পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

YaGKeNS, হইয়াছে। আমি যে অসংস্কৃতজ্ঞ, এমত কেহ মনে করিবেন না। তবে সংস্কৃতে সত্ৰগলি কয়জন বঝিতে পরিবে ? অতএব, সাধারণ পাঠকের প্রতি অনাকাল হইয়া বাঙ্গালাতেই সমস্ত কাৰ্য্য নিববাহ করিয়াছি। সে সত্রগ্রন্থের সারাংশ এই:- ১। জীৰশরীরস্থ বহৎ গহবরবিশেষকে উদর বলে। ভাষ্য।-“বাঁহৎ”-অৰ্থাৎ নাসিকা কণাদি ক্ষদ্র গহবরকে উদর বলা যায় না। বলিলে বিশেষ প্রত্যবায় আছে। “জীবশরীরস্থ বহৎ গহবর"-জীবশরীরস্থ বলিবার তাৎপৰ্য্য এই যে, নাহিলে পর্বতগীহা প্রভৃতিকে উদর বলিয়া পরিচয় দিয়া কেহ তাহার পত্তির প্রত্যাশা করিতে পারেন। “গহবর”—যদিও জীবাশারীরস্থ গহবর।বিশেষই উদর শব্দে বাচ্য, তথাপি অবস্থাবিশেষে অঞ্জলি প্রভৃতিও উন্দরমধ্যে গণ্য। কোন স্থানে উদর পরাইতে হয়, কোন স্থানে অঞ্জলি পরাইতে হয়। ২। উদরের বিবিধ পত্তিই পরম পরিষার্থ। এই মত। আধিভৌতিক, আধ্যাত্মিক এবং আধিদৈবিক, এই ত্ৰিবিধ -21ाख । “আধিভৌতিক”-অন্ন ব্যঞ্জন সন্দেশ মিস্টান্ন প্রভৃতি ভৌতিক সামগ্রীর দ্বারা উদরের যে পত্তি হয়, তাহাঁই আধিভৌতিক পত্তি । “আধ্যাত্মিক”—যাঁহারা বড়লোকের বাক্যে লব্ধ হইয়া কালব্যাপন করেন, তাহাদিগের আধ্যাত্মিক উদরপত্তি হয়। “আধিদৈবিক”-দৈবানকেম্পায় প্লীহা যকৃৎ প্রভৃতি দ্বারা যাঁহাদের উদর পরিয়া উঠে, তাঁহাদিগের আধিদৈবিক উদরপত্তি । ৩। এতন্মধ্যে আধিভৌতিক পত্তিই বিহিত। ভাষ্য।-“বিহিত”-বিহিত শব্দের দ্বারা অন্যান্য পত্তির প্রতিষেধ হইল কি না, ভবিষ্যৎ ভাষ্যকারেরা মীমাংসা করবেন। এক্ষণে সিদ্ধ হইল, উদারনামক মহা-গহবরে লাচি সন্দেশ প্রভৃতি ভৌতিক পদার্থের প্রবেশই পরিষার্থ। অতএব এ গাত্তের মধ্যে কি প্রকার ভূত প্রবেশ করান যাইতে পারে, তাহা নির্বাচন করা যাইতেছে। ৪ । বিদ্যা বদ্ধি পরিশ্রম উপাসনা বল এবং প্রতারণা, এই ষড়বিধ পরিষার্থের উপায়, পৰবৰ্ণপন্ডিতেরা নিন্দেশ করিয়াছেন। ভাষ্য -১। “বিদ্যা”-বিদ্যা কি, তাহা অবধারণ করা কঠিন। কেহ কেহ বলেন, লিখিতে ও পড়িতে শিখাকে বিদ্যা বলে। কেহ কেহ বলেন, বিদ্যার জন্য বিশেষ লিখিতে বা পড়িতে শিখার প্রয়োজন নাই, গ্রন্থ লিখিতে, সম্পবাদ পত্রাদি লিখিতে জানিলেই হইল। কেহ কেহ। তাহাতে আপত্তি করেন যে, যে লিখিতে জানে না, সে পত্ৰাদি লিখিবে কি প্রকারে? আমার বিবেচনায়। এরপ তাক নিতান্ত অকিঞ্চিৎকর। কুম্ভীরাশাবক। ডিম্ব ভেদ করিবামাত্র জলে গিয়া সাঁতার দিয়া থাকে, শিখিতে হয় না। সেইরােপ বিদ্যা বাঙ্গালির স্বতঃসিদ্ধ, তজজন্য লেখা-পড়া শিখিবার প্রয়োজন নাই। ২। “বদ্ধি”-ষে আশ্চৰ্য্য শক্তিদ্বারা তলাকে লৌহ, লৌহকে তলো বিবেচনা হয়, সেই শক্তিকেই বদ্ধি বলে? কৃপণের সঞ্চিত ধনরাশির ন্যায়। ইহা আমরা স্বয়ং সৰ্ব্বদা দেখিতে পাই, কিন্তু পরে কখন দেখিতে পায় না। পথিবীর সকল সামগ্রীর অপেক্ষা বোধ হয়, জগতে ইহারই আধিক্য। কেন না, কখন কেহ বলিল না যে, ইহা আমি অলপ পরিমাণে পাইয়াছি। ৩ । “পরিশ্রম”-উপযক্ত সময়ে ঈষদক অন্ন ব্যঞ্জন ভোজন, তৎপরে নিদ্রা, বায় সেবন, তামাকুর ধর্মপান, গহিণীর সহিত সম্ভাষণ ইত্যাদি গারতের কার্য্যসম্পাদনের নাম পরিশ্রম। ৪। “উপাসনা"-কোন ব্যক্তির সম্পবন্ধে কোন কথা বলিতে গেলে, হয় তাহার গণনাবাদ, নয় দোষকীৰ্ত্তন করিতে হয়। কোন ক্ষমতাশালী প্রধান ব্যক্তি সম্পবন্ধে এরপ কথা হইলে, যদি তিনি প্রকৃত দোষযক্তি ব্যক্তি হয়েন, তবে তাঁহার দোষকীত্তন করাকে নিন্দা বলে। আর তিনি যদি দোষযক্তি না হয়েন, তবে তাঁহার দোষকীৰ্ত্তনকে সম্পািন্টবক্তৃত্ব বা রসিকতা বলে। গণ পক্ষে, DD DDBBB DBBDBDS BB DDDB BBDDDDBB DBDDuDuD BYSDBDB D DD BDDBBGL গণবান হয়েন, তবে তাঁহার গািণকীৰ্ত্তনকে উপাসনা বলে। 6 (it