পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

देवदास्ट আছে, নিম্পমালা নদীতে আবিত্ত আছে, ফলে বিষ আছে, উদ্যানে সাপ আছে; মনষ্যে-হৃদয়ে কেবল আত্মােদর আছে। এখন জানিয়াছি যে, বক্ষে বক্ষে ফল ধরে না, ফলে ফলে গন্ধ নাই, মেঘে। মেঘে বান্টি নাই, বনে বনে চন্দন নাই, গজে গজে মৌক্তিক নাই। এখন বঝিতে পারিয়াছি যে, কাচও হীরকের ন্যায়। উক্তজবল, পিত্তলও সবণের ন্যায়। ভাসম্বর, পঙ্কও চন্দনের ন্যায় স্নিগ্ধ, কাংস্যও রাজতের ন্যায় মধরনাদী -কিন্তু কি বলিতেছিলাম, ভুলিয়া গেলাম। সেই গীতধৰনি! উহা ভাল লাগিয়াছিল বটে, কিন্তু আর দ্বিতীয় বার শনিতে চাহি না। উহা যেমন মনষ্যেকণ্ঠজাত সংগীত, তেমনি সংসারের এক সংগীত আছে। সংসাররসে রসিকেরাই তাহা শনিতে পায়। সেই সংগীত শনিবার জন্য আমার চিত্ত আকুল। সে সংগীত আর কি শনিব না ? শনিব, কিন্তু নানাবাদ্যধবনিসংমিলিত বহকণঠপ্রসন্ত সেই পািব্বশ্ৰাত সংসারগীত আর শনিব না। সে গায়কেরা আর নাই-সে। বয়স নাই, সে আশা নাই। কিন্তু তৎপরিবত্তে যাহা শনিতেছি, তাহা অধিকতর প্রীতিকর। অনন্যসহায় একমাত্র গীতধবনিতে কণ বিবর পরিপরিত হইতেছে। প্রীতি সংসারে সব্বব্যাপিনী-ঈশ্বরই প্রীতি। প্রীতিই আমার কণে এক্ষণকার সংসার-সংগীত। অনন্ত কাল সেই মহাসংগীত সহিত মনষ্যে-হৃদয়-তন্ত্রী বাজিতে থাকুক। মনষ্যেজাতির উপর যদি আমার প্রীতি থাকে, তবে আমি অন্য সখি চাই না। শ্ৰীকমলাকান্ত চক্রবত্তীর্ণ चिडीश नरथा-अनावा कठा আফিমের একটি বেশী মাত্রা চড়াইলে, আমার বোধ হয়, মনষ্যেসকল ফলবিশেষ-মায়াবস্তে সংসার-বক্ষে ঝলিয়া রহিয়াছে, পাকিলেই পড়িয়া যাইবে। সকলগলি পাকিতে পায় না-কতক অকালে ঝড়ে পড়িয়া যায়। কোনটি পোকায় খায়, কোনটিকে পাখীতে ঠোকরায়। কোনটি শকাইয়া ঝরিয়া পড়ে। কোনটি সাপক হইয়া, আহরিত হইলে গঙ্গাজলে ধৌত হইয়া দেবসেবায় বা ব্রাহ্মণভোজনে লাগে-তাহাদিগেরই ফলজন্ম বা মনষ্যেজন্ম সার্থক। কোনটি সাপক হইয়া, বক্ষ হইতে খসিয়া পড়িয়া মাটিতে পড়িয়া থাকে, শগালে খায়। তাহাদিগের মনষ্যজন্ম বা ফলজন্ম ব্যথা। কতকগলি তিক্ত, কট, বা কষায়-কিন্তু তাহাতে অমল্য ঔষধ প্ৰস্তৃত হয়। কতকগলি বিষময়—যে খায়, সেই মরে। আর কতকগলি মাকাল জাতীয়--কেবল দেখিতে সন্দর। কখন কখন বিমাইতে ঝিমাইতে দেখিতে পাই যে, পথক পথক সম্প্রদায়ের মনষ্যে পথিক জাতীয় ফল। আমাদের দেশের এক্ষণকার বড়মানিষদিগের মনষ্যজাতিমধ্যে কাঁটাল বলিয়া বোধ গরর খাদ্য। কতকগালি ই চোড়ে পাকে, কতকগলি কেবল ই চোড়ই থাকে, কখন পাকে না। পাড়িয়া দালানা রাঁধিয়া খাইয়া ফেলে। যদি পাকিল ত বড় শগালের দৌরাত্ম্য। যদি গাছ ঘেরা থাকে। ত ভালই। যদি কাঁটাল উচু ডালে ফলিয়া থাকে, ভালই; নাহিলে শগালেরা কোনমতে উদরসাৎ করবে। শগালেরা কেহ দেওয়ান, কেহ কারকুন, কেহ নাএব, কেহ গোমস্তা, কেহ মোছায়েব, কেহ কেবল আশীব্বাদক। যদি এ সকলের হাত এড়াইয়া, পাকা কাঁটাল ঘরে গেল, তবে মাছি ভন ভন করিতে আরম্ভ করিল। মাছিরা কাঁটাল চায় না, তাহারা কেবল একটি একটি রসের প্রত্যাশাপন্ন। এ মাছিটি কন্যাভারগ্রস্ত, উহাকে এক ফোঁটা রস দাও,-ওটির মাতৃদায়, একটা রস দাও। এটি একখানি পাস্তক লিখিয়াছে, একটি রস দাও,-সেটি পেটের দায়ে একখানি সবাদ-পত্ৰ করিয়াছে, উহাকেও একটি রস দাও। এ মাছিটি কাঁটালের পিসীর ভাশার-পত্রের শ্যালার শ্যালীপত্র-খাইতে পায় না, কিছ রস দাও। সে মাছিটির টেলে পৌনে চৌদ্দটি ছাত্র পড়ে, কিছ রস দাও। আবার এদিকে কাঁটাল ঘরে রাখাও ভাল না-পচিয়া দগন্ধ হইয়া উঠে। नद्वाशगठक ठूलाञ्जन कन्नान्ड्ने आव्न । এ দেশের সিবিল সাৰিবাসের সাহেবদিগকে আমি মনষ্যজাতিমধ্যে আমফল মনে করি। এ দেশে আম ছিল না, সাগরপার হইতে কোন মহাত্মা এই উপাদেয়। ফল এ দেশে আনিয়াছেন। আমি CS