পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীমন্তগবদগীতা আপনার জন্ম পরে, সৰ্য্যের জন্ম পড়বে আপনি যে ইহা পাবে বলিয়াছিলেন, তাহা কি প্রকারে বঝিতে পারিব ? ৪। (টীকা অনাবশ্যক । ) শ্ৰীভগবানবাচ। বহনি মে ব্যতীতানি জন্মানি তব চান্তজািন। তান্যহং বেদ সৰবাণি ন ত্বং বেথ পরস্তাপ ৷৷ ৫ ৷৷ আমার বহর জন্ম অতীত হইয়াছে, তোমারও হইযাছে। আমি সেগালি সকলেই অবগত আছি। হে পর্যন্তপ! তুমি জান না। ৫ । M সহসা অবতারবাদের কথা উত্থাপিত হইল। কৰ্ম্ম ও জ্ঞানের সম্বন্ধ বঝিবার জন্য উহার প্রয়োজন আছে। আপাততঃ এই শ্লোকগালির ভাবে বোধ হয, যেন অন্তর্জন অবতাবতত্ত্ব অবগত ছিলেন না। এ সম্পবন্ধে কযেকটা কথা সমরণ রাখা কত্তািব্য। প্রথমতঃ, মহাভারতের অনেক স্থলে শ্ৰীকৃষ্ণ, বিষ্ণ, ঈশ্ববের কথা বলা হইখছে, ইহা সত্য বটে। কিন্তু কৃষ্ণচরিত্র নামক মৎপ্রণীত গ্রন্থে বঝাইবার চেন্টা করিযাছি যে, মহাভারতের সকল অংশ এক সমযেৰ নহে; এবং যে সকল অংশে কৃষ্ণের অবতাবিত্ব আরোপিত হইয়াছে, তাহা অপেক্ষাকৃত আধনিক । দ্বিতীয়তঃ, মঙ্গাণ্ডাবতে দশ অবতারের কথা মাত্র •iাই এক ষষ্ঠ অবতাব পরাশীরাম অস্টম অবতার শ্ৰীকৃষ্ণে ! সঙ্গে একত্র বিদামান । তৃ৩ীয়তঃ, দশ অবতারের কথা অপেক্ষাকৃত আধনিক পৰাণগলিতে আছে, কিন্তু পরাণে তা বাণ ৬ি; প্রকারও আছে । ভাগবতে আছে, অবতাপ বাইশটি , আবার এ কথাও আছে যে, অবতার অসংখ্যেয। শ্ৰীকৃষ্ণও এখানে আটাট, B ut g BBBBB BB BBDBDBDBD BBSS BBDS BBBB BB BBB BBBBDBDDSS DBDB * অসংখ্যক এবং এই বিহ" শব্দ একােৰ্থবাচক সন্দেহ নাই । ৩. জোহপি সন্নব্যয়াত্মা ভূতানামাশ্বরোহপি সন । gh প্রকৃতিং সবামধিষ্ঠায় সম্ভব।াম্যাত্মিমাযায়া৷৷ ৬ ৷৷ আমি, আজ , আমি অব্যয়াত্মা ; সর্বভূতেল ঈশ্বল, তাহা হইয়াও আপন প্রকৃতি বশীকৃত, কবি যা আপন মাযায় জন্মগ্রহণ করি। ৬ ৷৷ অজা- জন্মেরহিত। অবাকাতুয়া— যাহাব জ্ঞানশক্তিব ক্ষয় নাই (শাওক বা ) । ঈশ্ববি-কলম পারতন্ত্র্য-রীহিত (শ্ৰীধর) । প্রকৃত ৩– ত্ৰিগণোত্মিক মা।, সা-প জগৎ যাহার বশ|ভূত । এতদ্ব্যতীত মলে যে ‘ অধিষ্ঠায়” শব্দ আছে, শঙ্কারাচায্য তাহার অর্থ “বশীকৃত্য” লিখিয়াrছন, কিন্তু শ্ৰীধর স্বামী স্বীকৃত্য" লিখিসছেন। শঙ্করকৃত ব্যাখ্যা অধিক তথ্য স ১৮৩, বলিষা গ্রহণ কিবা গিয়াছে। স্থল কথা এই যে ভগবানের কথায় এই আপত্তি হইতে পারে, যিনি জন্মারহিত, তাহাব DBD DB BDD BBB0S S DBDBDBD BBDDSSYSKBB DBB KBBBS DBKBB DSBB D0S0SD BBS SLSS কম্পমাধীন, – যিনি ঈশ্বর, এ জন্য কমে য় ৩৭ নবীন, তাঁহার জন্ম কেন ? উত্তবে ভগবান, যাহা বলিয়াছেন, শঙ্কবাচার্য্য তাহার এইরূপ অৰ্থ করিযাছেন। আমার যে সর্বপ্রকৃতি, অৰ্থাৎ সত্ত্বরাজস্তম ইতি ত্ৰিগণাত্মিক বেষ্ণবী মায়া, সমস্ত জগৎ যাহার বশে আছে, যন্দ্বারা মোহিত হইয়া আমাকে বাসদেব বলিয়া জানিতে পারে না, সেই প্রকৃতিকে বশীভূত করিয়া আমি জন্মগ্রহণ করি। আপনার মায়ায়-কি না। সাধারণ লোক যেমন পশমাথ নিবন্ধন জন্মগ্রহণ করে, এ সেরাপ নহে। শ্ৰীধর স্বামী একটি ভিন্ন প্রকার অর্থ করিয়াছেন। তিনি বলেন, ভগবান বলি আমি আপনার শব্দ্ধসত্ত্বাত্মিকা প্রকৃতি স্বীকার কলিমা বিশদ্ধ উত্তজপুল স্বেচ্ছাক্রমে অবতীণ হই। নাথােগালি বড় জটিল। পাঠকের বঝিবার সাহায্যাৰ্থ দাই একটি কথা বলা উচিত। মায়া।" ঈশ্বরের একটি শক্তি। এই মায়া, হিন্দীদিগের ঈশ্বরতত্ত্বে, বিশেষতঃ উপনিষদে ও দর্শনশাস্ত্রে অতি প্রধান স্থান প্রাপ্ত হইযাছে। সাধারণতঃ বেদান্তে মায়া কিরাপে পরিচিত হইয়াছে, তাহা অনসন্ধান করিবার আমাদের প্রয়োজন নাই। এই গীতাতেই মায়া কিরাপ ‹ጳ &ኃq