণিজ্য এবং কৃষি, উভয়ই বৈশ্যের ধৰ্ম্মম। অন্য ভুট্টাদিগের বিশ্বাস যে, যে বাঁশখালীত না ভঙ্গে, জগদীশ্বর তাহকে অনন্তকাল জন্য নারকে ৰূপ করেন । “মন” চলিত কথা, এই জন্য “মন” শব্দ ব্যবহার করিলাম। এই চলিত কথাটি ইংরেজি 'mind” শব্দের অন্যবাদ মাত্র। হিন্দদশনশাস্তের ভাষা ব্যবহাৰ করিতে গেলে, ইহার পরিবত্তে বদ্ধি ও মন উভয় শব্দ এবং তৎসঙ্গে অহঙ্কার এই তিনটি শিক্ষই কাহার করিতে হইবে। তাহার পরিবত্তে "matter and mind' air fielcer Se zdi. ஓர் ہ*

  • কোমাৎ প্রভৃতি পাশ্চাত্ত্য দার্শনিকগণ তিন ভাগে sts to 'Thought, Feeling, Action,’&&T RIRTI fois Feeling virturcs Thought fort Action org &8 এই জন্য পরিণামের ফল জ্ঞান ও কক্ষম এই বিবিধ বলাও ন্যায্য।

৪। আমি উনবিংশ শতাব্দীর ইউরোপকেও সমাজের অপরিণতাবস্থা বলিতেছি। 8