পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्रेष्धब्रान्न श८शुद्ध कविडानरक्षश्-सृभिका ঘচাইয়াছে; নীলদাপািণ, নীল দাসদিগের দাসত্ব মোচনের অনেকটা কাজ করিয়াছে। নীলদপণে, গ্রন্থকারের অভিজ্ঞতা এবং সহানভূতি পণ্য মাত্রায় যোগ দিয়াছিল বলিয়া, নীলদর্পণ। তাঁহার প্রণীত সকল নাটকের অপেক্ষা শক্তিশালী। অন্য নাটকের অন্য গণ থাকিতে পারে, কিন্তু নীলদর্পণের মত শক্তি আর কিছতেই নাই। তাঁর আর কোন নাটকই পাঠককে বা দশককে তােদশ বশীভুত করিতে পারে না। বাঙ্গালা ভাষায় এমন অনেকগলি নাটক নবেল বা অন্যবিধ কাব্য প্রণীত হইয়াছে, যাহার উদ্দেশ্য সামাজিক অনিমেটর সংশোধন। প্রায়ই সেগলি কাব্যাংশে নিকৃষ্ণাট, তাহার কারণ কাব্যের মােখ্য উদ্দেশ্য সৌন্দৰ্য্যসলিট! তাহা ছাড়িয়া, সমাজ সংস্করণকে মােখ্য উদ্দেশ্য করিলে কাজেই কবিত্ব নিস্ফল হয। কিন্তু নীলদর্পণের মােখ্য উদ্দেশ্য এবম্বিধ হইলেও কাব্যাংশে তাহা উৎকৃষ্ণাট। তাহাব কারণ এই যে, গ্রন্থকারের মোহময়ী সহানভূতি সকলই মধৰ্য্যময় করিয়া তুলিয়াছে। উপসংহারে আমার কেবল ইহাই বক্তব্য যে, আমি দীনবন্ধীর কবিত্বের দোষ-গণের সে উৎপত্তিস্থল নিন্দিািলট করিলাম, ইহা তাঁহার গ্রন্থ হইতেই যে পাইয়াছি, এমন নহে। বহি পড়িয়া SDBD DBDu S LLL SCL DBDDDBDS BDBBDDDS BBB BBDBSS EBB BB BDBD BBB BDDDBBS তাই এ কথা বলিয়াছি ও বলিতে পারিয়াছি। যাহা গ্রন্থকারের সদয়ে পাইয়াছি, গ্রন্থেও তাহা পাইযাছি বলিয়া এ কথা বলিলাম। গ্রন্থকারকে না জানিলে, তাঁহার গ্রন্থ এরপে বঝিতে পারিতাম কি না বলিতে পারি না। অন্যে, যে গ্রন্থকারের হৃদয়ের এমন নিকটে স্থান পাস নাই সে বলিতে পালিত কি না জানি না। কথাটা দীনবন্ধীর গ্রন্থের পাঠকমণ্ডলীকে বঝাইয়া বলিব, ইহা আমার বড় সাধ ছিল। দীনবন্ধর স্নেহ ও প্রীতির ঋণের যতটুকু পারি পরিশোধ করিব, এই বাসনা ছিল । তাই, এই সমালোচনা লিখিবার জন্য আমি তাঁহার পত্রদিগের নিকট উপযাচক হইয়াছিলাম। দীনবন্ধবে গ্রন্থের প্রশংসা বা নিন্দা করা আমার উদ্দেশ্য নহে। কেবল, সেই অসাধারণ মন.ষ্য কিসে অসাধারণ ছিলেন, তাহাই বাবান আমার উদ্দেশ্য। শ্ৰীবঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। ঈশ্বরচন্দ্র গপ্তের কবিতাসংগ্ৰহ-ভূমিকা জীবনচরিত ও কবিত্ব উপক্ৰমণিক। বাঙ্গালা সাহিত্যে আর যাহারই অভাব থাকুক, কবিতার অভাব নাই। উৎকৃষ্ট কবিতারও অভাব নাই-বিদ্যাপতি হইতে রবীন্দ্রনাথ পৰ্য্যন্ত অনেক সৰ্বকবি বাঙ্গালায় জন্ম গ্রহণ করিয়াছেন, অনেক উত্তম কবিতা লিখিয়াছেন, বলিতে গেলে বরং বলিতে হয় যে বাঙ্গালা সাহিত্য, কাব্য রাশি ভারে কিছ পীড়িত। তবে আবার ঈশ্বর গপ্তের কবিতা সংগ্ৰহ করিয়া সে বোঝা আরও ভারি করি কেন ? সেই কথাটা আগে বাবাই। প্রবাদ আছে যে, গরিব বাঙ্গালীর ছেলে সাহেব হইয়া, মোচার ঘটে অতিশয় বিসিন্মত হইয়াছিলেন সামগ্রীটা কি এ ? বহকন্টে পিসীমা তাঁহাকে সামগ্ৰী বৰঝাইয়া দিলে, তিনি স্থির করিলেন যে, এ “কেলা কা ফল”। রাগে সবর্ণাঙ্গ জলিয়া যায় যে, এখন আমরা সকলেই মোচা ভুলিয়া কেলা কা ফল বলিতে শিখিয়াছি। তাই আজ ঈশ্বর গপ্তের কবিতা সংগ্ৰহ কবিতে বসিয়াছি। আর যেই কেলা কা ফল বলক, ঈশ্বর গািপ্ত মোচা বলেন। একদিন বর্ষাকালে গঙ্গাতীরস্থ কোন ভবনে বসিয়াছিলাম। প্রদোষকাল-প্রস্ফটিত চন্দ্রালোকে বিশাল বিস্তীর্ণ ভাগীরথী লক্ষবীচিবিক্ষেপশালিনী- মদ, পবনহিল্লোলে তরঙ্গভঙ্গচঞ্চল চন্দ্ৰকারমালা লক্ষ তারকার মত ফাটিতেছিল ও নিবিতেছিল। যে বারান্ডায় বসিয়াছিলাম তাহার নীচে দিয়া বর্ষার তীব্রগামী বারিরাশি মদ রব করিয়া ছটিতেছিল। আকাশে নক্ষত্র, নদীবক্ষে নৌকায় আলো, তরঙ্গে চন্দ্রর শিম! কাব্যের রাজ্য উপস্থিত হইল। মনে করিলাম, কবিতা পড়িয়া মনে তৃপ্তি সাধন করি। ইংরেজি কবিতায় তাহা হইল না-ইংরেজির সঙ্গে এ ভাগীরথীর ত কিছই মিলে না। কালিদাস ভবভূতিও অনেক দারে। b○○