পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ठनबङङ् ७ হিন্দী ধৰ্ম্ম-ইন্দ্র বাঝা যায় যে, ইন্দ্ৰও বঝি একটা শরীরী চৈতন্য না হইবেন-প্রকৃতিতে ঐশী শক্তির বিকাশ মাত্র হইবেন। আমরা প্রথম প্রবন্ধে দেখাইয়াছি, ইন্দ্রের নামেই সে কথা পািণ্ট বঝো যায়। নামটা অদিতি ও কশ্যপ তাঁহার অন্নপ্রাশনের সময় রাখেন নাই, আমরাই রাখিয়াছি। আমরা যাঁহাকে ইন্দ্ৰ বলি, তাঁহার গণ দেখিয়াই ইন্দ্ৰ নাম রাখিযাছি। ইন্দ ধাতু বর্ষণে। তদাত্তর “র” প্রত্যয করিয়া “ইন্দ্র” শব্দ হয়। অতএব, যিনি বান্টি করেন, তিনিই ইন্দ্র। আকাশ বন্টি করে, অতএব ইন্দ্র আকাশ। আমরা অন্য প্রবন্ধে বলিয়াছি, অদিতিও আকাশ-দেবতা। আকাশকে দই বার পথিক পথিক ভিন্ন ভিন দেবতা কলপনা করা কিছই অসম্ভব নহে। বরং আরও আকাশ-দেবতা আছে-থাকাও সম্ভব। যখন আকাশকে অনন্ত বলিয়া ভাবি, তখন আকাশ অদিতি ; যখন আকাশকে বন্টিকারক বলিযা ভাবি, তখন আকাশ ইন্দ্র; যখন আকাশকে আলোকময। ভাবি, তখন দ্যেীঃ । এমনই আকাশেব আর আর মাত্তি আছে। সােয্য অগ্নি বায় প্রভৃতির ভিন্ন ভিন্ন শক্তির আলোচনাষ ভিন্ন ভিন্ন বৈদিক দেবের উৎপত্তি হইযাছে, ক্ৰমে দেখাইব । আমরা যদি এই কথা মনে রাখি যে, বন্টিকারী আকাশই ইন্দ্র, তাহা হইলে ইন্দ্ৰ সম্পবন্ধে যত গণ, যত উপন্যাস, বেদ, পরাণ ও ইতিহাসে কথিত হইয়াছে, তাহা বঝিতে পারি। এখন বঝিতে পারি, ইন্দ্ৰই কেন বজাধর, আর কেহ কেন নহে। যিনি বমিট করেন, তিনিই বজ্রপাত করেন । ঋগ্ৰেীবদের সক্তিগলির সবিশেষ পৰ্য্যালোচনা করিলে বঝিতে পারিব যে, কতকগালি সক্তি অপেক্ষাকৃত প্রাচীন, কতকগালি অপেক্ষাকৃত আধনিক। ইহাতে কিছই অসম্ভব নাই, কেন না। সংহিতা সঙ্কলিত গ্রন্থ মাত্র। নানা সমযে, নানা ঋষি কর্তৃক প্রণীত, না হয় দটি মন্ত্রগলির সংগ্ৰহ মাত্র। অতএব তাহার মধ্যে কোনটি পাকবািবত্তীর্ণ, কোনটি পরবত্তীর্ণ অবশ্য হইবে। যে সক্তিগলি আধনিক, তাহাতে ইন্দ্র শরীরী, চৈতন্যযক্ত দেবতা হইয়া পড়িয়াছেন বটে, তখন ইন্দ্রের উৎপত্তি ঋষিরা ভুলিযা গিয়াছেন। কিন্তু প্রাচীন সক্তিগলিতে দেখা যায় যে, ইন্দ্ৰ যে আকাশ, এ কথা ঋষিদের মনে আছে। কতকগলি উদাহরণ দিতেছি। “আবদ্ধ নিয়ন্দ্রমরতশিচন্দন্ত্ৰ মাতা যদ্বীরং দধনদ্ধনিম্ঠা” ১o । ৭৩ ৷৷ ১ অর্থাৎ যখন তাঁহার ধনাঢ্যা মাতা তাঁহাকে প্রসব করিলেন, তখন মরতেরা তাঁহাকে বাড়াইলেন। এস্থলে ঝড়ের সঙ্গে বান্টির সম্প্ৰবন্ধ সচিত হইতেছে । “ইন্দ্রস্য শীষং ক্রেতযো নিরেকে” ১o । ১১২ ৷৷ ৩ এখানে সয্যালোকে আকাশ আলোকিত হইবার কথা সচিত হইতেছে , এবং ইন্দ্রকে “হারিশিপ্র”। “হারিকেশ” “হাবিশমশ্র" “হবিবপা”, “হিরণ্যয” “হিরণ্যবাহ” ইত্যাদি বিশেষণের দ্বারা আকাশে সয্যালোকজনিত কাঞ্চনবণ সচিত হইতেছে। বর্ষণকালীন মেঘ সকল বায়র উপর আরোহণ করিয়া চলে, এজন্য। কথিত হইয়াছে যে, ইন্দ্র বাতাসের ঘোড়ার উপর চলেন “যজানো অশ্বা বাতস্য ধনী দেবো দেবস্য বাজিবঃ” ১o । ২২ ৷৷ ৪ ৷৷ ৬ ৷ ইন্দ্রের বজের সম্পবন্ধে কথিত হইয়াছে “সমন্দ্রে অন্তঃ শয়তে উদশনা বজো অভীবতঃ” ৮ ৷৷ ৭৯ ৷৷ ৯ ৷ বঞ্জ অন্তঃসমাদে জলকর্তৃক আব্বত হইয়া শইয়া থাকে। এখানে অন্তঃসমদ্র অর্থে অন্তরীক্ষ, আর জল অর্থে অন্তরীক্ষের বায়বীয় পদার্থ। অথব্ব বেদে ইন্দ্রের জাল আছে। “অন্তরীক্ষম জােলমাসীতজালদশড়া দিশোমহীঃ ।” অথব্ব বেদ ৮।। ৫। অর্থাৎ অন্তরীক্ষাটা ইন্দ্রের জাল আর পথিবীর দিক সকল জালের দপড বা বাঁশ-এ জাল আকাশেরই। এরপ উদাহরণ খাজিলে অনেক পাওয়া যায়। পাঠকের রচি হয়, আমরা আরও যোগাইতে পারিব। এক্ষণে ইন্দ্র সম্পবন্ধে যে সকল উপন্যাস আছে, তাহার দই একটা বঝাইবার চেন্টা করা যাউক। এ সকল উপন্যাস অধিকাংশ অসরবধ সম্পবন্ধে। আধনিক বৈয়াকরণেরা অসাের শব্দের এই ব্যাখ্যা করেন যে, “অস্যাতি ক্ষিপতি দেবান উর বিরোধে ইতি অসােরঃ।”

  • মাও আকাশ, ছেলেও আকাশ, ইহাও বিস্ময়কর নহে। প্রথম যখন আকাশ “অদিতি” এবং আকাশ “ইন্দ্ৰ” বলিয়া কল্পিত হয়, তখন ইহাদিগের মাতা পত্র সম্প্ৰবন্ধ কলিপিত হয় নাই। ঋগ্বেদে তিনি অদিতির পত্রদিগের মধ্যে গণিত হন নাই; কেবল এক স্থানে মাত্র ঋগ্বেদে আদিত্য বলিয়া অভিহিত হইয়াছেন। সে সত্তেটিও বোধ হয়। আধনিক।

AbPS