পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম রচনাবলী আধনিক হিন্দয়ানিতে যাহার নাম মাত্র নাই। আবার, আধনিক হিন্দরে কাছে যে সকল দেবতার বড় আদর, তাহার মধ্যে অনেকের নামমাত্রও বেদে পাওয়া যাইবে না। তৃতীয় সক্তের দেবতাও অনেকগলি। ১-৩ ঋকের দেবতা, অশ্বিনীকুমারদ্বয়, বেদে তাঁহাদের নাম “অশ্বিনেী”। ৪-৬ ঋকের দেবতা ইন্দ্র; ৭-৯ ঋকের দেবতা “ বিশ্বদেবাঃ।” আধনিক হিন্দ, ইহাদিগের নামও অনবগত। ১০-১২ ঋকের দেবতা সরস্বতী । চতুর্থ সক্তের দেবতা ইন্দ্র। ঋগোিবদে ইন্দ্রের স্তবই অধিক।। ৪ হইতে ১১ পৰ্য্যন্ত সক্তের দেবতা ইন্দ্র। তন্মধ্যে ষািঠ সক্তে মরতেরাও আছেন। মরতেরা বায় হইতে ভিন্ন। সে প্রভেদ পরে বাবাইব । দ্বাদশের আবার অগ্নিদেবতা। ইন্দ্রের পর ঋগোিবদে অগ্নির স্তবই অধিক । হ্রয়োদশ সক্তি “আপ্রী” সক্তি। আপ্রীস্যক্তের বিনিয়োগ পশযজ্ঞে। ঋগোিবদে মোট দশটি আপ্ৰীসক্ত আছে। এই আপ্ৰীসক্তের দেবতাও অগ্নি কিন্তু সক্তের ১২টি ঋকে অগ্নির দ্বাদশ মাত্তির স্তব করা হইয়াছে। চতুদশ সক্তের অনেক দেবতা, যথা—বিশ্বদেবাঃ, ইন্দ্র, বায়, অগ্নি, মিত্র, বহিস্পতি, পাষা, ऊका, उानिऊा ७ भइन्काम । পঞ্চদশে ইন্দ্রাদি অনেক দেবতা। সায়নাচায্য বলেন, ঋতুরাই ইহার দেবতা। ষোড়শো একা ইন্দ্র দেবতা। সপ্তদশে ইন্দ্র, বরণ। অল্টাদশের এক দেবতা ব্ৰহ্মণস্পতি। তিনি কে ? সে বড় গোলযোগের কথা। আবও ইন্দ্র ও সোম আছেন, তদ্ভিন্ন দক্ষিণা ও সদসসাপতি বা নারাশংস বলিয়া এক দেবতা আছেন। উনবিংশ সক্তের দেবতা অগ্নি, মরৎ। এক অধ্যায়ের দেবতার তালিকা দিয়াই আমরা ক্ষান্ত হইলাম। বৈদিক দেবতা কাহারা, তাহা পাঠককে দেখাইবার জন্য তাঁহাকে এতটা দঃখ দিলাম। এই এক অধ্যায়ে যে সব দেবতার নাম আছে, অবশ্য এমত নহে। কিন্তু পাঠক দেখিলেন যে, এই এক অধ্যায়ের মধ্যে, যে সকল দেবতা এখনকার পাজার ভাগ খাইতে অগ্রসর তাঁহারা কেহ নাই। ব্ৰহ্মা, বিষ্ণ, মহেশ্বর, দােগা, কালী, লক্ষী, কাত্তিক, গণেশ, ইহারা কেহই নাই। আমরা ঋগ্রেবদের অন্যত্র বিষ্ণকে খাব মতে পাইব; আর শিবকে না পাই, রািদকে পাইব । ব্ৰহ্মাকে না পাই, প্রজাপতিকে পাইব। লক্ষয়ীকে না পাই, শ্ৰীকে পাইব। কিন্তু আর ঠাকুর ঠাকুরাণীগলির বৈদিকত্বের ও মৌলিকত্বের ভারী গোলযোগ। বাঙ্গালার চাউল কলার উপর তাঁহাদের আর যে দাবি দাওয়া থাকে থাকুক, বেদ-কত্তা ঋষিদিগের কাছে তাঁহারা সনন্দ পান নাই, ইহা নিশ্চিত। এখন দেবত্ৰ বাজেয়াপ্ত করা যাইবে কি ? বাজেয়াপ্ত করলে, অনেক বেচারা দেবতা মারা যায়। হিন্দর মখে ত শনি, হিন্দর দেবতা তেত্ৰিশ কোটি। কিন্তু দেখি, বেদে আছে, দেবতা মোটে তেত্রিশটি। ঋগ্ৰেবেদ-সংহিতার প্রথম মন্ডলের, ৩৪ সত্তের, ১১ ঋকে অশ্বনী দিগকে বলিতেছেন, “তিনি একাদশ (১১×৩=৩৩) দেবতা লইয়া আসিয়া মধ্যপান কর।” ১ ॥৪৫ ॥২ ঋকে অগ্নিকে বলা হইতেছে, “তেত্রিশটিকে DBB BDBBBSS BBB SSSSaBeLSSSLSSL DLCLLSSSSSSL SDD CLS g JSL DL SJLL S S DD CLSJL 0L ও ৯ ।। ৯২ ৷৷ ৪ ঋকে ঐরােপ আছে। কেবল ঋগ্ৰেবেদে নয়, শতপথব্রাহ্মণে, মহাভারতে, রামায়ণে ও ঐতরেয়া ব্ৰাহ্মণেও তেত্রিশটিমাত্র দেবতার কথা আছে। এখন তেত্রিশ হইতে তেত্ৰিশ কোটি হইল কোথা হইতে ? ইহার উত্তর, বিদ্যাসন্দরের ভাটের কথায় দেওয়াই উচিত “এক মে হাজার লাখ মেয় কহা বনায়কে ৷” ঋগোিবদের ৩ ৷৷ ৯ ৷৷ ৯ ঋকে আছে, “ত্ৰীণি শতা। ব্রীসহস্রাণি অগ্নিানং ত্রিংশচ দেবা। নব চ। অসপৰ্যন।” তিন শত, তিন সহস্ৰ, ত্ৰিশ, নয় দেবতা। তেত্ৰিশ কোটি হইতে আর কতক্ষণ লাগে ক্ষ তার পর জিজ্ঞাস্য এই তেত্রিশটি দেবতা কে কে ? ঋগ্বেদে সে কথা নাই, থাকিবার কথাও

  • তব ঋষি ঠাকুর তিন ছাড়েন নাই।

একাদশ গণে তেত্রিশ, সেই তিনকে শত গণ, সহস্র গণ, দশ গণি ও তিন গণ করিয়াছেন। লোকে কোটি গণ করিয়াছে। এই চরমে পৌছিতে পারবেন। সে কথা পরে হইবে «ላ{ጶ8