পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

QageS বেশী করিয়া ফেলিয়াছি। বিধিলিপি! এই অখিল ব্ৰহ্মান্ডের অনাদি ক্রিয়াপরম্পরার একটি ফল এই যে, উনবিংশ শতাব্দীতে কমলাকান্ত চক্রবত্তীর্ণ জন্মগ্রহণ করিয়া অদ্য রাত্রে নসীরাম বুকুর ধ্রুখানায় বসিয়া মাত্রা বেশী করিয়া ফেলবেন। সুতরাং আমার সাধা কি যে, তাহার অন্যথা কার । ঝিমাইতে ঝিমাইতে দেখিলাম যে, একটা পতঙ্গ আসিয়া ফানসের চরি৷ পাশে শব্দ করিয়া ঘরিয়া বেড়াইতেছে। “চোঁ-ও-ও-ও” “বোঁ-ও-ও” করিয়া শব্দ করিতেছে। আফিমের ঝোঁকে মনে করিলাম, পতঙ্গের ভাষা কি বঝিতে পারি না ? কিছশক্ষণ কাণ পাতিয়া শানিলাম--কিছ বঝিতে পারিলাম না। মনে মনে পতঙ্গকে বলিলাম, “তুমি কি ও চোঁ বোঁ করিয়া বলিতেছ, আমি কিছ বঝিতে পারিতেছি না।” তখন হঠাৎ আফিম প্রসাদাৎ দিব্য কণা প্রাপতি হইলামশানিলাম, পতঙ্গ বলিল, “আমি আলোর সঙ্গে কথা কহিতেছি—তুমি চুপ কর।” আমি তখন চুপ করিয়া পতঙ্গের কথা শনিতে লাগিলাম। পতঙ্গ বলিতেছে দেখ, আলো মহাশয়, তুমি সেকালে ভাল ছিলে-পিতলের পিলসীজের উপর মেটে প্রদীপে শোভা পাইতে—আমরা সবচ্ছন্দে পড়িয়া মরিতাম। এখন আবার সেজের ভিতর ঢকিয়াছআমরা চারিদিকে ঘরে বেড়াই-প্রবেশ করিবার পথ পাই না, পড়িয়া মরিতে পাই না। দেখ, পড়িয়া মরিতে আমাদের রাইট আছে আমাদের চিরকালের হক। আমরা পতঙ্গ জাতি, পািব্বাপর আলোতে পড়িয়া মরিয়া আসিতেছি-কখন কোন আলো আমাদের বারণ করে নাই। তেলের আলো, বাতির আলো, কাঠের আলো, কোন আলো কখন বারণ করে নাই। কাচ মাড়ি দিয়া আছ কেন, প্ৰভু ? আমরা গরিব পতঙ্গ—আমাদের সহমরণ নিষেধের জারি কেন ? আমরা কি হিন্দরে মেয়ে যে, পড়িয়া মরিতে পাব না ? দেখ, হিন্দীর মেয়ের সঙ্গে আমাদের অনেক প্রভেদ। হিন্দীর মেয়েরা আশা-ভরসা থাকিতে কখন পড়িয়া মরিতে চাহে না-আগে বিধবা হয়, তবে পড়িয়া মরিতে বসে। আমরাই কেবল সকল সময়ে আত্মবিসর্জনে ইচ্ছক। আমাদের সঙ্গে সত্ৰীজাতির তুলনা ? আমাদের ন্যায়, সত্ৰীজাতিও রাপের শিখা জীবলিতে দেখিলে ঝাঁপ দিয়া পড়ে বটে। ফলও এক—আমরাও পড়িয়া মরি, তাহারাও পড়িয়া মরে। কিন্তু দেখ, সেই দাহতেই তাদের সখেআমাদের কি সখি ? আমরা কেবল পড়িবার জন্য পড়ি, মরিবার জন্য মরি। সত্ৰীজাতিতে পারে ? তবে আমাদের সঙ্গে তাহদের তুলনা কেন ? শন, যদি জবলন্ত রপে শরীর না ঢাকিলাম, তবে এ শরীর কেন ? অন্য জীবে কি ভাবে, তাহা বলিতে পারি না, কিন্তু আমরা পতঙ্গজাতি, আমরা ভাবিয়া পাই না, কেন এ শরীর ?-- লইয়া কি করিব ? নিত্য নিত্য কুসমের মধ্য চুম্বন করি, নিত্য নিত্য বিশ্ব-প্ৰফল্লিকর সৰ্যেকিরণে বিচরণ করি।--তাহাতে কি সখি ? ফলের সেই একই গন্ধ, মধর সেই একই মিন্টতা, সয্যের সেই এক প্রকারই প্রতিভা। এমন অসার, পরাতন বৈচিত্র্যাশন্য জগতে থাকিতে আছে? কাচের বাইরে আইস, জব্বলন্ত রপশিখায গা ঢালিব। দেখ, আমার ভিক্ষাটি বড় ছোট-আমার প্রাণ তোমাকে দিয়া যাইব, লইবে না ? দিব বৈ ত গ্রহণ করিব না। তবে ক্ষতি কি ? তুমি রােপ, পোড়াইতে জন্মিয়াছ, আমি পতঙ্গ, পড়িতে জন্মিয়াছি; আইস, যার যে কাজ, করিয়া যাই। তুমি হাসিতে থাক, আমি পড়ি। তুমি বিশ্বধবংসক্ষম—তোমাকে রোধিতে পারে, জগতে এমন কিছই নাই-তুমি কাচের ভিতর লকাইয়া আছ কেন ? তুমি জগতের গতির কারণ-কার ভয়ে তুমি ডোমের ভিতর লকাইয়াছ ? কোন ডোমে এ ডোম গড়িয়াছে ? কোন ডোমে তোমাকে এ ডোমের ভিতর পরিয়াছে ? তুমি যে বিশ্বব্যাপী, কাচ ভাঙ্গিয়া আমায় দেখা দিতে পার না ? BBD BD DuS DDD DDDD DDD DDSDD DDD DSOBD DD BBS BDDD DBB BBB BBB -আমার জাগ্রাতের ধ্যান-নিদ্রার সর্বপ্ন-জীবনের আশা-মরণের আশ্রয়। তোমাকে কখন জানিতে পারিব না-জানিতে চাহিও না-যে দিন জানিব, সেই দিন আমার সখ যাইবে। কাম্য বস্তুর স্বরপ জানিলে কাহার সখ থাকে? BLBLBBDB DB BB DDS DBDBD D DD DBBB DB BDB DS DD DBBD DDB BBDD DS DBBDB BBYLDDDD DDD DLSSLDDB BDBBDDYDBSgSg পতঙ্গ উড়িয়া গেল। 66