পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম রচনাবলী য এনং বেত্তি হস্তারং যশ্চৈনং মনতে হতম। উভৌ তৌ ন বিজানীতো নায়ং হান্তি ন হন্যতে ৷ ১৯ ৷৷ যে ইহাকে হস্তা বলিয়া জানে, এবং যে ইহাকে হত বলিয়া জানে, ইহারা উভয়েই অনভিজ্ঞ । ইনি হত্যা করেন না-হতও হয়েন না। ১৯ । প্রাচীন টীকাকারেরা এই শ্লোকের এইরহপ ব্যাখ্যা করেন; যথা-ভীমাদির মতু নিমিত্ত অজ্ঞজনের শোক, উক্ত বাক্যে নিবারিত হইল। এক্ষণে “আমি ইহাদের বধের কৰ্ত্তা।” এই নিমিত্ত ঘে দঃখ, প্রথম অধ্যায়ে ৩৪ ৷৷ ৩৫ ইত্যাদি শ্লোকে অজ্ঞজনের দ্বারা উক্ত হইয়াছে, তা খায় উত্তরে ভগবান বঝাইতেছেন যে, আত্মা যেমন কাহারও কর্তৃক হত হয়েন না, তেমনি তিনি কাহাকেও হত্যা করেন না। কেন না, আত্মা অবিক্রিয়। শঙ্কর ও শ্ৰীধর প্রভৃতি মহামহোপাধ্যায্যেরা যেরূপে অৰ্থ করিয়াছেন, আমি এক্ষণে সেইরূপ বলিতেছি। ইহার পরবত্তীর্ণ শ্লোকেরও সেইরূপ অৰ্থ ব রিব। অন্য অর্থ হয় কি না, তা হাও বলা যাইলে । টীকাকারে বা বলেন, আত্মা যে অবিক্রিয, তাহার প্রমাণ পরবত্তী শ্লোকে দেওযা। হইতেছে। ন জায়াতে মিষতে বা কদাচিস্নাযং ভূত্বা ভবিতা বা ন ভূয়ঃ। অজো নিত্যঃ শাশ্বতোহয়ং পরাণো ন হন্যতে হন্যমানে শরীরে ৷ ২O ৷ ইনি জন্মোন না বা মরেন না, কখন হয়েন নাই, বৰ্ত্তমান নাই বা হইবেন না। ইনি অজ, নিত্য, শাশ্বত, পরাণ ; শরীর হত হইলে ইনি হত হযেন না। ২০ ৷৷ টীকাকারেরা বলেন, আত্মা যে অবিক্রিয়, ইহার ষড়ভাববিকারশান্যত্বের দ্বারা দঢ়ীকৃত করা হইতেছে। ইনি জন্মশান্য-এই কথার দ্বারা জন্ম প্রতিষিদ্ধ হইল ; মরেন না-ইহাতে বিনাশ প্রতিষিদ্ধ হইল। ইনি কখন উৎপন্ন হযেন নাই এজন বৰ্ত্তমান নাই। যাহা জন্মে, তাহাকেই বৰ্ত্তমান বলা যায; কিন্তু ইনি পািকব হইতে সম্ভবতঃ সদ্ৰপে আছেন, অতএব উৎপন্ন হইয়া ষে বিদ্যমানতা, তাহা ইহাব নাই। এবং সেই জনা ইনি আবার জন্মিবেন না। সেই জন্য ইনি আজ অর্থাৎ জন্মশান্য, ইনি নিত্য অর্থাৎ সব্বদা একরােপ শাশ্বত অর্থাৎ অপক্ষমাশন্য, পরাণ অর্থাৎ বিপরিণামশােন্য। এক্ষণে পাঠক, এই দাইটি শ্লোকের প্রতি মনোভিনিবেশ করিলেই দেখিতে পাইবেন যে, আত্মাব এই অবিক্রিয়ত্ববাদ সম্পবন্ধে কোন কথা স্পষ্টতঃ মলে নাই। অস্পষ্টতঃ “নায়ঃ হান্তি” এই কথাটা আছে, কিন্তু ইহার অন্য অর্থ না হইতে পারে, এমনও নহে। যদি কেহ মরে না, তবে আত্মাও কাহাকে মারে না । আত্মা যে অবিক্রিয়, ইহা প্রাচীন দশনশাস্ত্রের একটি মত। তত্ত্বটা কি, তাহা পাঠককে বাঝান যাইতে পারে, কিন্তু সে প্রসঙ্গ উত্থাপিত করা আবশ্যক বোধ হইতেছে না। আবশ্যক বোধ হইতেছে না, তাহার কারণ, আমরা গীতার ব্যাখ্যান্য প্রবত্ত, কিন্তু এই দলটি শ্লোক গীতার নহে। শ্লোক দটি কঠোপনিষদের। গীতার দ্বিতীয্য অধ্যায়ের যেটি ১৯শ শ্লোক, তাহা কঠোপনিষদেরও দ্বিতীয় বল্লীব ১৯শ শ্লোক ; আর গীতার ঐ অধ্যায়ের যেটি ২০শ শ্লোক, তাহাও কঠোপনিষদের ঐ বল্লীব ১৮শ শ্লোক। গীতার শ্লোক ও কঠোপনিষদের শ্লোক পাশাপাশি লেখা যাইতেছে। গীতা । য এনং বেত্তি হস্তািরং যশ্চৈনং মন্যতে হতম। উভৌ তৌ ন বিজানীতো নায়ং হন্তি ন হন্যতে ৷ ২ ৷ ১৯ ন জায়তে মিয়তে বা কদাচিন্নায়ং ভূত্বা ভবিতা বা ন ভূয়ঃ। অজো নিত্যঃ শাশ্বতোেহয়ম্পরাণো ন হন্যতে হন্যমানে শরীরে৷ ২ ৷৷ ২o কঠোপনিষদ হস্তা চেলমানতে হতুং হতশেচন্দ্মন্যতে হতম। উভৌ তৌ ন বিজানীতো নায়ং হান্তি ন হন্যতে ৷ ২ ৷ ১৯ a>切