পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম রচনাবলী আজিও বিরাজ করিতেছেন। সেখানে নাম Perkunas, সেখানেও তিনি বজ্ৰবাল্টির দেবতা। যদি এ কথা সত্য হয়, তবে যে আদিম আযজাতি, ইউরোপীয় ও ভারতবষীয় আধানিক আৰ্যজাতিদিগের পকেবীপরাষ, পঙ্কজান্য তাঁহাদিগের দেবতা। ইন্দ্রের নাম ভারতবর্ষ ভিন্ন আর কোথাও নাই। ইনি কেবল ভারতবষীয় দেবতা। আয্যেরা ভারতবর্ষে আসিলে তবে ইহার সন্টি হইয়াছিল। ইন্দ্ৰ পঙ্কজন্যের অনেক পরবত্তী । এক্ষণে সৰ্য্যেদেবতাদিগের কথা বলি। সন্যদেবতাগলি সংখ্যায় অনেক। যথা, সৰ্য্যে, সবিতা, পাষা, মিত্র, অৰ্য্যমা, ভগ, বিষ্ণু। সায্যের সবিশেষ পরিচয় দিতে হইবে না। সৰ্য্যেকে প্রত্যহ দেখিতে পাই-তিনি কে তা জানি। অন্য সৌর দেবতাদিগের পরিচয় দিতেছি। যজন্ধেবদের মাধ্যান্দিনী-শাখা চতুস্ত্ৰিংশ অধ্যায়ে ব্ৰহ্মযজ্ঞপিাঠে কতকগলি দেবতার স্কৃতি আছে। তন্মধ্যে রাত্রি, উষা ও প্রতিস্তৃতির পর পারস্পয্যের সহিত কতকগলি সৌর দেবতার স্তৃতি আছে। প্রথমে ভগাঙ্কুতি। তারপর পাষার স্তৃতি। তার পর অযামার স্তৃতি। তার পর বিষ্ণুর স্কৃতি। পশিডতবর সত্যব্রত সামশ্রমী যিজকেবাদের মাধ্যান্দিনী শাখা ব্ৰহ্মযজ্ঞপ্রকরণের অনাবাদের টীকায় ঐ মাত্তি চারিটির সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা করিয়াছেন, তাহা উদ্ধত করিতেছি। “উষোদয়ের পরেই প্ৰাতঃকাল-ইহাকেই অরণোদয়কাল কহে। প্ৰাতঃকালের পরেই ভগোদায়কাল --অর্থাৎ অরণোদয়ের পরেই যখন সয্যের প্রকাশ অপেক্ষাকৃত তীব্র হইয়া উঠে, ভগ সেই কালের সােয্য।” “যে পৰ্যন্ত সায্যের তেজ অত্যুগ্র না হয়, তাবৎ তােদশ স্বল্পতেজা সােয্যকে পাষা কহে, অর্থাৎ পাষা ভগোদয়ের পরকালবত্তীর্ণ সৰ্য্যে।” তার পর অয্যমা, অষ্যমা অক একই। সামশ্রমী মহাশয় লিখিতেছেন - “পষোদয়ের পরেই আকৌ দিয়কাল-ইহার পরেই মধ্যাহ্ন। এই কালের সৰ্য্যেকেই অকৰ্ণ বা অষমা কহে। এই অযামার অস্তেই পাকবাহু শেষ হয়।” “মধ্যাহ্ন। কালের সােয্যকে বিষ্ণু কহে।” ঋগ্বেদে পষোকে অনেক স্থলেই “পশপা”। “পলিটন্তর” ইত্যাদি শব্দে অভিহিত করা হইয়াছে। যে ভাবে এই কথাগালি পািনঃ পািনঃ বলা হইয়াছে, তাহতে এমন বোধ হয় যে, যে মাত্তিতে সােয্য কৃষিধনের রক্ষাকত্তা, পশদিগের পাতা, পাষা সায্যের সেই মৰ্ত্তি। কিন্তু এই পশী কে, সে বিষয়ে অনেক সন্দেহ আছে। অনেক স্থানে পষো পথিকদিগের দেবতা বলিয়া আখ্যাত হইয়াছে। যাহাঁই হউক, পাষা সম্পবন্ধে অধিক বলিবার প্রয়োজন নাই, কেন না, তিনি এক্ষণে আর হিন্দধমের প্রচলিত 'দেবতা নহেন। এক্ষণে মিত্রের কথা বলি। মিত্র সােয্য, কিন্তু মিত্র বরণের ভাই। বেদে যেখানে মিত্রের ঘূতি, সেইখানে বরণের ঘূতি-মিত্রাবরণেী বেদের দাইটি প্রধান দেবতা। আদিত্য শব্দ এই দাই দেবতা সম্পবন্ধে যেমন পািনঃ পািনঃ ব্যবহৃত হইয়াছে, এমন আর কোন দেবতা সম্পবন্ধেই নহে। আমরা বলিয়াছি যে, বরণ আকাশ, তবে মিত্ৰ সৰ্য্যে হইল কোথা হইতে ? তৈত্তিরীয় সংহিতায় আছে, “ন বৈ ইদং দিবা ন নক্তমাসীদব্যাকৃতং তে দেবা মিত্রাবরণেী অৱবন ইদং নো DDDBBDBDD BBB BBBBBD DBDB HS DBBBDL DD DD DS BDBD DD DSTeBB অব্যাকৃত ছিল, তখন দেবতারা মিত্র বরণকে বলিলেন-তোমরা ইহাকে বিভাগ কর। মিত্ৰ দিবা। করিলেন, বরণ রাত্রি করিলেন। ১। ৭ । ১o । ১। সায়নাচাৰ্য্য বলিয়াছেন, “অস্তং গচ্ছন সােয্য এব বরণ ইতি উচ্যতে-স হি বেগমনেন রাত্রিং জনয়তি।” “অস্তগামী সৰ্য্যেকে বরণ বলে, তিনি আপনার গমনের দ্বারা রাত্রির সন্টি করেন।” শতপথব্রাহ্মণে আছে, “অয়ং হি লোকো মিত্রঃ। অসৌ বরণঃ।” অর্থাৎ ইহলোক মিত্র, পরলোক বরণ। বোধ হয়, ইহাতে পাঠক বঝিয়াছেন ষে, বরণ সৰ্ব্বব্যাবরণকারী অন্ধকার-তিনি সব্বত্রই আছেন, যেখানে কেহ গিয়া আলো করে, সেইখানে আলো হয়, নহলে অন্ধকার, নহিলে বরণ। আলো করেন মিত্র। সৌভাগ্যক্রমে এই বরণ আর এই মিত্র অন্য আৰ্যজাতি মধ্যেও পজিত। বরণ যে গ্রীকদিগের Uranos তাহা বলিয়াছি। আবার তিনি প্রাচীন পারস্যজাতিদিগের দেবতা, এমনও কেহ কেহ বলেন। প্রাচীন পারস্যদিগের প্রধান দেবতা অহরমজদ। ভায়াবিদেরা জানেন যে, পারস্যেরা সংস্কৃত সি স্থানে হ উচ্চারণ করে ৮-যথা, সিন্ধ স্থানে হিন্দ, সপ্ত স্থানে হস্তু। তেমনি অসাের স্থানে অহর। এখন 鸣怒8