পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশ্বরচন্দ্ৰ গপ্তের কবিতাসংগ্ৰহ-ভূমিকা ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় এইক্ষণে যে গারতের কায্য সম্পাদন করিতেছেন, তাহাতে কি প্রকারে লিপি দ্বারা অসমং পত্রের আনকল্যা করিতে পারেন ? তিনি ভাস্কর পত্রকে অতি প্রশংসিত রূপে নিম্পন্ন করিয়া বন্ধগণের সহিত আলাপাদি করেন, ইহাতেই তাহাকে যথেষ্ট ধন্যবাদ প্রদান করি । বিশেষতঃ সখের বিষয় এই যে, সম্পাদকের যে যথার্থ ধৰ্ম্মম , তাহা তাহাতেই আছে।” এই ১২৫৪ সালেই তাকবাগীশের সহিত ঈশ্ববচন্দ্রের বিবাদ আরম্ভ এবং গ্রুমে প্রবল হয়। ঈশ্বরচন্দ্র “পাষণ্ডডপীড়ন" এবং তকবাগীশ “রসরাজ" পত্র অবলম্বনে কবিতাযাদ্ধ আরম্ভ করেন। শেষে নিতান্ত অশ্লীলতা, গ্রানি, এবং কুৎসাপণ কবিতায় পরস্পর পরস্পরকে আক্ৰমণ করিতে থাকেন। দেশের সব্বসাধারণে সেই লড়াই দেখিবার জন্য মত্ত হইয়া উঠে। সেই লড়াইয়ে ঈশ্বরচন্দ্রেরই জয় হয়। কিন্তু দেশের রচিকে বলিহারি! সেই কবিতা-য,দ্ধ যে কি ভয়ানক ব্যাপাম, ৩াহ! এখনাক ॥৭ পাঠকের বঝিয়া উঠিবার সম্ভাবনা নাই। দৈবাধীন আমি এক সংখ্যা মাত্র বসরাজ একদিন দেখিয়াছিলাম। চারি পাঁচ ছত্রের বেশী আর পড়া গেল না। মনষ্যেভাষা যে এত কদৰ্য্য হই৩ে পারে, ইহা অনেকেই জানে না। দেশের লোকে এই কবিতা-যমুদ্ধে মন্ধি হত্যাছিলেন। বলিঃ। বা রচি! আমার সমরণ হইতেছে, দই পত্রের অশ্লীলতায় জবালাতন হইয়া, লং সাহেব অশ্লীল ৩ নিবারণ জন্য আইন প্রচারে যত্নবান ও কৃতকায্য হয়েন। সেই দিন হইতে অশ্লীল তা পাপ আব বড় বাঙ্গালা সাহিত্যে দেখা যায় না। অনেকের ধারণা যে, এই বিবাদ সত্রে উভয়ের মধ্যে বিষম শত্রতা ছিল। সেঢ়ি ভ্ৰম। তক বাগীশ গরতের পীড়ায শয্যাগত হইলে, ঈশ্বরচন্দ্র তাহাকে দেখিতে গিযা বিশেষ আত্মীয়া তা প্রকাশ করেন। ঈশ্বরচন্দ্র যে সময়ে মাতৃত্যুশয্যায় পতিত হন তর্কবাগীশও সে সময়ে রমেশয্যায। পতিত ছিলেন, সতরাং সে সময়ে তিনি ঈশ্বরচন্দ্রকে দেখিতে আসিতে পারেন নাই। ঈশ্ববচন্দ্রের মাতুত্যুর পর তর্কবাগীশ সেই রাগশয্যায় শয়ন করিযা ভাস্কলে যাহা লিখিয়াছিলেন নিম্পেন ৩াহ। سس--}Fچ}5) g?ITيم7wf “প্রশন। প্রভাকর-সম্পাদক ঈশ্বরচন্দ্ৰ গগু কোথায় ? উত্তর । সবগে ? প্র । কবে গেলেন ? উ। গত শনিবার গঙ্গাযাত্রা কবিযাছিলেন, বান্ত্রি দই প্ৰহব এক ঘণ্টাকালে গমন কবিয়াছেন । প্রা। তাঁহার গঙ্গাযাত্রা ও মহত্যুশোকের বিষয়, শনিবাসরীয় ভাস্করে প্রকাশ হয়। •াই কেন ? উ। কে লিখিবে ? গৌরীশঙকর ভট্টাচায্য শয্যাগত । ॐ ! ऊ न् ? উ। এক মাস কুড়ি দিন। তিনি ঈশ্বরচন্দ্ৰ গগুপ্ত ও গৌরীশঙ্কবা ভট্টাচার্য) এই দহটি নাম দক্ষিণ হস্তে লইয়া বক্ষঃস্থলে রাখিয়া দিয়াছেন, যদি মাতুমখ হইতে রক্ষা পান। তবে আপনার পীড়ার বিষয় ও প্রভাকর-সম্পাদকের মাতৃশোক স্বহস্তে লিখিবেন, আর যদি প্রভাকবি-সম্পাদকের অনাগমন করিতে হয, তবে উভয় সম্পাদকের জীবন বিবরণ ও মাতুশোক প্রকাশ জগতে অপ্ৰকাশ রহিল ।” তকবাগীশ মহাশয়, ঈশ্বরচন্দ্রের মাতৃত্যুর ঠিক এক পক্ষ পরেই অর্থাৎ ১২৬৫ সালের ২৪%। এ মাঘ প্রাণত্যাগ করেন । পাষণডপীডন উঠিয়া যাইলে, ১২৫৪ সালের ভাদ্র মাসে ঈশ্বরচন্দ্ৰ “সাধারঞ্জন" নামে আর একখানি সাপ্তাহিক পত্র প্রকাশ করেন। এখানিতে তাঁহার ছাত্রমন্ডলীর কবিতা ও প্রবন্ধ সকল প্রকাশ হইত। “সাধারঞ্জন”। ঈশ্বরচন্দ্রের মাতৃত্যুর পর কয়েক বর্ষ পৰ্যন্ত প্রকাশ হইয়াছিল। অলপ বয়স হইতেই ঈশ্বরচন্দ্ৰ কলিকাতা এবং মফঃস্বলের অনেকগালি সভায় নিষিক্ত হইয়াছিলেন। তত্ত্ববোধিনী সভা, টাকীর নীতিতরঙ্গিণী সভা, দক্তিজপাড়ার নীতিসভা প্রভৃতির সভ্যপদে নিযক্ত থাকিয়া মধ্যে মধ্যে বক্তৃতা, প্ৰবন্ধ এবং কবিতা পাঠ করিতেন। তাঁহার সৌভাগ্যক্রমে তিনি আজিকার দিনে বাঁচিয়া নাই; তাহা হইলে সভার জবালায় ব্যতিব্যস্ত হইতেন। রামারঙ্গিণী, শ্যামতরঙ্গিণী, নববাহিনী, ভবাদাহিনী প্রভৃতি সভার জবালায়, তিনি কলিকাতা ছাড়িতেন সন্দেহ নাই। কলিকাতা ছাড়িলেও নিম্প্রকৃতি পাইতেন এমন নহে। গ্রামে গেলে দেখিতেন, গ্রামে গ্রামরক্ষিণী সভা, হাটে হাটভঞ্জিনী, মাঠে মাঠসঞ্চারিণী, ঘাটে ঘাটসাধনী, জলে SG