পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

qpg নক্লেন তুই একবার দেখা দে, আবার যাস। প্রাণ না বের হলে যে মরণ হয় না। এখন আমি কোথায় যাই ?” নানা ছাঁদে বিনাইয়া পিসী কাঁদিতেছেন, কথা কহিতেছেন, আবার কাঁদিতেছেন। কিন্তু ইহার মািল কারণ কেহই কিছ জানিতে পারে না। অবশেষে এক জন বাদ্ধা বলিল, “ষা হয়েছে, তা ফের যার নয়, এখন তোমার মধ্য বেচে থাকুক, আশীৰ্ব্বাদ করা। কপালে যা ছিল, হ’ল; কাঁদলে কি হবে। শনলে কবে ? এ দারগণ কথা বল্লেী কে, কেমন ক’রেই বা ব'ল্লে ?” পিসীমা চমকিযা উঠিলেন। বলিলেন, “ষাট! ষাট । বাড়ীৰ দাস আমার! তা কেন হবে ? ছেলের খপর পাই নাই; তই রেতে সর্বপন দেখেছি, তাই বড় ভাবনা হযেছে।” নরেন্দ্রনাথের মাতুত্যু হয নাই, একথা তখন জানিতে পাবিয়া দাই জন অত্যন্ত বিরক্ত হইয়া চলিয়া গেল। পিসী তখন সর্বপ্নবিত্তান্ত বলিতে লাগিলেন। “নিজের ভাল দেখিলে মন্দ হয় তাহাতেই পিসীর এত শোক দঃখ উপস্থিত হইয়াছিল। রান্ত্ৰি-শেষে পিসী সর্বপ্ন দেখেন যে, মালকের ছোট লাটসাহেব মরেছে, তাতে লাটহস্তী ক্ষেপে বেড়ায। পথে নরেন্দ্রনাথকে দেখিতে পাইয়া, তাহাকে শাড়ের দ্বারা মস্তকে তুলিয়া লইয়া গিয়া লাটসিংহাসনে বসাইয়া দেয়, তাহার পর নরেন্দ্রনাথ মেম বিবাহ করিয়াছে। তাহাতে পিসীমা বলিলেন, “জাত যাক তবও বউ নিযে ঘরে এস’-নরেন্দ্রনাথ এল না। তখন পিসী নরেন্দ্রনাথের হাতে ধরিসা আনিতে চাহিলেন। নরেন্দ্ৰ হাত ছাড়াইবা লইল। অমনি পিসীর নিদ্ৰাভঙ্গ। ইহাতেই পিসীর শওকা, শঙ্কা হইতে দঃখ, দঃখ হইতে শোক, শোক হইতে গণ গণ৷ সবারে গহকাৰ্য সারা, গণ গণ সবের হইতে পরিশেষে পা ছড়াইয়া চীৎকার ধবনিতে কান্না ও পাড়ার লোক জোটা। অনেক প্ৰবোধে পিসীমাব কান্নাব ইতি’ হইল। আমরাও পাঠকবগকে বিরাম দিবার জন্য পবিচ্ছেদেব উপসংহার করিলাম।”-“বঙ্গদশন’, পৌষ ১২৮১, প, ৪১৫-২o । বন্দ্রসংহার এই মহাকাব্যেব। বিষধ, ইন্দ্রকৃত ব্যুত্রের বধ। হেমবােব পৌরাণিক বত্তিান্তের অবিকল অনসরণ করেন নাই—অনেক স্থানেই নিজ কলপনাকে স্ফরিত করিয়াছেন। পাতালে, বত্ৰজিত, নির্বাসিত দেবগণ মন্ত্রণায নিযক্ত। এই স্থানে গ্রন্থাবন্ত। প্রথম সগ পড়িযা অনেকেরই পান্ডিমোনিযামে মন্ত্ৰণানিযক্ত দেবদত্যগণের কথা মনে পড়িবে। হেমবাব সবিয়ং সৰস্বীকার করিয়াছেন যে, “বাল্যাবধি আমি ইংরাজিভাষা অভ্যাস করিয়া আসিতেছি এবং সংস্কৃতভাষা অবগত নহি, সতরাং এই পাস্তকের অনেক স্থানে যে ইংরাজি গ্রন্থকারদিগের ভাবসঙ্কলন এবং সংস্কৃতভাষার অনভিজ্ঞতা-দোষ লক্ষিত হইবে তাহা বিচিত্র নহে।” হেমবােব, মিলটনের অনসরণ করিয়া থাকুন বা না থাকুন, তিনি এ অংশেও যে সবকীয় কবিত্বশক্তির বিশেষ পরিচয় দিয়াছেন, তাহা পাঠমাত্রেই সহৃদয় ব্যক্তি বঝিতে পরিবেন। “নিবিড়ধামাল ঘোর” সেই পাতালপরীর মধ্যে, সেই দীপ্তিশ্যান্য অমরগণের দীপ্তিশ্যান্য সভা-অলপশক্তির সহিত বশিত হয় নাই। একটি एछाक विश्व छष्कन्न চারি দিকে সমাখিত অসফট আরাব ক্রমে দেব-বন্দমখে ফাটে ঘন ঘন, ঋটিকার পর্বে যেন ঘন ঘনচ্ছাবাস বহে যাড়ি চারি দিক আলোড়ি সাগর। সবগািৰ্ভন্ট দেবগণ সেই তমসাচ্ছন্ন, ভীমশব্দপণ সভাতলে বসিয়া, পানব্বার সবগ আক্রমণের পরামর্শ করিতে লাগিলেন। দেবমখে সন্নিবেশিত বাক্যগালিতে একটি অর্থ আছে; বোধ করি, i BB BDBY sB EBELS LBDB BBBDD DuLSSSYBDBBD CDuL अकर्मचाछ,कीलकाअ ।