পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SSVg সিকা বাহির করিয়া দিল। সবামী প্রাচীন বয়সে একটি ব্যবসায় ফাঁদিবার ইচ্ছা করিয়াছেন, কিন্তু শেষ বয়সে হাত খালি-টােকা নাহিলে ব্যবসায় হয় না-ঝানোর পজির উপর দন্টি। দই চারিটি প্রবত্তিরপা দন্ত ফটাইয়া দিলেন-বাড়া বয়সের দাঁত ভাঙ্গিয়া গেল। শেষ যদি দাঁত বসিল, নারিকেল জীণ কিরিবার সাধ্য কি ? যত দিন না। টাকা ফিরাইয়া দেন, তত দিন অজীণ রোগে রাত্রে নিদ্রা হয় না। তার পরে মালা-এটি সত্ৰীলোকের বিদ্যা-কখন আধখানা বৈ পােরা দেখিতে পাইলাম না। নারিকেলের মালা বড় কাজে লাগে না; সন্ত্রীলোকের বিদ্যাও বড় নয়। মেরি সমরবিল বিজ্ঞান লিখিয়াছেন, জেন অন্টেন বা জজ এলিয়ট উপন্যাস লিখিয়াছেন-মন্দ হয় নাই, কিন্তু দাই মালার মাপে । ছোবড়া সত্ৰীলোকের রােপ। ছোবড়া যেমন নারিকেলের বাহ্যিক অংশ, রািপও সত্ৰীলোকের বাহ্যিক অংশ। দই বড় অসারা-পরিত্যাগ করাই ভাল। তবে ছোবড়ায় একটি কাজ হয়উত্তম রক্তজ প্ৰস্তৃত হয়, তাহাতে জাহাজ বাঁধা যায়। সত্ৰীলোকের রাপের কাছিতেও অনেক জাহাজ বাঁধা গিয়াছে। তোমরা যেমন নারিকেলের কাছিতে জগন্নাথের রথ টান, সন্ত্রীলোকেরা রাপের কাছিতে কত ভারি ভারি মনোরথ টানে। যখন রথ-টানা বারণের আইন হইবে,-তখন তাহাতে এ রথ-টানা নিষেধের জন্য যেন একটা ধারা থাকে-তােহা হইলে অনেক নরহত্যা নিবারণ হইবে। আমি জানি না, নারিকেলের রডজ গলায় বধিয়া কেহ কখন প্রাণত্যাগ করিয়াছে কি না, কিন্তু রমণীর রােপরজ গলায় বাঁধিয়া কত লোক প্রাণত্যাগ করিয়াছে, কে তাহার গণনা করিবে ? বক্ষের নারিকেল এবং সংসারের নারিকেলের সঙ্গে আমার বিবাদ এই যে, আমি হতভাগা, দইয়ের এককেও আহরণ করিতে পারিলাম না। অন্য ফল আকষী দিয়া পাড়া যায়, কিন্তু নারিকেল গাছে না। উঠিলে পাড়া যায় না। গাছে উঠিতে গেলেও হয় নিজের পায়ে দাঁড়ি বধিতে হইবে, না হয় ডোমের খোেশামোদ করিতে হইবে * ডোমের খোেশামোদ করিতেও রাজি আছি। কিন্তু আমার ভাগ্যদোষে কপালে নারিকেল যোটে না। আমি যেমন মানষ, তেমনি গাছে তেমনি রপগণের আকষী দিয়া নারিকেল পাড়িতে পারি। পারি, কিন্তু ভয়-পাছে নারিকেল ঘাড়ে পড়ে। এমন অনেক শ্যামী, বামী, রামী, কামিনী আছে যে, কমলাকান্তকেও স্বামী বলিয়া গ্রহণ করিতে পারে। কিন্তু পরের মেয়ে ঘাড়ে করিয়া সংসারযাত্রা নিববাহ করিতে, এ দীন অসমৰ্থ। অতএব এ যাত্রা, কমলাকান্ত ভক্তিভাযে, নারিকেল ফলটি বিশ্বেশ্বরকে দিলেন। তিনি একে শামশানবাসী, তাহাতে আবার বিষপান এ দেশে এক জাতি লোক সম্প্রতি দেখা দিয়াছেন, তাঁহারা দেশহিতৈষী বলিয়া খ্যাত। তাঁহাদের আমি শিমল ফল ভাবি । যখন ফল ফটে, তখন দেখিতে শনিতে বড় শোভাবড় বড়, রাঙ্গা রাঙ্গা, গাছ আলো করিয়া থাকে। কিন্তু আমার চক্ষে নেড়া গাছে অত রাঙ্গা ভাল দেখায় না। একটা একটি পাতা ঢাকা থাকিলে ভাল দেখাইত; পাতার মধ্য হইতে যে অলপ অলপ রাঙ্গা দেখা যায়, সেই সন্দর। ফলে গন্ধ মাত্র নাই—কোমলতা নাই, কিন্তু তব ফলে বড় বড়, রাঙ্গা রাঙ্গা। যদি ফল ঘাঁচিয়া, ফল ধরিল, তখন মনে করিলাম, এইবার কিছ লাভ হইবে। কিন্তু তাহা বড় ঘটে না। কালক্রমে চৈত্র মাস আসিলে রৌদ্রের তাপে, অন্তলা ঘ, ফল, ছড়াইয়া পড়ে ! অধ্যাপক ব্ৰাহ্মণগণ সংসারের ধাতরা ফল। বড় বড় লম্বা লম্পাবা সমাসে, বড় বড় বচনে, তাঁহাদিগের অতি সাদীঘ কুসম সকল প্রস্ফটিত হয়, ফলের বেলা কণ্টকময় ধতিরা। আমি অনেক দিন হইতে মানস করিয়াছি যে, কুক্কটিমাংস ভোজন করিয়া হিন্দজন্ম পবিত্র করিব-কিন্তু এই অধম ধতিরোগলার কাঁটার জবালায় পারিলাম না। গণের মধ্যে এই যে, এই ধাতারোয় মাদকের মাদকতা বদ্ধি করে। যে গাঁজাখোরের গাঁজায় নেশা হয় না, তাহার গাঁজার সঙ্গে দইটা ধাতরার বীচি সাজিয়া দেয়-যে সিদ্ধিখোরের সিদ্ধিতে নেশা না হয়, তাহার সিদ্ধির সঙ্গে দইটা

  • কমলাকান্ত বোধ হয়, পরোহিতকে ডোম বলিতেছে; কেন না, পরোহিতেই বিবাহ দেয়। উঃ কি পাষণড -ভীমদেব।

●●