পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बश्कत्र ब्रष्नाबव्ी আমরা যে গ্ৰন্থকে উপলক্ষ করিয়া, এই কয়টি কথা বলিলাম, তৎসম্বন্ধে এক্ষণে কিছ বলা কৰ্ত্তব্য। শ্ৰীষিক্ত বাবা অক্ষয়চন্দ্র সরকার ও শ্ৰীযক্ত বােব সারদাচরণ মিত্ৰ “প্রাচীন কাব্য সংগ্ৰহ" প্রকাশ করিতেছেন। যে দাই খন্ড আমরা দেখিয়াছি, তাহাতে কেবল বিদ্যাপতির কয়েকটি গীত প্রকাশিত হইয়াছে। বিদ্যাপতি প্রভৃতি উৎকৃষ্ঠািট প্রাচীন কবিদিগের রচনা এক্ষণে অতি দক্ষিপ্রাপ্য। যাহাতে উহা পাওয়া যায়, তাহতে এত ভেদ মিশন যে, খাটি মাল বাছিয়া লইতে কাহারও প্রবত্তি হয় না। অক্ষয় বাবা ও সারদা বােব উৎকৃষ্ট গীত সকল বাছিয়া শ্রেণীবদ্ধ করিয়া প্রকাশ করিতেছেন। বিদ্যাপতির রচনা পাঠ পক্ষে সাধারণ পাঠকের একটি প্রতিবন্ধক এই যে, তাঁহার ভাষা আধনিক প্রচলিত বাঙ্গালা নহে-সাধারণ পাঠকের তাহা বঝিতে বড় কষ্ট হয়। প্রকাশকেরা টীকায় দারহ শব্দ সকলের সদর্থ লিখিয়া সে প্রতিবন্ধকের অপনয়ন করিতেছেন। যে কায্যে ইহারা প্রবত্ত হইয়াছেন তাহা গরতের, সকঠিন, এবং নিতান্ত প্রয়োজনীয়। ইহারা সে কায্যের উপযক্ত ব্যক্তি। উভয়েই কৃতবিদ এবং অক্ষয় বাব, সাহিত্যসমাজে সপরিচিত। তিনি কাব্যের সােপরীক্ষক, তাঁহার রচি সামাঙিজািত, এবং তিনি বিদ্যাপতির কাব্যের মৰ্ম্মজ্ঞ। দারহ শব্দ সকলের ইহারা যে প্রকার সদর্থ করিয়াছেন, তাহাতে আমরা বিশেষ সাধাবাদ করিতে পারি। ভরসা করি, পাঠকসমাজ ইস্পৃহাদিগের উপযক্ত সহায়তা করিবেন। ---“বঙ্গদশনা', tԵd sՀԵՏ, ?i. &ՏԳ-ծ8 | शङ्कबभन* কাব্যের দাইটি উদ্দেশ্য; বর্ণন ও শোধন। এই জগৎ শোভাময়। যাহা দেখিতে সন্দর, শনিতে সন্দর, যাহা সাগন্ধ, যাহা সংকোমল, তৎসমদায়ে বিশ্ব পরিপািণ । কাব্যের উদ্দেশ্য সৌন্দৰ্য্য, কিন্তু সৌন্দৰ্য্য খজিতে হয় না। এ জগৎ যেমন দেখি, তেমনি যদি লিখিতে পারি, যদি ইহার যথাৰ্থ প্রতিকৃতির সম্মিট করিতে পারি, তাহা হইলে সন্দেরকে কাব্যে অবতীর্ণ করিতে পারিলাম। অতএব কেবল বর্ণনা মাত্ৰই কাবা । সংসার সৌন্দৰ্য্যময়, কিন্তু যাহা সন্দোবী নহে, তাহাব ও অভাব নাই। পথিবীতে কদাকার কুবণ, পতিগন্ধ, ককািশম্পশা, ইত্যাদি বহতর কুৎসিত সামগ্ৰী আছে, এবং অনেক বস্তু এমনও আছে যে, তা হতে সৌন্দয্যের ভােব বা অভাব কিছই লক্ষিত হয় না। ইহা ও কি কাব্যের সামগ্ৰী ? অথচ ঐ সকলের বণনাও ত কাব্যমধ্যে পাওয়া যায়—এনং অনেক সময় তাহা অসন্দেব, তাহারই সােজন কবির মােখ্য উদ্দেশ্যস্বরূপ প্রতীয়মান হয। কারণ কি ? সকলেই বদ্ধিশালী। কাব্যের অধিকারও বদ্ধির নিয়মানসারে বদ্ধি পাইয়াছে। আদৌ সন্দরের বণনা বৰ্ণনাকাব্যের উদ্দেশা। কিন্তু জগতে সন্দির অসন্দের মিশ্ৰিত: অনেক সন্দরের বৰ্ণনার নিতান্ত প্রয়োজনীয় অঙ্গ, অসন্দেবের বণনা ; অনেক সময়ে আনষঙ্গিক অসন্দেরের বৰ্ণনায় সন্দরের সৌন্দয্য সম্পাদটীকৃত হইয়া থাকে। এজন্য অসন্দরের বণনা বর্ণনাকাবো স্থা পাইয়াছে; কালে বণনা মাত্রই বর্ণনাকাব্যের উদ্দেশ্য হইয়া উঠিয়াছে। অতএব সম্পর্ণিতাপ্রাপ্ত বৰ্ণনাকাব্যের উদ্দেশ্য, স্বরপ বাণ না । জগৎ যেমন আছে, ঠিক তাহার প্রকৃত চিত্রের সােজন করিতে এ শ্রেণীর কবিরা যত্ন কবেন। আর এক শ্রেণীর কবিদিগের উদ্দেশ্য অবিকল স্বরপ বণনা নহে। অপ্রকৃত বর্ণনাও তাঁহাদের উদ্দেশ্য নহে। তাঁহারা প্রকৃতি সংশোধন করিষা লা যেন-যাহা সন্দর, তাহাই বাছিয়া লইয়া, যাহা অসন্দের তাহা বহিস্কৃত করিয়া কাব্যের প্রণযন করেন। কেবল তাঁহাই নহে। সন্দরেও যে সৌন্দৰ্য্য নাই, যে রস, যে রােপ, যে সম্পর্শ যে গন্ধ, কেহ কখন ইন্দ্ৰিয়গোচর করে নাই, “যে আলোক জলে স্থলে কোথাও নাই” সেই আত্মচিত্তপ্রসন্ত উপেজবল হৈমকিরণে সকলকে পরিপ্লাত করিয়া, সন্দরকে আরও সন্দর করেন।--সৌন্দয্যের অতি প্রকৃত চরমোৎকাষের সলিস্ট করেন। অতি প্রকৃত কিন্তু অপ্রকৃত নহে। তাঁহাদের সন্টিতে অযথার্থ, অভাবনীয় সত্যের বিপরীত, প্রাকৃতিক নিয়মের বিপরীত কিছই নাই, কিন্তু প্রকৃতিতে ঠিক তাহার আদশ কোথাও

  • * ঋতুবশািন। শ্ৰীগঙ্গাচরণ সরকার প্রণীত। চুচুড়া সাধাবণী যন্ত্র।

SO