পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীমন্তগবদগীতা ন জায়তে মিয়তে বা বিপশ্চিন্নায়ং কুতশিচন্ন বভুব কশিচৎ। অজো নিত্যঃ শাশ্বতোেহয়ম্পরাণো ন হন্যতে হন্যমানে শরীরে। ২। ১৮ শ্লোক দাইটি কঠোপনিষদ হইতে গীতায় আনীত হইয়াছে, গীতা হইতে কঠোপনিষদে নীত হয় নাই। এ কথা লইয়া বোধ করি বেশী বিচারের প্রয়োজন নাই। আমরা দেখিব, উপনিষদ হইতে অনেক শ্লোক গীতায় আনীত হইয়াছে। অন্ততঃ প্রাচীন ভাষ্যকারদিগের এই মত। শঙ্করাচায্য লিখিয়াছেন—“শোকমোহাদিসংসারকারণ নিবত্তীৰ্থং গীতাশাস্ত্ৰং ন প্ৰবৰ্ত্তক - মিত্যেতাৎ পার্থস্য সাক্ষীভূতে ঋচাবানিনায়।” এবং আনন্দগিলি লিখিযাছেন— হ গু! চেলমন্যতে হন্তুং ইত্যাদ্যামচমৰ্থতো দশয়িত্বা ব্যাচলেট য এনমিতি।” এক্ষণে এই শ্লোক সম্পবন্ধে দাইটি কথা বলিতে বাধা হইতেছি। প্রথম, আত্মা যদি কত্তা নহে, তবে কৰ্ম্মম যোগ জলে ভাসাইয়া দিতে হয়। শওকরাচায্যের যে তাহাই উদ্দেশ্য, ইহা বলা বাহল্য। কৰ্ম্মযোগের কথা যখন পড়িবে, পাঠক তখন এ বিষযের বিচার করিতে পরিবেন। দ্বিতীয়, আত্মার অবিক্রিয়ত্ব একটা দাশনিক মত। প্রাচীন কালে সকল দেশে, দশন ধর্মের স্থান অধিকার করে এবং ধৰ্ম্মম দশনের অনগামী হয় । ইহা উভয়েরই অনিষ্টকারী। ধৰ্ম্মম ও দশন পরস্পর হইতে বিযক্তি হইলেই উভয়ের উন্নতি হয়, নচেৎ হয় না। এই তত্ত্বটি সপ্রমাণ করিয়া কোমাৎ ও তৎশিষ্যগণ দশন ও ধৰ্ম্মম উভয়েরই উপকার করিয়াছেন। আমাদিগেরও সেই মাগাবলম্বী হওয়া উচিত। দাশনিক মত যাহাই হউক, হিন্দধমের সাধারণ মত—আত্মাই কত্তা। ইহা প্রমণ করিবার জন্য শত পঠা ধরিয়া বচন উদ্ধত করিতে পারা যায়। আমরা কেবল দাইটি কথা তুলিব ! একটি উপনিষদ হইতে, আর একটি পরাণ হইতে । আত্মা বা ইন্দমোক এবাগ্র আসীৎ । नाना ३ कि‘9न् शिव९ । স ঈক্ষত লোক ন ন সজা ইতি ॥১ স ইমাল্লোঁকানসজাত আম্ভো মরীচীহ্মমরিমিত্যাদি। ঋগোিবন্দীযৈত বেমোপনিষৎ । আত্মাই সব সন্টি করিয়াছেন, সতরাং আত্মাই কত্ত । দ্বিতীয় উদাহরণ পরাণ হইতে গ্রহণ করিতেছি। উহ। কঠোপনিষদের শ্লোকের সঙ্গে তুলনা করিয়া পাঠক দেখিবেন, হিন্দশাস্ত্রের মধ্যে ঐক্যের সন্ধান করা কি যন্ত্রণা কঃ কেন হন্যতে জন্তুজন্তুঃ কঃ কেন রক্ষাতে । হান্তি রক্ষা-তি। চৈবাত্মা হ্যসং সাধ, সমাচরন৷ বিষ্ণুপরিাণ ৷৷ ১ ৷৷ ১৮ । ২৯ বেদাবিনাশিনং নিত্যং য এনমজমব্যয়ম। কথং স পরিষঃ পাৰ্থ কং ঘাতয়তি হস্তি কম ৷ ২১ ৷৷ যে ইহাকে অবিনাশী, নিত্য, অজ এবং অব্যয় বলিয়া জানে, হে পাৰ্থ, সে পরিষ কাহাকে মারে : কাহাকেই বা হনন করায় ? ॥২১ ৷৷ ভাবাথ---যে জানে যে, দেহ নাশ হইলেই শরীরীর বিনাশ হইল না, সে যদি কাহারও দেহধবংসের কারণ হয়, তবে তাহার উচিত নহে যে, সে “আমি ইহার বিনাশের কারণ হইলাম” বলিয়া দঃখিত হয়। কেন না, আত্মা অবিনাশী। শরীরের বিনাশে তাহার বিনাশ হইল না। তবে যদি বল যে, “ভাল, আত্মার বিনাশ না হউক, কিন্তু শরীরের 'ত বিনাশ আছেই। শরীরনাশেরই বা আমি কেন কারণ হই ?” তাহার উত্তর পরশ্লোকে কথিত হইতেছে - বাসাংসি জীর্ণানি যথা বিহায় নবানি গহাতি নরোহ পরাণি। তথা শরীরাণি বিহায় জীণান্যান্যানি সংযাতি নবানি দেহী ৷৷ ২২ ৷৷ e Sy