পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बष्किडा ब्राङजाबछौं স্বধৰ্ম্ম কি, তাহা যদি, যাহা হউক এক রকম, আমরা বঝিয়া থাকি, তবে এক্ষণে স্বধৰ্ম্ম পালন কেন করিব, তাহা বঝিতে হইবে। শ্ৰীকৃষ্ণ দই প্রকার বিচার অবলম্বনপৰোক এ তত্ত্ব অজ্ঞজনকে বঝাইতেছেন। একটি জ্ঞানমােগ, আর একটি কম্পমমাগ। এই অধ্যায়ে দ্বাদশ শ্লোক হইতে আটত্রিশ শ্লোক। পয্যন্ত জ্ঞানমােগ কীৰ্ত্তন, তৎপরে কম মােগ। জ্ঞানমাগের স্থল তত্ত্ব আত্মা অবিনশ্বর, পর-শ্লোকে সেই কথা উঠিতেছে। ন ত্বেবাহং জাতু নাসং, ন ত্বং নেমে জনাধিপাঃ । ন চৈব ন ভবিষ্যামঃ সব্বে বয়মতঃপরম৷৷ ১২ ৷ আমি কদাচিৎ ছিলাম না, এমন নহে। তুমি বা এই বাজগণ ছিলেন না, এমন নহে। ইহার পরে আমরা সকলে যে থাকিব না, এমন নহে। ১২। যদুদ্ধে সর্বজন-নিধন-সম্ভাবনা দেখিয়া অজ্ঞজনে অন্যতাপ করিলেন। তাহাতে কৃষ্ণ ইহার পািকবশ্লোকে বলিয়াছেন, “যাহার জন্য শোক করিতে নাই, তাহার জন্য তুমি শোক করিতেছ।” যে মরিবে, তাহার জন্য শোক করা উচিত নহে কেন, তাহা এই শ্লোকে বঝাইতেছেন। ভাবার্থ এই যে, “দেখ কেহ মরে না। দেখ, আমি, তুমি আর এই রাজগণ অৰ্থাৎ সকলেই চিরস্থাষী; পকেবও সকলেই ছিলাম, এ জীবন ধবংসের পর সবাই থাকিবে। যদি থাকিবে, মবিবে না, তবে তাহাদের জন্য শোক করিবে কেন ?” ইহাই হিন্দধমের স্থল কথা-হিন্দধম্মান্তগত প্রধান তত্ত্ব। কেবল হিন্দধম্মের নহে, খ্রীস্টধৰ্ম্মেমরি, বৌদ্ধধৰ্ম্মেমরি, ইসলামধৰ্ম্মেমরি, সকল ধৰ্ম্মেমর মধ্যে ইহাই প্রধান তত্ত্ব। সে তত্ত্ব এই যে, দেহাদি ব্যাতিরিক্ত আত্মা আছে, এবং সেই আত্মা অবিনাশী। শরীরের ধবংস হইলেও আত্মা পবকালে বিদ্যমান থাকে। পরকালে আত্মার কি অবস্থা হয়, তদ্বিষযে নানা মতভেদ আছে ও হইতে পারে, কিন্তু দেহাতিরিক্ত অথচ দেহস্থিত আত্মা আছেন, এবং তিনি বিনাশ-শন্য, অমর, ইহা হিন্দ, শ্ৰীন্টিয়ান, বৌদ্ধ, ব্রাহ্ম, মসলমান প্রভৃতি সকলেব সম্মত। এই সকল ধৰ্ম্মেমরি ইহাই মলভিত্তি। এই তত্ত্বের প্রধান প্রতিবাদী বৈজ্ঞানিকেরা। তাঁহারা বলেন, শবীর্যাতিরিক্ত আর কিছ নাই। শরীরতিবিক্ত। আর একটা যে আত্মা আছে তদ্বিষযে কোন প্রমাণ নাই । আজকাল বৈজ্ঞানিকেরাই বড় বলবান। পথিবীর সমস্ত ধৰ্ম্ম এক দিকে, তাঁহারা আর এক দিকে তাঁহাদের প্রচন্ড প্রতাপে পথিবীর সমস্ত ধৰ্ম্মম হঠিয়া যাইতেছে। অথচ বিজ্ঞানের* অপেক্ষা ধৰ্ম্মম বড়। পক্ষান্তরে ধৰ্ম্মম বড় বলিয়া আমরা বিজ্ঞানকে পরিত্যাগ করিতে পারি না। ধৰ্ম্ম ও সত্য, বিজ্ঞানও সত্য। অতএব এ স্থলে আমাদের বিচার করিয়া দেখা যাউক, কতটকু সত্য কোন দিকে আছে। বিশেষতঃ শিক্ষিত বাঙ্গালী, বিজ্ঞান জানন বা না জানন, বিজ্ঞানের প্রতি আচল ভক্তিবিশিস্ট। বিজ্ঞানে রেলওয়ে টেলিগ্রাফ হয়, জাহাজ চলে কল চলে, কাপড় হয়, নানা বকমে টাকা আসে, অতএব বিজ্ঞানই তাঁহাদের কাছে জ্ঞানের শ্রেষ্ঠ । যখন শিক্ষিত সম্প্রদায়ের জন্য এই টীকা লেখা যাইতেছে, তখন আত্মবাদের বিজ্ঞান যে প্রতিবাদ করেন, তাহা বিচার করিয়া দেখা উচিত। f এ বিচারে আগে বাবা কত্তব্য যে, আত্মা কাহাকে বলা যাইতেছে, এবং হিন্দরা আত্মাকে করােপ বাঝে। হিন্দ দাশ নিকেরা আত্মাকে বলেন, “অহম্প্রত্যয়বিষয়াস পদপ্রত্যয়লক্ষিতাৰ্থঃ”-অৰ্থাৎ “আমি” বলিলে যাহা বৰিব, সেই আত্মা। এ সম্পবন্ধে আমি পৰেব যাহা লিখিয়াছি, তাহা উদ্ধত করিতেছি। তাহা এই বাক্যের সম্প্রসারণ মাত্র। “আমি দঃখ ভোগ করি।-কিন্তু আমি কে ? বাহ্য-প্রকৃতি ভিন্ন আব্ব কিছ তোমাদের ইন্দুিয়ের গোচর নহে। তুমি বলিতেছ, আমি বড় দঃখ পাইতেছি-আমি বড় সখী। কিন্তু কটি মনষ্যিদেহ ভিন্ন “তুমি’ বলিব, এমন কোন সামগ্রী দেখিতে পাই না। তোমার দেহ এবং ਖੇਸ ਬਕ ਕਨੀਕ ਵਿਸ਼ਾ এই সখি দঃখ VET p

  • পাঠকের স্মরণ রাখা উচিত যে, প্রচলিত প্রথানসাবে Science কেই বিজ্ঞান বলিতেছি ও বলিব।

Nds