পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীমন্তগৰগীত আর কোনও অর্থ শঙ্করাচায্যের অভিপ্রেত হইতে পারে কি না এখন দেখা যাউক। আর কোন অভিপ্রায়ই খাজিয়া পাওয়া যায় না—তবে শতপথব্রাহ্মণ হইতে যাহা উদ্ধত করিয়াছি, তাহাতে যা হউক, একটা কিছল পাওয়া যায়। সে কথার তাৎপৰ্য্য এই যে, ইন্দ্র এবং অন্যান্য দেবগণ কুরক্ষেত্রে যজ্ঞ করেন। সেই দেবগণের মধ্যে বিষ্ণ, এক জন। সেই যজ্ঞে ইনি অন্য দেবতাদিগের উপর প্রাধান্য লাভ করেন এবং তজজন্য যজ্ঞ বলিয়া পরিচিত হইয়াছেন। অতএব এই বিষ্ণই ঈশ্বর নহেন। আর পাঁচটা দেবতার মধ্যে এক জন মাত্ৰ-আদৌ। আর পাঁচটা দেবতার সঙ্গে সমান। শঙ্করাচাৰ্যকৃত ব্যাখ্যা এই যে, “যজ্ঞো বৈ বিষ্ণরিতি শ্ৰত্যেযজ্ঞ ঈশ্বরঃ।” এখন যাঁহারা বলিলেন যে “যজ্ঞো বৈ বিষ্ণঃ” ইহা স্বীকার করিলে, যজ্ঞ ঈশ্বর, ইহা যে বেদে কথিত হইয়াছে, এমন কথা কোনও মতেই স্বীকার করা যায় না। শঙ্করাচায্যের ন্যায় পন্ডিত দাই সহস্ৰ বৎসরের মধ্যে ভারতবর্ষে কেহ জলময়াছেন কি না। সন্দেহ। এক্ষণে ভারতবর্ষে কেহই নাই যে, তাঁহার পাদকো বহন করিবার যোগ্য। তবে দেশ কাল পাত্র বিবেচনা করি যা আমাদের সমরণ করিতে হইবে যে, গীতা যে আদ্যন্ত সমস্ত শ্ৰীকৃষ্ণের মািখপদ্ম-বিনিগত, ইহা তিনি বিশ্বাস করিতেন বা করিতে বাধ্য। কাজেই এখানে অপরের উক্তি কিছ আছে বা জোড়াতাড়া আছে, এমন কথা তিনি মখেও আনিতে পারেন না। পক্ষান্তরে যদি যজ্ঞের প্রচলিত অর্থ গ্রহণ করেন, তাহা হইলে বৈদিক ক্রিয়াকলাপের অর্থাৎ সকাম কমের উৎসাহ দেওয়া হয়। তাহাতে অর্থ বিরোধ উপস্থিত হয়। কেন না, এ পৰ্যন্ত শ্ৰীকৃষ্ণ সকাম কৰ্ম্মম অপ্রশংসিত ও নিস্কাম কৰ্ম্মম অন্যজ্ঞাত করিযা আসিতেছেন। এই জন্য এখানে যজ্ঞাথে ঈশ্বর বলিবাব বিশেষ প্রয়োজন ছিল। তাহা বলিয়াও পববত্তীর্ণ কয়টি শ্লোকের কোন উপাধি হয নাই। সে সকলে যজ্ঞাৰ্থ কাম্য কমই বাবাইতে হইযাছে। গীতায় এইবােপ কাম্য কমের বিধি থাকার কারণ ষোড়শ শ্লোকের ভাষে শঙ্করাচায্য বলিষাছেন যে, প্রথমে আত্মজ্ঞাননিম্ঠাযোগ্যতা প্ৰাপ্তির জন্য অনাত্মজ্ঞ ব্যক্তি কম যোগানন্ঠন করবে। ইহার জন্য “ন কম্পমণিামনারম্ভিাৎ” ইত্যাদি ব্যক্তি পফেব। কথিত হইয়াছে; কিন্তু অনাত্মজ্ঞানের কৰ্ম্ম না করার অনেক দোষ আছে। ইহাই কথিত হইতেছে। শ্ৰীধব স্বামী শঙ্করাচায্যের অন্যবিত্তীর্ণ। তিনি নবম শ্লোকের ব্যাখ্যায যজ্ঞাথে ঈশ্বরই বঝিয়াছেন। তিনি বলেন যে, সামান্যতঃ আকৰ্ম্মম (কম্পমশিন্যতা) হইতে কাম্য কৰ্ম্মম শ্রেষ্ঠ, এই জন্য পরবত্তী শ্লোক কয়টি কথিত হইয়াছে। সেই পরবত্তী শ্লোক কি, তাহা পাঠক নিম্পেন্ন জানিতে পারবেন। তাহার ব্যাখ্যায় প্রবত্ত হইবাব পাৰ্ব্বে যদি আমরা কেহ শঙ্করাচায্যকৃত নবম শ্লোকের যজ্ঞ শব্দের ব্যাখ্যা গ্রহণ করিতে ইচ্ছক না হই, তবে তাহার আর একটা সদর্থের সন্ধান করা আমাদের কত্তব্য। যজ্ঞ শবেদব্য মৌলিক অর্থই এখানে গ্রহণ করিলে ক্ষতি কি ? যজ ধাতু দেবপজাৰ্থে। তএব যজ্ঞেব মৌলিক অৰ্থ দেবোপাসনা। যেখানে বহ, দেবতার উপাসনা সম্বীকৃত, সেখানে সকল দেবতার পজা যজ্ঞ। কিন্তু যেখানে এক ঈশ্বরই সব্বদেবময় যথা – “যেহপ্যন্যদেবতাভক্তা যজন্তে শ্রদ্ধয়ান্বতাঃ । তেহপি মামেব কৌন্তেম যজন্ত্যবিধিপব্বকম৷” ২৩ ৷৷ গীতা, ৯ অ । সেখানে যজ্ঞার্থে ঈশ্বর।ারাধনা। ভগবান তাহাই স্বয়ং বলিতেছেন “অহং হি সব্ব যজ্ঞানাং ভোক্তা চ প্রভুরবা চা।” ২৪ ৷৷ গীত , ৯ অ । যজ ধাতু এবং যজ্ঞ শব্দ এহরােপ ঈশ্বরারাধনাথে পািনঃ পািনঃ ব্যবহৃত হইয়াছে। উপরিধত শ্লোকে তিনটি উদাহরণ আছে । আরও অনেক দেওয়া যাইতে পারে DDDD DDD BDBD DBD DBDDBDBB BBD S १ौडा २१, so छ । “যজ্ঞানাং জপষজ্ঞোহসিন্ম স্থাবরাণাং হিমালযঃ ।” pivot. S6. So a C 66